নেত্রকোনায় পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাপ্পীকে হাত-পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অনন্তপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে রনি মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে।
এদিকে আহত বাপ্পীর মামা মো. জাকারিয়া বাদী হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরীর ও তার অনুসারী ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত আরোও ১৫ জনকে আসামি করে নেত্রকোনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলেও ফেসবুকে স্যাটাস দিয়ে এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
পুলিশ, স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা পৌর শহরের কুরপাড় এলাকার বাসিন্দা আহত ছাত্রদল নেতা বাপ্পী আটপাড়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মান্নান মনুর একমাত্র ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী ছিলেন। গত বুধবার রাতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলটি ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের বশির উদ্দিন চিশতী মাজারে যান। সেখান থেকে রাতে ফেরার পথে নৃশংস হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মশিউর রহমান বাপ্পির মাথা, মুখ, পিঠের অংশসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে।
সেইসাথে মৃত্যু নিশ্চিতে গলার শ্বাস প্রণালী ও চার হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তার আত্মচিৎকারে গ্রামের মানুষ ছুটে আসলে হামলাকরীরা পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় এক ফুচকা ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে পর্যায়ক্রমে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুমূর্ষ অবস্থায় একটি ভিডিওতে ভয়ানক হামলার বর্ণনা দিয়ে মশিউর রহমান বাপ্পীর জবানবন্দীতে নৃংশস ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া একজন গ্রেফতার হয়েছে বলেও জানান। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল