গার্মেন্টস কর্মী কমলা খাতুন (২৬) হত্যা মামলার রায়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আসামী নিজাম উদ্দিন (৩৩) কে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই সাথে অধিকন্তু ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
আজ রবিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি নিজাম উদ্দিন পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার রাত্রা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের মেয়ে কমলা খাতুন বিবাহ বিচ্ছেদের পর তারই ছোটবোন চম্পার সাথে গাজীপুরের টঙ্গী মীরা বাজারে একটি গামেন্টসে চাকুরি নেন। চাকুরিরত অবস্থায় বিভিন্ন জনের সাথে তার প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতো। একদিন টঙ্গী মিলগেট এলাকায় ভাতিজা মাসুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হন। পরের দিন ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিকালে জেলার পূর্বধলা থানার খলিসাউড়া ইউনিয়নের পাবই দাসপাড়া বালুচড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে পাকা সড়কের কাছ থেকে কমলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে তার বড় ভাই নিজাম উদ্দিন (৩৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে বাদীর নামে পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে পরের বছর (২০২৩ সালে) ৩১ আগস্ট পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করলে আদালতে ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ