কুড়িগ্রামের শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল তিনটায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবকটি নদনদীর পানি কমলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা ওপর দিয়ে বইছে। তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, শিমুল বাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এখনও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি থাকায় পানিবন্দি মানুষ এখনও রয়েছে বিপাকে।
জেলা প্রশাসনের বন্যা ও ত্রাণ পুণর্বাসন কেন্দ্রের সূত্র মতে, জেলার নদনদীর অববাহিকার ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তায় নগদ ১৩ লাখ টাকা, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, ১৪৪ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ সহায়তা উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বন্যায় জেলার চর ও দ্বীপচরসহ নিচু এলাকার প্রায় ১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমির পটল, ঝিঙে, পাট, ভুট্টা, বাদাম, শাক, ডাল ও অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল