গত প্রায় তিন বছর ধরে নির্মাণ কাজ শেষ করতে না পারায় বরিশাল সদর উপজেলার চরকরঞ্জি এলাকার একটি সেতু হাজারো মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার দুইটিসহ বাকেরগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা ওই সেতু দিয়ে চলাচল করে।
সদর উপজেলার চরকাউয়া চরকরঞ্জি আশ্রয়ন প্রকল্প-দিনার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোপের হাট সড়কের বায়লাখালী খালের উপর ৩০ মিটার দৈঘ্যের এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর। এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন সেতুর নির্মাণ কাজ করছে মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ।
চরকরঞ্জি এলাকার বাসিন্দা বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্রী শারমিন জাহান মুমু বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হওয়ার কারণে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, বর্তমানে সেতুর রেলিং নির্মাণ কাজ চলছে। সংযোগ সড়কে বালু না ফেলায় ঢালাইয়ের পাত ফেলে জনগণ চলাচল করছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি, রানীরহাট, সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকরঞ্জি, ঘোপের হাটের প্রায় এক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে।
এলাকার বাসিন্দা রুবেল মোল্লা ও শহীদ হাওলাদারসহ একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা রোগী। কেউ অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে আসা-যাওয়া করতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। গত তিন বছর ধরে আমরা এ ভোগান্তিতে রয়েছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মূল সড়ক থেকে ১০ ফুট উচু সেতুটি। দুই প্রান্তে সেতুর ঢালাই কাজে ব্যবহৃত ইস্পাতের পাত দিয়ে সিঁড়ি করে দেয়া হয়েছে। তার উপর দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করছে। সেতুর নির্মাণ কাজের তদারকিতে থাকা আব্দুস সাত্তার বলেন, কাজ তো চলছে। তবে একটু ধীরগতি রয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজের মো. নাসির হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন মিয়া বলেন, কি কারণে কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে আমি জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল