সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে, প্রতি বছরের মতো এবারও পটুয়াখালীর ২৫টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত এসব গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে। প্রতিটি বাড়িতে মিষ্টান্ন ও মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে প্রতিটি গ্রামেই পশু কোরবানি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সৌদি আরবে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে বদরপুর দরবার শরীফসহ পটুয়াখালীর ২৫টি গ্রামে ঈদুল আজহা একদিন আগেই পালন করা হয়। পূর্বপুরুষদের রীতি অনুসারে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সময়সূচি অনুযায়ী ঈদ পালন করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা। শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
বদরপুর দরবার শরীফের সেজ হুজুর আলহাজ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন। জামাতে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে সামর্থ্যবান মুসলমানরা কোরবানি দেন।
আলহাজ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী জানান, ১৯৪০ সাল থেকে বদরপুর দরবার শরীফসহ বিভিন্ন উপজেলার মুসলমানরা চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। তিনি বলেন, ‘সমগ্র মুসলিম জাতির উচিত একই চাঁদ দেখে, আরবি তারিখ অনুযায়ী, নিজ নিজ এলাকার সময় অনুসারে রোজা রাখা, ঈদ উদযাপন ও কোরবানিসহ অন্যান্য ধর্মীয় কাজ সম্পন্ন করা।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ