শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

কাজী সিরাজ
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি খোশমেজাজেই অংশ নিয়েছিল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পরপরই তাদের মেজাজ কিছুটা বিগড়ে যায় বলে মনে হয়েছে ২৭ জানুয়ারি বিকালেই দলের মহাসচিব ছয় সদস্যের কমিটির পাঁচজনের আওয়ামী ওরিয়েন্টেশনের বিষয় উল্লেখ করে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু দু-তিনজন অতি উৎসাহী বাক্যবাগীশ এমন সব কথাবার্তা বলেছেন তাতে জনগণের কাছে এমন বার্তাই গিয়েছিল যে, এই সার্চ কমিটি তো বটেই, এই কমিটির প্রস্তাবিত এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গঠিত নির্বাচন কমিশনকেই বিএনপি নাকচ করে দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো তেমন খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেনি। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাও কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং বিএনপির কারও কারও অ্যাডভার্স বক্তব্যকে পুঁজি করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে চিন্তায় ফেলেছিল। এখন সে সব বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের অবসান হয়েছে। তবে আলোচনায় আছে নির্বাচন কমিশন গঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সর্বমহলে এটাই আলোচনার প্রধান ইস্যু থাকবে। সার্চ কমিটি গঠনের পর বিএনপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। বিএনপির প্রতিক্রিয়াটা ছিল বেশ কঠোর। তাদের কেউ কেউ এই কমিটিকে আওয়ামী লীগের কমিটি বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দলের বিভিন্ন স্তরের বড় বড় পোস্ট-পজিশনধারী জনা তিন-চারেক ‘মিডিয়াপাগল’ এমন সব মন্তব্য করেছেন যা দলের বক্তব্য ছিল না। এরা কাজের বেলায় ঠনঠন। সংগঠনের জন্য তারা কী করেন কেউ জানে না। দলীয় কাজে এই সব ব্যক্তি ঢাকার বাইরে এক কদম দেন না। খাঁকি পোশাকের পিওন দেখলে পুলিশ মনে করে ভয়ে পালান। কিন্তু দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার মতো কথা বলার ওস্তাদ! অতি কথা বলে এরা নেতাগিরি ফলান। হ্যাঁ, মহাসচিবের বক্তব্যকে দলের বক্তব্য হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কেননা কোনো দলের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক দলের নির্বাহী প্রধান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছে বলে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিজে যেমন বিতর্কিত হয়েছেন, তার দলকেও বিব্রত করেছেন। তার বক্তব্য না তার দল সমর্থন করেছে, না রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে তা স্বীকার করা হয়েছে। যদি তেমনই হতো, শাসক দলের সাধারণ সম্পাদকের সম্মান ও মুখ রক্ষার জন্য হলেও তারা কিছু বলত। বিএনপি কাদের নাম দিয়েছে ৩১ জানুয়ারি বিকালের মধ্যেই দেশ-বিদেশের উৎসাহী সবাই তা জেনেছে। তাতে বিচারপতি কে এম হাসানের নাম নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে দলের নির্বাহী প্রধানের কোনো জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বক্তব্য-মন্তব্য প্রকাশের সময় খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা, আগেই বলেছি, তার বক্তব্য দলের বক্তব্য হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। নির্বাহী প্রধানের অসতর্কতায় ক্ষতি পুষতে দলকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিএনপি এখন ক্ষমতার বাইরে। সংসদেও নেই। সরকার বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিরোধী দলের স্বার্থ যখন জড়িত থাকে, সে ক্ষেত্রে মন্তব্য প্রকাশে দলীয় মুখপাত্রের সতর্ক থাকা দরকার, যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে যায়। বিএনপি মহাসচিব কর্তৃক সার্চ কমিটির সমালোচনার পেছনে কমিটির পাঁচজন সদস্যের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে একে আওয়ামী লীগের কমিটি বলায় কিছু মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেও এদের বর্তমান যে অবস্থান সেখানে থেকে তারা একটি ‘আওয়ামী নির্বাচন কমিশন’ করে দেবেন, সবাই এমনও ভাবছেন না। সার্চ কমিটিকে এখনো ‘ফার্স কমিটি’ বলার সময় আসেনি। এ ব্যাপারে ৩০.০১.২০১৭ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির কোনো সভা হয়েছে বলে কারও জানা নেই। তবু দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সার্চ কমিটি থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে যারা ‘শিশু-সুলভ’ তাত্ক্ষণিক মন্তব্য করে নিজেরা পত্রিকায় শিরোনাম হয়ে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলেন তা থেকে কিছুটা রক্ষা করেছেন। দলের মহাসচিবও পরে ইতিবাচক কথা বলেছেন। বিএনপিতে অনেকে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড পদ পেয়েছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারণী বিষয়াবলিতে যার যার ইচ্ছামতো মনের মাধুরী মিশিয়ে অসমীচীন বক্তব্য প্রদান বিএনপির মতো এখনো বহুল জনপ্রিয় একটি দলের অ্যালাউ করা উচিত কিনা ভাবা দরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ে দলের পক্ষে কে কে বলবেন আর বলতে পারবেন না তা নির্ধারিত থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে সাধারণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যারা অতি উৎসাহী হয়ে আগ বাড়িয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই নীতিগত ও কৌশলগত জরুরি বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন, প্রচারপ্রিয় সে সব ব্যক্তি দলের সবার কাছেই পরিচিত হওয়ার কথা। জনগণও এদের কথাকে ‘আধা পয়সার’ মূল্য দেয় বলে মনে হয় না। কেউ কেউ কৌশলে সরকারি দলের হাতে ইস্যুও তুলে দেন। এরা আসলে কার লোক বোঝাও মুশকিল। এসব বাক্যবাগীশকে থামিয়ে দেওয়া তাদের দলের স্বার্থেই জরুরি। সার্চ কমিটি নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক কোনো গণবিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়নি বলেই প্রতীয়মান হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিলেন তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, আবার বিএনপিও এই সার্চ কমিটির কাছ থেকেই ভালো একটি নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করছে— অর্থাৎ মানি না, মানব না অবস্থানে নেই।

 

 

দশ দিনের সার্চ কমিটি ইতিমধ্যে যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্রায় সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে যারা মূল স্টেকহোল্ডার তারা হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু রাজনৈতিক দলসমূহ। নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই পরবর্তী পাঁচ বছরের সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। সার্চ কমিটি সেই ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নাম চেয়েছে। এটি একটি পজিটিভ উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২৫টি দল ৩১ জানুয়ারিই স্ব স্ব দলের নামের তালিকা জমা দিয়েছে এবং ১২৫ নাম থেকে সার্চ কমিটি ২০ জনের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করেছে। তবে কয়েকটি দল নাম না দিয়ে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির ওপর ছেড়ে দিয়েছে। কেউ আবার বলছে, নাম দিয়ে কাম কী? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই যখন সব হবে তো বোঝাই যায় কী হবে। ইতিবাচক কিছু যে হতে পারে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কেন তা ভাবছে না বুঝতে পারি না। আর যদি তেমন দলানুগত, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় সে সম্পর্কে কথা বলার সময় তো আছেই। ৩১টি দলের মধ্যে বেশির ভাগই সরকারের বিরোধী পক্ষ। তাদের দাবি যদি থাকে সব দলের ঘোষিত বা জমা দেওয়া নামের ভিতর থেকেই সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে এবং সেই নামের তালিকাও পাবলিক করতে হবে, তারপর দেখতে হবে রাষ্ট্রপতি কী করেন। এ লেখা যখন ছাপা হবে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনেকটাই ততদিনে প্রায় সম্পন্ন হয়ে যাবে; বাকি থাকবে সার্চ কমিটির নামের তালিকা জমা দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা। সার্চ কমিটির সব দলের কাছে নাম চাওয়ার প্রস্তাব বিষয়টিকে এমন একটি জায়গায়ই পৌঁছে দিয়েছে যে, তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তোলার কোনো সুযোগ তারা রাখেনি। কাজেই সার্চ কমিটিকে নিয়ে এত বেশি সন্দেহবাতিকে ভোগা বোধহয় সঠিক হয়নি। তাদের দ্বিতীয় উদ্যোগটিও প্রশংসিত হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের নাম যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপারে দেশের প্রথিতযশা ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষপক্তির পক্ষভুক্ত, কিন্তু সরাসরি কোনো দলভুক্ত নন। এদের কাছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলনিরপেক্ষ, সৎ পরামর্শ জাতি প্রত্যাশা করতেই পারে। তারা তা করেছেনও। তারাও সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের তালিকা দেবেন তা জনসাধারণকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পরে যে পাঁচজনকে ডাকা হয়েছিল সেখানে একজনের বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলা থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটাও স্বচ্ছতা। বাকি চারজন অবিতর্কিত। সার্চ কমিটির ১০ দিনের আয়ুষ্কালের প্রথম দিনের সিদ্ধান্তই ছিল আশাজাগানিয়া।

নতুন নির্বাচন কমিশনটি কেমন হবে এখনই তা বলা সম্ভব না হলেও প্রক্রিয়াটি একেবারেই অস্বচ্ছ তা বলা যাবে না। ভালো কিছু আশা করছেন সবাই। সরকারি দলের পক্ষ থেকেও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে তারাও মনে করছেন। আগামী (একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি— উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ একটি নির্বাচনের ‘বোঝা’ টেনে চলেছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে পরোক্ষভাবে সে বিষয়টি স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, পরবর্তী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা তিনি চান না। বিগত নির্বাচন (দশম সংসদ) সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোভাব কী ছিল তা সবারই জানা। বাইরের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গত তিন বছর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চৌকস নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের’ সম্পর্ক এবং নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজে মোটামুটি সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে অনেকেই তাদের নেতিবাচক মনোভাব যে বদলায়নি সে ধারণাটা অমূলক নয়। কেউ কেউ মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তা জাতীয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও আসে। তিন বছর ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সফর করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও হয়তো অনুভব করছেন, একটি প্রশ্নহীন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সেই সংসদের নেত্রী হওয়ার মর্যাদা ও গৌরবই আলাদা। ধরে নেওয়া যায় যে, হয়তো তাই তিনি প্রশ্নহীন, অবিতর্কিত একটি নির্বাচন চান। তাছাড়া পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ নিতে পারে— যা বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার ওপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান শুধু নয়, ভবিষ্যৎও অনেকটা জড়িয়ে আছে। সে জন্য আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়া আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত আট বছরের উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যদি এতটাই জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘ঝুঁকি’ তাদের নেওয়াই উচিত। অপরদিকে বিএনপি কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করলে দলটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন সংকটের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু তাতে দলটির বর্তমান বেহাল দশা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে তা তাদের গভীরভাবে ভাবা উচিত। নির্বাচনপন্থি দল বিএনপির আবারও নির্বাচন বর্জন হবে আত্মঘাতী। নির্বাচন কমিশন নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের বিষয় সামনে এলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা তাদের কোনো অবস্থাতেই পরিহার করা সমীচীন হবে না। আমাদের দেশে কোনো সরকারের আমলেই গঠিত নির্বাচন কমিশন বিরোধী দল কর্তৃক প্রশংসিত হয়নি। বিরোধী দলে অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এক দল আরেক দলের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, গঠিত নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে হরতালও করেছে। এ ইতিহাস সবার জানা। আবার নির্দিষ্ট দলের ভাষায় ‘প্রত্যাখ্যাত’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দল বিশেষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে। যে কমিশনের বিরুদ্ধে হরতাল করেছে, সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি তো ক্ষমতায়ই এসেছে। আওয়ামী লীগও। হার-জিতের চাইতেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই ছিল সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মাথায় থাকা উচিত আগামী নির্বাচন। হার-জিত নয়, একটি ভালো নির্বাচন দুই দলের জন্যই জরুরি। দুই দলেরই সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ করে পথচলা বাঞ্ছনীয়। এটা বহুদলীয় গণতন্ত্রেরও একটি বড় শিক্ষা। এতে দেশ উপকৃত হবে, জনগণ শান্তিতে থাকবে।

রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ প্রয়োজন গণতন্ত্রকে সংহত রূপ দেওয়ার জন্য। আমরা জানি, একটি ভালো নির্বাচনই গণতন্ত্রের সবকিছু নয়। প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ও চর্চার একটি প্রবেশদ্বার হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন পরবর্তী বিষয়াবলি নিষ্পত্তি না করে একটি ভালো নির্বাচন করেই গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করা যায় না। হিটলারও নির্বাচিত সরকারের প্রধান ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিস অতি সম্প্রতি বলেছেন, মানুষের আবেগ-অনুভূতি ও ভয়কে পুঁজি করে কিছু নির্বাচিত সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট হওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা শেষ হলেও আরও কিছু বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ হওয়া জরুরি। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সম্ভবত এ দিকটির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করে দেওয়া সমীচীন হয়নি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। আলোচনা হওয়া দরকার, একটি ভালো নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, বিজিত দলের নেতা-কর্মীরা বিজয়ী দলের কাছে নিরাপদ থাকবে কিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে তার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার বলছেন— ‘জিততে না পারলে জানে বাঁচবেন না’, এটা সত্য হবে কিনা, যেনতেন প্রকারে জেতার একটা বার্তা হিসেবে কর্মীরা বিবেচনা করবে কিনা এই বক্তব্যকে, দেশে আইনের শাসন সুদৃঢ় হবে কিনা, বিচারবিভাগ কার্যকর স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে কিনা, অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা থাকবে কিনা, লুটপাটের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধ হবে কিনা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে কিনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে কিনা, ব্যক্তি ও সমষ্টির সৎ উপার্জিত সম্পদের সুরক্ষা থাকবে কিনা, অর্ধেক জনসংখ্যা নারীর সর্বক্ষেত্রে ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে কিনা, সর্বোপরি একাত্তরকে বেসলাইন করে জাতীয় স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে কিনা। যে নির্বাচন এসব বিষয় নিশ্চিত করবে না, তা কি অর্থপূর্ণ হবে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকার?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকার?

৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৪১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করছে ইসি
নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করছে ইসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসু নির্বাচনে নানা অনিয়মের তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে নানা অনিয়মের তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৬ হাজার
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৬ হাজার

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজামুখী ত্রাণবহরে যোগ দিচ্ছে গ্রিসের দুই জাহাজ
গাজামুখী ত্রাণবহরে যোগ দিচ্ছে গ্রিসের দুই জাহাজ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত
বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান
কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক