সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বিকাশ, অধিকার ও বৈচিত্র রক্ষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয় আদিবাসী পরিচয়ের স্বীকৃতির দাবি জানান সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর যুব নারী-পুরুষরা। তাদের দাবি, আদিবাসী সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। জনসাধারণ আদিবাসী এবং দলিত কারা তা জানে না। তাদের নিজস্ব রীতিনীতি, মূল্যবোধ, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক কার্যকলাপ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিবাহ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে। ‘আদিবাসী’ জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর আরও সংবেদনশীল হওয়া জরুরি।
শনিবার (২৪ মে) গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে’ তারা এসব দাবি জানান। এ উৎসবের স্লোগান ছিল, ‘অধিকার, জীবিকা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলি একতায়’। ইয়ুথ লিডার ললিতা কিস্কুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী।
আলোচনায় অংশ নেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবা অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, উদীচী জেলা সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, এনজিও বিষয়ক কনসালটেন্ট সালমা পারভীন, ইয়ুথ লিডার স্মরণিকা মার্ডি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিরিন আকতার।
এর আগে সকাল ১০টায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন হাতে তিন শতাধিক সাঁওতালসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যুব নারী-পুরুষ তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও সেখানে এসে শেষ হয়। পরে সকাল ১১টায় একাডেমি মিলনায়তনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর আলোচনা সভা শেষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
