হবিগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী পায়েলকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ভেতর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জের বাহুবল থানার ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বাহুবল বাজারে এক ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করে ও তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে পায়েল ও তার সহযোগীরা। এ সময় ভুক্তভোগী জীবন বাঁচাতে থানায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা থানায় গিয়েও ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামশেদ, দুলাল এবং জাহিদসহ অনেকে। তারা থানার ভেতর প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকেও আহত করে। পরে পুলিশ পায়েলকে আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা হয়েছে (মামলা নম্বর ১১/১২৬)।
সূত্র জানায়, পায়েল দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের পতনের পর দুবাইয়ে পলাতক জীবন যাপন করছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী আমলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। ৫ আগস্টের পর তারা বিদেশে পালিয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে আবারও স্বরূপে ফিরেছে।
পায়েলসহ তার সহযোগী জাহিদ, দুলাল ও জামশেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ অভিযুক্ত পায়েলকে আটক করে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দিয়েছে। এটা নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (ওসি) বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত পায়েলকে পুলিশ খুঁজছে। আটক করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল