নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি মারামারি মামলা থেকে রাসেল হোসাইন নামে এক আমেরিকা প্রবাসীর নাম বাদ দিতে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবির ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মৃধাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
বুধবার সকালে তাকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
ঘুষ সংক্রান্ত ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে শোনা যায়, পুলিশের এসআই আবু জাফরকে মারামারি একটি মামলা থেকে নাম বাদ দিতে, সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে পাঁচ লাখ টাকার নিচে হবে না। আপনি জানেন চার-পাঁচটা দফতরে টাকা দিতে হবে। আমি তো একা নাম কাটতে পারব না। নাম বাদ দিতে গেলে এসপি স্যার, সার্কেল স্যার, ওসি স্যার আমাকে ডাকতে পারে। ঈদের আগে আপাতত এক লাখ টাকা দেবেন। আসামির বাড়িতে পুলিশ যাবে না। আমিও যাব না। মনে করলে একবারেও টাকা দিতে পারেন। কত টাকা দিতে পারবেন বলেন। হলে হবে না হলে নাই। মামলা থেকে নাম বাদ দিতে গেলে আমি একা পারব না।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন গোলাম রাব্বি নামের এক ব্যক্তি। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ।
আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইন বলেন, বিদেশে থেকেও আমাকে মারামারি মামলার আসামি করা হয়েছে। অথচ নাম কাটতে পুলিশ কর্মকর্তা পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ঘুষের প্রস্তাব পেয়ে লজ্জিত এবং ব্যথিত।
ঘুষ প্রস্তাবকারী এসআই আবু জাফরের মতো দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন তিনি।
পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাই বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই পুলিশ সদস্যকে রাতেই গুরুদাসপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয় পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ