দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার ৩ (সেপ্টেম্বর) সকালে ঘিওর পাবলিক লাইব্রেরীতে এক পথসভা শুরু হয়। এরপর মানিকগঞ্জ-১ আসনের তিনটি উপজেলা থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমবেত হন। পরে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্লোগানের নগরীতে পরিণত হয় ঘিওর উপজেলা। হাতে ব্যানার-ফেস্টুন ও নানান প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে নানান স্লোগান দিতে থাকেন।
র্যালির নেতৃত্ব দেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ারের হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটি সদস্য ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু।
এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন মরহুম খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর পুত্র আমেরিকা প্রবাসী খোন্দকার রুমান, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম বিল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঘিওর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর কায়সার হামিদ, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিদুর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা প্রজন্ম দলের সভাপতি ডা. এনামুল হক, ঘিওর উপজেলা কৃষক দলের সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম চান্দু, শিবালয় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু খালিদ ডন, দৌলতপুর উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সার্জেন্ট শাহীন, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সাবেক সদস্য মো. জুয়েল রানাসহ যুবদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সমাবেশ ও র্যালিতে ঘিওর-দৌলতপুর ও শিবালয়ের উপজেলার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, আজকের এই দিন আমাদের জন্য গর্বের,আমাদের জন্য উল্লাসের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জনগণের অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই অঙ্গীকারকে আন্দোলন ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে সমুন্নত রেখেছেন। আজ দেশনেতা তারেক রহমান প্রবাসে থেকেও আমাদের প্রত্যেকটি সংগ্রামে আলোকবর্তিকার মতো দিশা দেখাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে গত ১৭টি বছর আমাদের কোনো দলীয় কর্মসূচি ভালোভাবে পালন করতে দেয়নি, আজকের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে মানুষ বিএনপিকে কত ভালোবাসে এবং ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে এখন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে এবং মানুষের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সকলকে জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বুঝিয়ে বলতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম