বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগের নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খাউলিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ হামলার সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র করকে (৬২) লাঞ্ছিত করা হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আরও ৯ জন সদস্য। ঘটনার সময় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিলে মোরেলগঞ্জ থানা ও নিকটস্থ ফাঁড়ি থেকে পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম মন্টুর ছেলে মাহফুজ হাওলাদারকে (৩৫) অ্যাম্বুলেন্সে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপর আহতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড খাউলিয়া ইউনিয়ন শাখার সদস্য জাকির হোসেন, মনিরুজ্জামান, মিরাজ আকন, শাহিন আকন, জাকির আল মামুন, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, নাছির উদ্দীন বয়াতী, ইদ্রিস শেখ ও সুমন কর স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র কর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই খান বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাস্টার সাইদুর রহমানের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী পরাগের নেতৃত্ব ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে ঢুকে অতর্কিতে মারধর ও ভাঙচুর করে। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে খাউলিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের উদ্দেশ্য পুলিশ পাঠানো হয়। একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল