গাজীপুরের কোনাবাড়িতে নিখোঁজের দুইদিন পর ছয় বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রধান আসামি এক গার্মেন্টস কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান। এসময় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) খায়রুল ইসলাম ও কোনাবাড়ি জোনের সহাকারি কমিশনার আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম-মো: আরিফুল ইসলাম (২৯)। সে পাবনা জেলার সুজানগর থানার ভাতশালা গ্রামের মো: তফিজ উদ্দিনের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানার হরিণাচালা এলাকায় স্বপরিবারে ভাড়া থাকেন খালেদ মাহমুদ রাসেল। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার বানিয়াপাড়া এলাকায়। গত ১১ নভেম্বর তার শিশু সন্তান মো: বায়জিদ হোসেন নিখোঁজ হয়। স্বজনেরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পান নি। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর ১৩ নভেম্বর ভোর রাতে ওই বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির কোনায় পলিথিন দিয়ে অর্ধেক মোড়ানো অবস্থায় তার ছেলের লাশ পড়ে রয়েছে দেখতে পান শিশুটির বাবা। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ব্যাপারে নিহতের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে কোনাবাড়ি থানায় মামলা করেন। পরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত ওই বাসার দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মো: আরিফুল ইসলামকে সিটি করপোরেশনের টঙ্গী থানার বিসিক এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, গত ১১ নভেম্বর গার্মেন্টস কর্মী আরিফুল ইসলাম চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় ফিরছিল। সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠার সময় বায়জিদের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। আরিফুল এ সময় বায়জিদের গালে একটি থাপ্পর মারে। বায়জিদ চিৎকার করলে আরিফুল তার মুখ চেপে ধরে তার নিজের রুমে নিয়ে যায়। সেখানে নাক, মুখ ও গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশটি তার স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে রুমের ভিতরে রেখে দেয়। এক পর্যায়ে ১৩ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে পলিথিনে মুড়িয়ে লাশটি সিঁড়িতে রেখে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল আশুলিয়া থানায় ৭ বছরের অপর একটি শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গ্রেপ্তারকৃতের প্রথম স্ত্রী এ মামলার আসামি। সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয় আরিফুল।
বিডি প্রতিদিন/এএম