শেরপুর পৌরসভার শেখহাটি বাজার-গাজিরখামার-নালিতাবাড়ী উপজেলা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। সড়ক পাকা, তবে খানাখন্দ, ভাঙ্গাচোরায় যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই। কোথাও কোথাও পাকা সড়কের চিহ্নও নেই।
গত চার বছর ধরে সড়কটির বেহাল দশার কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারী ও সড়কের পাশে থাকা হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ সড়কটি এখন যেন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডি বলছে, রাস্তাটি সংস্কারে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে এলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। আর বড় ভাঙাচোরাগুলো দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিন জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর দুটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। শেরপুর-বাজিতখিলা-তিনানি দিয়ে সড়ক ও জনপথের অন্য একটি সড়ক থাকলেও দূরুত্ব বিবেচনায় শেখহাটি বাজার-গাজিরখামার-নালিতাবাড়ী সড়কটির দূরুত্ব কম। তাই দুই উপজেলার যোগাযোগে এই সড়কটি অনেকের প্রিয়। কিন্তু রাস্তাটির অবস্থা খুব খারাপ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ মাঝে মধ্যে জোড়াতালি দেয়। কিন্ত ক’দিন পরে আবার সেই অবস্থা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। ঠিকাদারের নানা জটিলতার কারণে চার বছরে ২০২০ সালে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শেষ হয় সংস্কার কাজ।
কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে ছয় মাসের মধ্যে রাস্তা ভাঙতে ভাঙতে আজ এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ সড়কটি নালিতাবাড়ী উপজেলার কিছু অংশ মোটামুটি ভালো থাকলেও শেরপুর সদর অংশের চরম খারাপ অবস্থা। চলতি বর্ষায় আরও খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। কোথাও খানাখন্দ, আবার কোথাও দেড় থেকে দুই ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা রাস্তায় চলাচলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন, অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
শেরপুর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সড়কটি সংস্কারে একটি বড় প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে গাজীরখামার, নালিতাবাড়ী হয়ে হালুয়াঘাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন হয়ে এলেই ব্যবস্থা। তবে যেসব জায়গায় বড় খানা-খন্দ রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করে দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই