মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের ভেন্নাতলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
তিনি জানান, গত শুক্রবার রাতে ওই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে তার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিবচর থানায় নিহতের ভাই একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে একই এলাকার নুরু কাজীর ছেলে আতিয়ার কাজীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আতিয়ার এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে তোতা মোল্লার ছেলে শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ আরও একজন আকলিমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে ওই নারী আতিয়ারের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন সময় সে আতিয়ারের কাছ থেকে টাকা নিতো। এছাড়াও আতিয়ারের স্ত্রী পরকীয়ার বিষয়টি জেনে ফেলায় তার সংসারে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
এ কারণে আতিয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন রাতে তাকে ডেকে ঘরের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে আতিয়ার প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে পালাক্রমে আরও দুজন ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই নারী। পরে তিনজনে মিলে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুজনেই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এদিকে গ্রেফতারকৃতদের দুপুরেই কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএ