শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের আমজাদিয়া একাডেমি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্ত অফিস সহকারীর বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে থেকে প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা ঘেরাও করে। এসময় অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে ক্লাসে পাঠান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
আমজাদিয়া একাডেমি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা বাজারের আমজাদিয়া একাডেমির অফিস সহকারী মাসুদুর রহমান গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে শ্লীলতাহানি করে। পরে ডাক চিৎকারে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে ওই ছাত্রী রক্ষা পায়। এনিয়ে ওই ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান।
এরপর বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি অভিযুক্ত মাসুদুর রহমানকে এক মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করে। আর ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ছয় সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
আজ স্কুলের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে স্কুলের মাঠে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় যায়। এ সময় তারা পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা থানা ছেড়ে স্কুলে চলে যায়।
আমজাদিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জিয়া বলেন, এক শিক্ষার্থী আমাদের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে শ্লীতাহানির লিখিত অভিযোগ করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ছয় সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত অফিস সহকারী মাসুদুর রহমানকে এক মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করছি।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমজাদিয়া একাডেমির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ মৌখিকভাবে শুনেছি। শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে। পরবর্তীতে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওসি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন