কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন ‘ভোটের জন্য যদি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়, ভোট চুরি যদি বন্ধ হয় সেই জন্যই আমি নির্বাচনে আসছি। আমি মানুষের অধিকার চাই, ভোটাধিকার চাই।’
শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের শাপলারপাড়া গ্রামে গামছা মার্কার এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের নির্বাচন, পৌরসভার নির্বাচন দলীয় মার্কায় হোক কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যে ভাবেই হোক দলীয় মার্কার প্রয়োজন নাই। দলীয় মার্কা থাকলে দল ভাগ হয়। আমি দলাদলি চাইনা।’বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমি ৩০৮ দিন ঘরের বাহিরে ছিলাম। তখন শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম আপনি আলোচনায় বসেন, দেশকে বাঁচান। খালেদা জিয়াকে বলেছিলাম আলোচনায় বসেন, জনগণই সেই অবরোধ প্রত্যাহার করেছিলো। অবরোধ প্রত্যাহার করেন। দুজনের কেউ আমার কথা শুনে নাই। বিএনপি’র দল অবরোধ দিয়েছিলেন লাগাতার হরতাল আর অবরোধ। ওদের কাছে মনে হয়েছিলো দেশের মানুষ ওদের গোলাম যে কারণে বিএনপি কিন্তু সেই অবরোধ প্রত্যাহার করতে পারেনি। জনগণ মেনে চলতে হয়। আজকাল রাজনীতি জনগণ মেনে হয় না। শুধু বক্তৃতা আর বক্তৃতা, এটা ভালো কাজ না।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আগামী ১৭ জুলাই আপনারা আপনাদের নিজেদের মার্কা, গামছা মার্কায় ভোট দিয়ে নিজেদের সম্মানিত করবেন। মনে রাখবেন এবার ভোট কেন্দ্রে কেউ কাউকে জোরজবরদস্ত করতে পারবে না।’
এ পথ সভায় আরও বক্তব্য করেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতিক, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম আল-মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান, সানোয়ার হোসেন মাস্টার, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।
আগামী ১৭ জুলাই সোমবার সখীপুরের চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল