যশোর সদর ও চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানসহ নানা মৌসুমি সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার পর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, বেনেয়ালি, হাপানিয়া, লাউখালী, ভাগলপুরসহ আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। এতে পাকা বোরো ধান, পটল, সীম, বরবটি, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর গাছেও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
দোগাছিয়া গ্রামের কৃষক হাবিব জানান, তাঁর জমিতে বিঘাপ্রতি ৩০ মণ ধান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু শিলাবৃষ্টির কারণে ফলন অর্ধেকে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
অপরদিকে আহসাননগর গ্রামের পটলচাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'শিলাবৃষ্টিতে পটল গাছের আগা ভেঙে পড়েছে, ফুলের কলি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পুরো ফসল ঘরে তুলতে পারব কিনা, সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।'
শুধু ফসলই নয়, শিলার আঘাতে অনেক ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হৈবতপুর, চুড়ামনকাটি ও কাশিমপুর ইউনিয়নের পটলচাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ঘটনার পরপরই যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন চৌগাছা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, চৌগাছার তিনটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।'
এদিকে শার্শা উপজেলায় বজ্রপাতে একজন কৃষকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন উপ-পরিচালক।
বিডি প্রতিদিন/মুসা