এশিয়া প্যাসিফিকের (এপিএসি) গ্রাহক ও ভোক্তারা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিতে খাপ খাইয়ে নিতে সবচেয়ে বেশি উৎসাহী। এই অঞ্চলের ৮৮ শতাংশই বিগত বছর বিভিন্ন ডিজিটাল ওয়ালেট, কিউআর কোড, বাই নাও পে লেটার (বিএনপিএল), ক্রিপ্টোকারেন্সি, বায়োমেট্রিক্স নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন।
একইসময়ে ৬৯ শতাংশ এপিএসি ভোক্তা অন্তত একটি ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিতে তাদের লেনদেন বাড়িয়েছেন ও ডিজিটাল উপায়ে অর্থ ব্যবহারের গতি ধরে রেখেছেন। তুলনামূলকভাবে উত্তর আমেরিকার ৫২ শতাংশ ও ইউরোপের ৪৮ শতাংশ ভোক্তা একইভাবে ডিজিটাল পেমেন্টে তাদের ব্যবহার বাড়িয়েছেন।
গ্রাহক ও ভোক্তাদের লেনদেন অভ্যাস, ধরন ও তাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো মাস্টারকার্ডের দ্বিতীয় বার্ষিক নতুন পেমেন্টস ইনডেক্স (এনপিআই) এ প্রকাশ পেয়েছে। বৈশ্বিক এই ভোক্তা জরিপে ৫টি অঞ্চলের ৪০টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। জরিপের অন্তর্ভুক্ত ৭টি এপিএসি দেশ হলো:- অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান, নিউ জিল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির দ্রুত বিস্তৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং লেনদেনের এই পরিবর্তন স্থায়ী হতে চলেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৪০ শতাংশ এপিএসি অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, বিগত বছর থেকে তারা ক্যাশ ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। ডিজিটাল পেমেন্টে রূপান্তর সত্ত্বেও জরিপে অংশ নেয়া ভোক্তারা আরো জানিয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং এর নিরাপত্তা বিষয়ে তারা অবগত এবং একইসঙ্গে নতুন উপায়ও তারা যাচাই করছেন। কিন্তু পেমেন্ট পদ্ধতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে ভোক্তাদের কাছে, কম ইন্টারেস্ট রেট, রিওয়্যার্ডস, প্রমোশন, ডিসকাউন্ট ইত্যাদির চেয়ে নিরাপত্তার বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে দেখা গেছে।
মাস্টারকার্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রোডাক্টস ও ইনোভেশন এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দ্বীপ মালহোত্রা বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিকের ভোক্তারা নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ-খাওয়াতে তাদের সদিচ্ছা ধারাবাহিকভাবে দেখিয়ে আসছেন এবং পেমেন্টও ব্যতিক্রম কিছু নয়। সারাবিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট, আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের মতো অনিশ্চয়তার মধ্যেও অর্থ লেনদেনের বিকল্পগুলো যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে, নিরাপত্তা জোরদার ও ভোক্তাদের অভ্যস্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যাংক, সরকার এবং আর্থিক পরিমণ্ডলের অন্যান্য অংশীদাররা সক্রিয়ভাবে পেমেন্ট পদ্ধতির টেকসই প্রসিদ্ধিকে সমর্থন করে। বিদ্যমান পরিস্থিতি পুনরায় নিশ্চিত হবার পর, খুব সম্ভবত আমরা এই অঞ্চলে পেমেন্ট টেকনোলজি আরো বিস্তৃত পরিসরে দেখতে পাব।”
বিডি প্রতিদিন/এএম