দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হায়াত উদ্দিন (৪২) হত্যার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। বাগেরহাট প্রেসক্লাবের আয়োজনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় বক্তৃতা দেন বাগেরহাট প্রেসক্লাব সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম. এ. সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, খান মনিরুল ইসলাম, শেখ মাহবুবুর রহমান টুটুল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম এবং কৃষকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ আসাফুদ্দৌলা জুয়েল।
বক্তারা বলেন, “সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রশাসনকে দ্রুত ঘাতকদের গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাগেরহাটে এনে হাড়িখালী স্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত হায়াত উদ্দিন বাগেরহাট পৌর বিএনপির সদস্য ছিলেন। তিনি স্ত্রী, মা ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালী এলাকায় বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তরা হায়াত উদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে শহরের হাড়িখালী এলাকার ইসরাফিল মোল্লার বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা, হাতুড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজনের নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পেশাগত লেখালেখি, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নাকি এলাকা দখল-বিস্তার ইস্যু—তা এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্তের অগ্রগতির জন্য একাধিক ইউনিট মাঠে কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল