নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন ও কৃষক মাসুদ মিয়াসহ ৫ জন কৃষকের ১০০ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ধানগুলো মাড়াই করে কৃষকদের ঘরে তুলে দিয়েছেন তারা। এতে, গ্রীষ্মের তাপদাহের কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা ওই দুই কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ইকবাল হোসেন প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন। এই নিয়ে গত দুই দিনে শতাধিক শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে দেন তারা।
কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, একদিকে গরম অন্যদিকে 'অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মজুরি এবার বাড়তি এবং চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। আবার দেশের অন্য জায়গা থেকে শ্রমিক এখনো আসা শুরু করেনি। ঝড় বৃষ্টির সংকায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইকবালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ খবর শুনে আমার ২৫ শতাংশ জমিতে থাকা ধানগুলো কেটে, মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাদের এমন কাজে আমি ভীষণ খুশি।
ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমিক সংকটের কারণে যেসব কৃষক পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না আমরা তাদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকের যেমন উপকার হচ্ছে তেমনি আমরাও কৃষকের পাশে দাঁড়াতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবায়েত রহমান আরাফাত বলেন, কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া মহৎ কাজ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের যেকোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ