প্রতি বছর ভাদ্রমাসের তালপাকা গরমের পরে আশ্বিন মাসে দিনে গরম ভোররাতে কিছুটা শীত অনুভূত হয়ে থাকে। এবার প্রকৃতি অনেকটাই বিরূপ আচরণ করছে। আশ্বিনেও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে রংপুর অঞ্চলে। দাবদাহে মানুষের পাশাপাশি রংপুরের চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোও কাহিল হয়ে পড়েছে। একটু শীতল পরশের জন্য ছটফট করছে প্রাণীগুলো।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রাণীকূলের শরীর ঠিক রাখতে ভিটামিন সি ও স্যালাইন খাওয়াচ্ছেন। বাঘ এবং সিংহের খাঁচায় দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক ফ্যান।
শনিবার দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রাণীগুলো শীতল পরশের জন্য ছটফট করছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে, গরমের কারণে চিড়িখানার পশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার দুপুর ৩টায় রংপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারও তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছিল। গত এক মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এই অবস্থা আরও ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আম্বার আলী বলেন, প্রাণীদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের স্যালাইন, ভিটামিন সি দেওয়া হচ্ছে। বাঘ-সিংহকে শীতল রাখার জন্য খাঁচায় ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ