নারায়নগঞ্জের গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে সদরঘাটের ফেরিওয়ালার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বরিশালের একটি আদালত। এছাড়াও তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন রায় দেন বলে বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ন কবির জানিয়েছেন। ফেরিওয়ালা সুমন সেপাই (৩৬) রায় ঘোষনার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলো।
সুমন পিরোজপুরের ভাÐারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের সেপাই বাড়ির বাসিন্দা মানিক সেপাইর ছেলে। সে ঢাকা সদরঘাটে ফেরি করে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করতো।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারীর কন্যা আখি আক্তার নারায়নগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আখি জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ঢাকা সদরঘাটে এলে পূর্ব পরিচয়ে সুত্রে সুমন আখিকে সুরভী-৮ লঞ্চের একটি ষ্টাফ কেবিন করে দেয়। ওই কেবিনে আখি বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে রাতে সুমন ওই কেবিনে গিয়ে আখিকে ধর্ষন করে। তখন আখি চিৎকার দিলে তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরের ভেড়ার পর সুমন লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
লঞ্চে লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আখির বাবা বজলু বেপারী এসে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় ওইদিন অজ্ঞাতনাম হত্যাকারীকে আসামী করে বজলু বেপারী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে। কোতয়ালী মডেল থানার এসআই নিজাম মাহমুদ নাসির ২০২২ সালের ৩০ মার্চ একমাত্র সুমনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। বিচারক ২৪ জনের স্বাক্ষ্য নিয়ে রায় দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম