বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরে রবিবার সকালে মরা গরু জবাই করে প্রকাশ্যে সেই মাংস বিক্রি করছিল একটি অসাধু চক্র। স্থানীয়রা মরা গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি টের পেয়ে প্রশাসনকে জানালে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে দুটি ড্রামে ভর্তি প্রায় এক মণ মাংস, মাথা, চামড়া ও নাড়িভুড়িসহ দুই কসাইকে আটক করেছে।
আটকৃতরা হলেন শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ডালিম ও আলামীন। তাদের অপর ভাই হালিম পালিয়ে গেছে। আটক দুজনকে শরণখোলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তিন ভাইয়ের একটি কসাই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাঁচরাস্তা প্রশাসন মার্কেটে মাংস ব্যবসা করছে। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মরা, অসুস্থ গরু-ছাগল কম দামে কিনে তা জবাই করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা প্রায় প্রতিদিনই মরা-রোগা পশুর মাংস বিক্রি করে আসছে। রবিবার সকালে পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে এই চত্রুটি প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির শুরু করলে খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি দ্রুত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরের পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। বেশকিছু মাংস বিক্রিও করেছে তারা। অভিযান টের পেয়ে চক্রটি মাংস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ লুকানোর চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে মার্কেট থেকে কিছুটা দূরে বান্দাঘাটা স্লুইস গেট এলাকা থেকে দুটি ড্রামে ভরা প্রায় মরা গরুর এক মণ মাংস, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়েছে। চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা গেলেও একজন পালিয়ে গেছে। মৃত পশুর মাংস বিক্রি জঘন্য অপরাধ। এটা খাওয়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
আটক কসাই ডালিম ও আলামীন জানান, তারা এই মরা গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত না। তারা তিন ভাই সবাই আলাদা আলাদা ভাবে মাংসের ব্যবসা করেন। এই মাংস তাদের অপর ভাই হালিমের। সে অভিযানের আগেই মরা গরুর মাংস ফেলে পালিয়ে গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান অভিযান চালিয়ে মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে দুই কসাইকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। মরা গরুর মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থানা হেফাজতে রয়েছে। আটক দুই কসাই ডালিম ও আলামীমের বিরুদ্ধে আইগনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম