পর্যটক বরণে প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ঈদকে কেন্দ্র করে এই পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
সাফারি পার্ক ঘিরে ঈদের দিন থেকে পর্যটকে মুখর হয়ে উঠবে। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার পর্যটক এই সাফারি পার্ক বেড়াতে আসেন। পার্কের ভিতরে বন্যপ্রাণি, পশুপাখির কিচির মিচির শব্দে বিমোহিত হবে পর্যটকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, রোজার দিনে পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই পার্কে। বিকালে কিছু পর্যটক সময় কাটাতে সাফারি পার্কে আসে। যে কারণে তেমন ব্যস্ততা নেই পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।ঈদকে কেন্দ্র করে সাফারি পার্কের বিভিন্ন স্থাপনায় নতুনত্ব আনা হয়েছে। রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে পশুপাখির বেষ্টনীগুলো। নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য সড়কও সংস্কার করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সাফারী পার্কের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পার্কের অভ্যন্তরে মোড়ে মোড়ে গার্ড মোতায়েন থাকবে। যাতে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া এই ঈদে সাফারি পার্কের আকর্ষণ বাড়িয়েছে বিভিন্ন পশুপাখির বাচ্চা প্রসব। এর মধ্যে উটপাখি ৫টি, ইমু পাখি ৩টি, এশিয়াটিক কালো ভাল্লুক ৩টি, গয়াল ৪টি, ময়ুর ৬টি ও তিথির ৩টি বাচ্চা দিয়েছে। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে এই বাচ্চা পর্যটকদের মনের আনন্দ দিবে।
তিনি জানান, এই ঈদে অন্তত লক্ষাধিক পর্যটক টানার লক্ষ্য নিয়ে সাফারি পার্ককে সাজানো হয়েছে। আরো কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সারা বছর পর্যটকে মুখর থাকবে সাফারি পার্ক।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ