বগুড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দমনে নতুন ইউনিট চালু করবে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হাতপাতালটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুাযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যদিও বিগত বছরগুলোতে বর্ষা মৌসুমেই দেখা যেত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। কিন্তু বর্তমানে ডেঙ্গুর এখন আর কোনো সময় বা মৌসুম নেই। যেকোনো সময় মহামারি আকার ধারণ করছে। এদিকে ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ ও সময়মতো চিকিৎসাসেবা দিতে সকল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই আলোকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আগের বছর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় দুই শতাধিক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। সে কারণে এবারও নতুন ডেঙ্গু ইউনিট স্থাপনসহ আগে থেকেই সকল প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শজিমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ জন রোগী। এই হাসপাতালে ১৬ বেড়ের ২টি কর্নার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি পুরুষ বেড ও ৮টি মহিলা বেড। ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে চিকিৎসার। পাশাপাশি হাসপাতাল ভান্ডারে সব ধরণের ওষুধও সংরক্ষণ আছে। যাতে মহামারি প্রতিরোধে যে কোন সময় রোগীর সেবায় এসব ওষুধ ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ডেঙ্গু ইউনিটের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বগুড়া সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ শফিউল আজম জানান, বগুড়ায় ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সভা-সেমিনার করা হচ্ছে। মহামারিতে ডেঙ্গু যেন বগুড়ায় আঘাত না করতে পারে সেজন্য জেলার সকল হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বগুড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দমনে নতুন ইউনিট চালু করবে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে ১৬ বেড়ের ২টি কর্নার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি পুরুষ বেড ও ৮টি মহিলা বেড রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুাযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল