বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে গোয়েন্দা সদস্য পরিচয়ে বন্দীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল ফোন ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতের নাম মেহেদি হাসান শাওন, তিনি বরিশাল নগরীর ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আলমের ছেলে। জানা গেছে, একসময় তিনি বিজিবির সহকারী ওবিএম ড্রাইভার ছিলেন।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরে কল করে ক্যান্টনমেন্ট থেকে মেহেদি পরিচয়ে এক বন্দীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। সময় না থাকায় শনিবার আসতে বলা হয়। তার কথায় সন্দেহ হলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায় ফোন করে জানতে পারি, মেহেদি নামে কোনো সদস্য নেই। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এসে নিজেকে ডিজিএফআই-এর পরিচয়ে হাজির হন তিনি। আইডি কার্ড চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হন এবং সেখানেই তাকে আটক করা হয়।
সিনিয়র জেল সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাওন প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তবে বন্দী শিক্ষার্থী হোসাইন আল সুহান-এর সঙ্গে কেন দেখা করতে এসেছিলেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করবে।
তিনি আরও জানান, শুধু ডিজিএফআই নয়, এনএসআই পরিচয়েও প্রতারণা করেছেন শাওন। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের ডেটাবেজ থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালেও তিনি কারাগারে ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে শাওন বলেন, তিনি একটি ভালো উদ্দেশ্যে কারাগারে এসেছিলেন এবং বন্দী সুহানের সঙ্গে ছোট ভাই হিসেবে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ওয়াকিটকি ব্যবহার করাকে তিনি ভুল হিসেবে স্বীকার করেন। দাবি করেন, তিনি শুধু বিজিবিতে চাকরি করার সময়কার পরিচয় দিতেন। তবে নগরীতে নিজেকে গোয়েন্দা সদস্য পরিচয় দেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ মামলা করবে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক