রাজবাড়ীতে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবদুল গণির বাড়িতে ছুটে গেলেন নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আব্দুল গণির বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ গণির পরিবারের সদস্যদের হাতে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যদের জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদানের টাকা দ্রুত দেওয়ার আশ্বাস দেন ডিসি।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম, এনডিসি নাহিদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার অঙ্কন পাল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশানের একটি আবাসিক হোটেলে কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি। গত ১৪ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা দেন তিনি। শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় এলে গুলিতে শহীদ হন।
আবদুল গণি রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর এলাকায় আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাকে হারিয়ে তার স্ত্রী লাকি আক্তার, ২০ বছর বয়সী ছেলে আলামিন শেখ ও ছয় বছরের ময়ে জান্নাত অসহায় হয়ে পড়েন।
রাজবাড়ীর কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মীর মাহামুদ সুজন বলেন, আমরা জেনেছি রাজবাড়ীর নতুন জেলা প্রশাসক আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত আবদুল গণির বাড়িতে গেছেন। আমাদের কাছে এটা ভালো লেগেছে।
বিডি প্রতিদিন/ইই