ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ সুদ কারবারিকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন শৈলকূপার হরিহরা গ্রামের মৃত আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আমজাদ হোসেন মোল্লা, বারইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল শেখের রহিম শেখ, শেখপারা গ্রামের শহর আলী শেখের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, ভাটই বাজারের আব্দুস সালামের পলাশ হোসেন, চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী।
জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরে শৈলকূপা শহরসহ গ্রামগঞ্জে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা এক লাখ টাকার বিপরীতে অনেক সময় সুদ হিসাবে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এতে করে অনেকে তাদের আসল টাকা তো দূরে থাক সুদের টাকায় পরিশোধ করতে পারে না। পরবর্তীতে তারা কৌশলে আসল আর সুদ একসাথে মিলিয়ে টাকা ধার হিসাবে ষ্ট্যাম্পে লিখে নেয়। কখনো কখনো ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেকও নিয়ে থাকে। ফলে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে কিছু করার থাকে না। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলতে সাহস পায় না। তাদের চাপে এক পর্যায়ে বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় নতুবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সুদে টাকা গ্রহিতারা। পরে পুলিশ বিষয়টি নিবিড় ভাবে তদন্ত চালিয়ে সুদি কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন। এদিকে শৈলকূপায় সুদ কারবারিদের আটকের ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শৈলকূপার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকুক।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই এই জনপদে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৬জনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ