একসময় রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বলতে বোঝাতো আর্সেনিকের স্বর্গরাজ্য। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আর্সেনিকের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে ২২ হাজার ৫০০ নলকূপ পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮৩টি নলকূপে বেশি মাত্রায় আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানাগেছে, আড়াই দশক আগে ১৯৯৮ সালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় অতিরিক্ত মাত্রায় আর্সেনক ধরা পড়ে। সে সময় আক্রান্ত অনেকে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। ওই সময় প্রায় ৭৫ হাজার পরিবারের ব্যবহৃত নলকূপের পানি পরীক্ষা করে ৮ দশমিক ০৫ মাত্রার আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল এবং প্রায় ৩০০ আর্সেনিকোসিস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এলাকার নলকূপগুলোয় ৭০ ফুট লেয়ারের মধ্যেই আর্সেনিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আর্সেনিক পাওয়া নলকূপগুলো সিলগালা করে দিয়ে বেশি গভীরতর ৩৬৫টি হস্তচালিত নলকূপ, ৬৩টি তারা পাম্প-১ এবং সাতটি তারা পাম্প-২ স্থাপন করে জনগণকে অর্সেনিক মুক্ত পানি পানের ব্যবস্থা করে।
সূত্র মতে, পীরগাছা উপজেলায় ২৩ হাজারে ওপরে নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপের কয়টিতে আর্সেনিকের অস্থিত্ব রয়েছে তা জানতে চলতি বছরের শুরুতে পরীক্ষা শুরু করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। সম্প্রতি পরীক্ষায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শূন্য দশমিক শূন্য ৫ মাত্রার ওপরে আর্সেনিকের অস্তিত্ব থাকলে তা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। বেশি মাত্রার আর্সেনিক পাওয়া ওই সব নলকূপ চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। চিহ্নিত নলকূপের পানি পানে বিরত থাকতে জনগণকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। উপজেলার কান্দি উইনিয়নে সবচেয়ে বেশি আর্সেনিকের মাত্রা রয়েছে। ফলে ওই ইউনিয়নসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে।
রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা জানান, আড়াই হাজার নলকূপের পানি পরীক্ষা করে ২৮৩টি নলকূপে বেশি মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন