মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইতিহাস

মামলুক আগ্রাসন

দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ওসমানিয়া সুলতান সেলিম তার গুপ্তচরের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, মামলুকরা আগ্রাসনের নিমিত্ত যুদ্ধাভিযান করেছে। এর ফলে সেলিম কানুসুল-এর দূতকে অপমানিত করে বিতাড়িত করেন। অপরদিকে তুর্কি দূতও মামলুক সুলতানের কাছে লাঞ্ছিত হন। এভাবে তুরস্ক ও মিসরের মধ্যে শান্তির আশা ধূলিসাৎ হলে উভয়পক্ষ সমরপ্রস্তুতি গ্রহণ করে। ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে সুলতান সেলিম বিশাল সৈন্যবাহিনীসহ কুনিয়ায় উপস্থিত হন এবং আলেপ্পো শহরে অবস্থানরত মামলুক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। আলেপ্পোর নিকটবর্তী মার্জ দাবিকের প্রান্তরে ২৪ আগস্ট মামলুক ও তুর্কি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তুর্কিদের তুলনায় মামলুক বাহিনী ছিল খুব দুর্বল; তাদের কোনো সাঁজোয়া বাহিনী ছিল না। উপরন্তু সৈন্য বাহিনীর একটি অংশ আলেপ্পোর শাসনকর্তা কুয়েত বে’র নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালিত করে; কিন্তু তিনি পূর্ব ষড়যন্ত্র মোতাবেক বিশ্বাসঘাতকতা করে সেলিমের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। এর ফলে মামলুকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং পঁচাত্তর বছর বয়স্ক মামলুক সুলতান কানসুল ঘোরী বীরবিক্রমে যুদ্ধ করেও অশ্বপৃষ্ঠ হতে পড়ে পদদলিত হয়ে নিহত হন। মামলুকরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। তুর্কিদের বিজয়ের মূলে ছিল উন্নত ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ— কামান, বন্দুক এবং দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর