২১ আগস্ট, ২০২৩ ২১:০৮

গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

শরীয়তপুরের সখিপুরে মিতু আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোরে মারা যান তিনি। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিতু আক্তারের বাবার বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামে। ৯ বছর আগে সখিপুর চরকুমারিয়া ঢালি কান্দি গ্রামের আহম্মদ আলী ঢালীর ছেলে ওয়াসিমের সাথে মিতুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মিতু-ওয়াসিমের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।

মিতু আক্তারের ভাই মামুন মোল্যা জানান, মিতুর স্বামী ওয়াসিম তেমন কাজকর্ম করত না। বিয়ের সময় দেওয়া স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ফেলেছে। এ বিষয়ে মিতুকে ওয়াসিম নির্যাতন করত। রবিবার রাতে ওয়াসিম মিতুকে বেধরক মারপিট করে। মিতু অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার ভোরে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমার বাড়ি। তবুও এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমার ধারণা মিতু মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ডাক্তার মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করলে তড়িঘড়ি করে লাশ নিয়ে চলে যায়। তখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি। পরে সংবাদ পেয়ে আমাদের বাড়ি থেকে ৩০-৪০ জন লোক সেখানে যাই। গিয়ে দেখি লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের ধারণা, মিতুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। তাই মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে সখিপুর থানাকে বিষয়টি জানাই। পরে পালং থানা পুলিশ মর্গে এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, সোমবার ভোর সাড়ে ৭টায় মিতুকে ভর্তি করে নেয়। পরে মিতুর মৃত্যু হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, মর্গে একটি মরদেহ এসেছে, এমন সংবাদ পেয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। যেহেতু সখিপুর থানার বিষয়, তাই আইনগত ব্যবস্থা সখিপুর থানা গ্রহণ করবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর