চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন পরবর্তী ১২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ সব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান তারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ ডাক বাংলা চত্ত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম টুটুল খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরই সৈয়দ নজরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা শুরু করে নৌকার সমর্থকরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ দিনে ১২ স্থানে হামলা, মারধর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আবু আহমেদ নাজমুল কবীর মুক্তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিশকে জানানো হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ তার নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তার ভাই শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু নাজমুল কবীর মুক্তাসহ অন্যরা।
এদিকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে নৌকার সমর্থকদের নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, নৌকার কোন সমর্থক কোন স্থানে গোলযোগের সৃষ্টি করেনি। বরং তারাই বিভিন্ন এলাকার মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালানোয় সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু নাজমুল কবীর মুক্তার বাড়িতে হামলঅর ঘটনাটি তাদের পারিবারিক বিষয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ