মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের কাকনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতা, অযোগ্যতা, অবৈধ নিয়োগ এবং নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অপসারণ করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে উপজেলার ধামশ^র ইউনিয়নের কাকনা উচ্চ বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর আয়োজনে কাকনা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে প্রধান শিক্ষক মো.দেলেয়ার হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
পরে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে কাকনা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মিয়া ঠিকমতো স্কুলে আসেন না। তার ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসেন আবার চলে যান। এছাড়া তিনি আমাদের দিয়ে ওয়াশরুম পরিস্কার করার বলেন। আমরা ওয়াশরুম পরিস্কার, মিলাদ, ক্রীড়াসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতিমাসে ফি দেই। আমরা এসব কাজের প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন এবং মারধরের হুমকি দেয়।আসাদুজ্জামান সবুজ বলেন, ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের ৮ লাখ ৩৯ হাজার দুর্নীতির দায়ে তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়। তৎকালীন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক, প্রধান শিক্ষকের সেই অপকর্মের বিষয়টি অবগত আছেন। পরে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ফান্ডে ৫ লাখ ফেরত দেন।
এবিষয়ে কাকনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া জানান, বিদ্যালয় থেকে তাড়ানোর জন্য, সবাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। বরং আমি যোগদানের পর বিদ্যালয়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের ৮ লাখ টাকা দুর্নীতির বিষয়ে সুদুত্তর দিতে পারেন বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষক।এসময় বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য জহুর উদ্দিন, অভিবাবক সদস্য সাইদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষার্থী মীম আক্তার, রিয়া আক্তার, কাকনা এলাকার সোহেল রানা, আনসার আলী, মহিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান সবুজ ও মামুন হাসানসহ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম