গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসে আমাদের স্বপ্ন, দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর শান্তিপূর্ণ হবে কিনা- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা হোক।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান। এসময় তিনি ৩০০ আসনের মধ্যে প্রথম ধাপে দলের ৩৬টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
নুর বলেন, ‘রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। আর সরকার পদে পদে আমাদের লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়ারও দাবি জানান নুর।
এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসনকেও ঢেলে সাজানোর দাবি জানান গণঅধিকারের এই সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রশ্নে করিডর, বন্দর, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানান নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদের প্রথম ধাপে ৩৬ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গণঅধিকার পরিষদের প্রথম ধাপের প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩০০ আসনের তালিকা ঘোষণা করা হবে। দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন এ তালিকা ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- নুরুল হক নুর (পটুয়াখালী -৩), রাশেদ খান (ঝিনাইদহ-২), ফারুক হাসান (ঠাকুরগাঁও-২), হাসান আল মামুন (নেত্রকোনা-২), আবু হানিফ (কিশোরগঞ্জ-১), শাকিল উজ্জামান (টাংগাইল - ২, হানিফ খান সজিব (রংপুর -১)।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত