কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমে এই তথ্য জানান।
বিজিবি ব্যাটালিয়নের এই অধিনায়ক জানান, বুধবার দুপুরে দেড়টার দিকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ উনচিপ্রাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে এমন তথ্য পাওয়া যায়। সাথে সাথে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অধীনস্থ উনচিপ্রাং বিওপিকে অবহিত করে বিওপির চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদলকে অধিক সতর্কতার সাথে দায়িত্বপালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উনচিপ্রাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৭ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমকোণে মিয়ানমার থেকে নাফনদী অতিক্রম করে চার ব্যক্তিকে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় সীমান্তের শূন্যলাইন হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেজরের ঘের নামক স্থানের দিকে (জিআর-৩১৮৩৩৯ এমএস-৮৪সি/৪) আসতে দেখা যায়। উক্ত ব্যক্তিদের চলাচলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড় দেয়। তাদের মধ্যে একজনের কোমরে অভিনব পদ্ধতিতে লুঙ্গি দিয়ে পেচানো একটি পোটলা লবণ মাঠে পড়ে যায়। চোরাকারবারিরা লবণ মাঠে অনেক শ্রমিকের কাজের সুযোগে দৌড় দিয়ে নাফ নদীতে লাফিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে ফেলে যাওয়া লুঙ্গিতে পেচানো একটি পোটলা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত পোটলার ভেতর থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম শেষে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল