দিনাজপুরের বেলান নদীর মাঝে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে সেতু। নির্মাণের পর আজও কেউ এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারেননি। অযোগ্য ও অব্যবহৃত এই সেতু মানুষের দুর্দশা লাঘবে বেলান নদীর উপর চলাচলের সুবিধার জন্য তৈরি হয়। কিন্তু নির্মাণের প্রায় ৮ বছর পার হলেও কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় আজও এই সেতু ব্যবহার করতে পারেনি সাধারণ মানুষ।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে গোয়ালডিহি গ্রামের বালাবাড়ির ডাঙ্গায় বেলান নদীর ওপর এই সেতুর অবস্থান।
এদিকে, বেলান নদীতে বর্ষায় পানি ভরাট থাকলেও শুকনা মৌসুমে পানি থাকে না। তাই ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়। তবে সারা বছর পানি ধরে রাখতে গত মাসে নদীটি খনন শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণেই আজও সড়কটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। তারা প্রায় ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে এলাকার মানুষ বিকল্প পথে চলাচল করে। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে এলাকার মানুষ।
জানা যায়, এলজিএসপি-২ এর আওতায় ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে। জনস্বার্থে নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এবং মাটি ভরাট না করায় অব্যবহৃতই পড়ে আছে সেতুটি। এ নিঃসঙ্গ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে খানসামার গোয়ালডিহি গ্রামের বালাবাড়ির ডাঙ্গায় বেলান নদীর ওপর। এ সেতুর পশ্চিম দিকে আধা কিলোমিটার দূরে এক সময় একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। সাঁকোর ওপর দিয়েই এলাকার মানুষ চলাচল করতো। একপর্যায়ে বেলান নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি।
পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের মো. ফজর আলী বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। তারা প্রায় ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রয়োজনীয় কাজে নানান দিকে চলাচল করেন। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে। এখানে সড়কটি তৈরি করে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।
উত্তমপাড়া গ্রামের দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় ও পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের মিন্টু ইসলাম বলেন, আমরা নদীর ওপারে কৃষি জমির আবাদি ফসল অনেক কষ্ট করে নিয়ে আসি। সেতু হলেও সড়ক না থাকায় আমাদের কোনো কাজে আসে না। সরকার যদি সেতুটির দু’পাশে সংযোগ রাস্তা করে দেয়, তবে আমাদের অনেক উপকার হতো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই