কুষ্টিয়া-১ ও ৪ আসনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৬ জন আহতসহ ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
কুষ্টিয়া-১ আসনে দৌলতপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পরাজিত নৌকার সমর্থকদের একটি বাড়িতে আগুন, নির্বাচনি অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
সোমবার সকালে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানা যায়নি। তিনিও ফোন ধরেননি।
এদিকে, রবিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নে কালুপাড়া এবং যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে সংঘর্ষ ও জোতমোড়া বিলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, ভোট গণনার পরে বাগুলাট কালুপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা হয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক বাড়িতে ফিরছিলেন। সেসময় পরাজিত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জের লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আব্দুর রউফ গ্রুপের কয়েকজন আহত হন। এরপর যদুবয়রার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে জর্জ সমর্থিত মানিক আহত হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্ক্ষাজনক। এ ছাড়াও বেশকিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ইউএনও মাহবুবুল হক জানান, নির্বাচন পরবর্তী কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই