রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা এবার বেশি পরিমাণ জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। প্রথম দিকে শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কৃষকরা আলুর আবাদ নিয়ে চিন্তিত হলেও এবারের আবহাওয়া আলুর অনুকূলেই ছিল।
রংপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার ৯৩ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে ৯৭ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি জমিতে এবার আলুর আবাদ হয়েছে।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি আলুর আবাদ হয়েছে রংপুর জেলায়। গত মাসে শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশার কারণে আলুক্ষেত লেট ব্লাইট রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কোথাও কোথাও লেটব্লাইট রোগের পূর্বাভাসও দেখা গিয়েছিল। তবে কৃষকরা ক্ষেত রক্ষায় বিভিন্ন প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করে আবাদ রক্ষা করেছেন।
রংপুর নগরীর অদূরে খাসবাগ এলাকার আমিন মিয়া ৩ একর, রুবেল মিয়া ৪ একর, মকবুল হোসেন সাড়ে ৪ একর, দুলাল মিয়া ১০ একর,পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়নের বুলবুল মিয়া ৩ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। তারা জানান, গত মৌসুমে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এবার তারা বেশি করে আলুর চাষ করেছেন। কিন্ত গত কয়েকদিন থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে শীত ও কুয়াশা কেটে যাওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৫ হেক্টর জমির আলু কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। বাকি আলু আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘরে তুলতে পারবেন এমনটা আশা করা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (এলআর) কৃষিবিদ আবু সায়েম জানান, এবার আবাহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল