বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘সুন্দরবন শুধু মানুষের জীবন জীবিকার উৎস নয়, ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সুন্দরবন বুক আগলে নিজে লন্ডভন্ড হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোকে থেকে রক্ষা করে।’
তারা আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানব সৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণে আজ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। এসব কারণে ইতোমধ্যেই সুন্দরবন হতে দুই প্রজাতির গন্ডার, দুই প্রজাতির হরিণ, মিঠাপানি প্রজাতির কুমির ও বন্য প্রজাতির মহিষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সুন্দরবনের রাজা রয়ের বেঙ্গল টাইগার, ইরাবতী ডলফিন, বাটাগুর বাসকা কচ্ছপও অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের বাঁচতে দিতে হবে।’
রবিবার সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে অফিসে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে ‘সকলের অংশ গ্রহণ, বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’ এই প্রতিপাদ্যে নিয়ে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবনের সুন্দরী-পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড, ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বাঁচিয়ে রাখতে হলে ধ্বংস করা করা যাবে না এই ম্যানগ্রোভ বনকে। সুন্দরবনসহ দেশের সব সংরক্ষিত বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট সদর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান, চাঁদপাই সিএমসি সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম রাসেল।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে মার্চ মাসের প্রথম রবিবারকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল