ধর্ষণ করে শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পর টানা ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১৪)। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর চাচা কামরুজ্জামান জানান, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় নান্দুরা ফাজিল মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিন যুবক ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তারা। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেলেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করে। মামলার বাকি দুই আসামি রঞ্জু (৪০) ও নাঈম (২৩) পলাতক রয়েছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা গেছেন। মরদেহ বগুড়ায় নেওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই