নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সিএনজি চালক আব্দুল হাকিমকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সাথে নিহত সিএনজি চালক আব্দুল হাকিমের পূর্ব শত্রুতা ছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। পরিকল্পনাকারী পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনি জানান, একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম তার মালিকে সিএনজি জমা দেওয়ার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন মিলে ভিকটিমের মুখ বেঁধে ফেলে। পরে সকল আসামিরা তাকে উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে।
গ্রেফতার রিপু ও আরেকজন লাশ গোপন করার জন্য শাবল, কোদাল ও বস্তা নিয়ে যায়। পরে সকল আসামিরা লাশ বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেয়। তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্য মতে আসামি রিপুর বাড়ি থেকে শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হত্যা সংগঠনের জন্য আসামি মহিনের সাথে ৪ লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশে একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে আব্দুল হাকিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই