বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে ইলিয়াস শিকদার নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সহযোগিরা। এসময় মাদক কারবারীদের হামলায় শরণখোলা থানা পুলিশের এএসআই শফিক ও কনেস্টবল মিলন হোসেন আহত হন। তাদের শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামে বুধবার সন্ধ্যায় দুই পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি ঘটে। রাতে আহত পুলিশদের হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি প্রকাশ পায়। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস শিকদার খোন্তাকাটা গ্রামের আব্দুর রশিদ শিকদারের ছেলে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে মাদকের আখড়ার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল খোন্তাকাটা গ্রামের অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী ইলিস শিকদারকে আখড়া থেকে মাদকসহ আটক করা হয়। এসময় গাছের সাথে মাদকের আখড়া হিসেবে তৈরি করা টং ঘরটিও ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী ইয়িাসের ১০ থেকে ১২ জন নারী-পুরুষ সহযোগি এসে লাঠিসোটা দিয়ে পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর মাদকসহ ইলিয়াসকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হামলায় আহত এএসআই শফিক ও কনেস্টবল মিলন হোসেনকে রাতে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই খোন্তাকাটা গ্রামের আব্দুর রশিদ শিকদারের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস শিকদার, ইলিয়াসের সহযোগী ফারুক শিকদার, নাছির শিকদার, দুলাল শিকাদরের ছেলে মিজান শিকদার, সালাম শরিফের ছেলে সাইফুল শরিফ, ইলিয়াস শিকদারের স্ত্রী রূপালি বেগম ও মেয়ে আখিঁ নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিদের গ্রেফতারে চলমান অভিযানে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ট্রাকিং করে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলা থেকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, ইলিয়াস একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এ কাজ করে আসছে। তার কারণে ওই গ্রামে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দ্রুত মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস শিকদার ও তার সকল সহযোগিদের গ্রেফতারের জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত