পাইনঅ্যাপেল ফিশ। এ প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম- Cleidopus gloriamaris, ল্যাটিন শব্দ gloria এবং maris; যার অর্থ ‘সমুদ্রের গৌরব’। এরা বায়োলুমিনেসেন্স প্রাণী। গোলাকার, মোটা আকৃতির। প্রশস্ত মুখ, মাথাটি বড়, হাড়গুলো ভারী। ভোঁতা থুতনি, দাঁতগুলো ছোট এবং পাতলা। চোয়ালের কিছু অংশ কালো রঙের। পিঠের পাখনায় ৫-৭টি ঝিল্লি মুক্ত শক্তিশালী কাঁটা থাকে যা ডান বাঁদিকে ফেরানো যায়। মুখের নিচের চোয়ালে বায়োলুমিনেসেন্ট ব্যাকটেরিয়া নামে দুটি গর্ত রয়েছে, যা মুখ বন্ধ করলে লুকিয়ে থাকে। একে ফটোফোর বলা হয়। এখান থেকে এরা আলো জ্বালে। এদের আলো ছোট মাছের ফোটোফোর থেকে সবুজ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ফোটোফোর থেকে লাল আলো বের হয়ে থাকে।
এরা ১৩ থেকে সেমি থেকে সর্বোচ্চ ২৫ সেমি (১০ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্য এবং ২.৩ কেজি (৫ পাউন্ড) পর্যন্ত ওজনের হয়ে থাকে। পাইনঅ্যাপেল ফিশের শরীরের উজ্জ্বল হলুদ আঁশগুলো এতটাই শক্ত যে, রিফ হাঙর এবং অক্টোপাসের মতো ভয়ঙ্কর শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ছোট পাখনা এবং শক্ত বর্মের কারণে, আনারস মাছ দুর্বল সাঁতারু। এরাও নিশাচর প্রজাতি। দিনে গুহা ও পাথরের নিচে লুকিয়ে থাকে। রাতে বালুকাময় ভূমিতে খাবারের সন্ধানে বের হয়। তার ফোটোফোরের আলো ছোট চিংড়ি, কাঁকড়া, ছোট পোকামাকড় শিকার করতে এবং তার সঙ্গীকে খুঁজে পেতেও সাহায্য করে। এরা দলবেঁধে চলে না। একা থাকতে পছন্দ করে। পাইনঅ্যাপেল ফিশ কুইন্সল্যান্ড, নিউ সাউথ ওয়েলস ও অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় উষ্ণ পানির ৬ থেকে ২০০ মিটার গভীরে বসবাস করে।