লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর চাচাতো বড়বোনকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভায়রাকে হত্যার দায়ে মো. ইয়াসিন নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদলতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসিন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ দেলিয়া গ্রামের মৃত আতিক উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় কাপড়ের ফেরিওয়ালা। এখন তিনি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয় আবু ছায়েদ। ঘটনার এক বছর পর ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আবু ছায়েদ তাদের প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতে যান। বেলা ১১টার দিকে ওই বাড়িতে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতে আসেন আবু ছায়েদের চাচাতো ভায়রা মো. ইয়াছিন।
দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইয়াছিন ভায়রা আবু ছায়েদকে গালমন্দ শুরু করে। এ সময় দুইজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। একপর্যায়ে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঠ দিয়ে আবু ছায়েদের মাথায় আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই রাতেই আবু ছায়েদ মারা যান। পরে ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহত আবু ছায়েদের ছোটভাই শাহ আলম বাদী হয়ে ইয়াছিনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ৩১ আগস্ট আসামি ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। প্রায় ২৭ বছর পর আদালত এ রায় দেন। ভিকটিম আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলমের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই