কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সলিম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ সলিম গুরুতর আহত হন। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) সৈয়দ হারুনুর রশীদ জানান, আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কুতুপালং আশ্রিত ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সকালে তার মৃত্যু হয়।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ সলিম (২৮) উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির সি-ব্লকের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সাব-মাঝি (সহকারী কমিউনিটি নেতা) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক হারুনুর রশীদ জানান, বুধবার রাতে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে মোহাম্মদ সলিম স্বেচ্ছায় পাহারায় নিয়োজিত কর্মীদের মাঠপর্যায়ে কাজের তদারকি করছিলেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে আলাপের একপর্যায়ে মুখোশ পরিহিত ১০-১৫ জনের অজ্ঞাত একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। সলিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় যাতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এপিবিএনের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে এপিবিএন পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল