রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৯ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দরজায় কড়া লড়ছেন। প্রার্থীদের মধ্যে চারজনের ভোটযুদ্ধ হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার সাথে হবে। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীকে আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল, জাসদের প্রার্থী শফিয়ার রহমান, জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তফশীল ঘোষণার আগ থেকেই রসিক নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও আওয়ামী লীগের অ্যাড হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নির্বাচনি মাঠে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের যারা নির্বাচনি মাঠে ছিলেন তাদের মনোনয়ন না দিয়ে কেন্দ্র থেকে ডালিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার পরে তিনি নির্বাচনি মাঠে এসেছেন। ভোটারদের কাছে তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। তার সাথে দলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। তবে মনোনয়ন বঞ্চিতরা কতটুকু আন্তরিক তা বোঝা যাচ্ছেনা।
মেয়র পদে ৯ জন ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন মোট ২৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার সংরক্ষিত এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছে ২৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়া আরও একাধিক প্রার্থী উচ্চ আদালতের আদেশে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন এমনটা বলেছেন মনোনয়ন ফিরে পাওয়া দুই প্রার্থী।
২০৫ বর্গ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করপোরেশনের অধীনে আসা নতুন নতুন ওর্য়াডগুলোর ভোটারদের সিদ্ধান্তই ফলাফল এনে দেবে বলে মনে করছেন অনেকে। যে কারণে ৯ জন মেয়র প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা দিন রাত নির্বাচনী মাঠে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের পাশাপাশি মেয়র প্রার্থীরাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন। এক্ষেত্রে ভোটাররাও প্রার্থীদের আশার বাণী শুনিয়ে বিদায় করছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে মেয়র পদে কে নির্বাচিত হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই।
বিডি প্রতিদিন/এএ