শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

কাজী সিরাজ
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি খোশমেজাজেই অংশ নিয়েছিল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পরপরই তাদের মেজাজ কিছুটা বিগড়ে যায় বলে মনে হয়েছে ২৭ জানুয়ারি বিকালেই দলের মহাসচিব ছয় সদস্যের কমিটির পাঁচজনের আওয়ামী ওরিয়েন্টেশনের বিষয় উল্লেখ করে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু দু-তিনজন অতি উৎসাহী বাক্যবাগীশ এমন সব কথাবার্তা বলেছেন তাতে জনগণের কাছে এমন বার্তাই গিয়েছিল যে, এই সার্চ কমিটি তো বটেই, এই কমিটির প্রস্তাবিত এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গঠিত নির্বাচন কমিশনকেই বিএনপি নাকচ করে দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো তেমন খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেনি। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাও কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং বিএনপির কারও কারও অ্যাডভার্স বক্তব্যকে পুঁজি করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে চিন্তায় ফেলেছিল। এখন সে সব বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের অবসান হয়েছে। তবে আলোচনায় আছে নির্বাচন কমিশন গঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সর্বমহলে এটাই আলোচনার প্রধান ইস্যু থাকবে। সার্চ কমিটি গঠনের পর বিএনপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। বিএনপির প্রতিক্রিয়াটা ছিল বেশ কঠোর। তাদের কেউ কেউ এই কমিটিকে আওয়ামী লীগের কমিটি বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দলের বিভিন্ন স্তরের বড় বড় পোস্ট-পজিশনধারী জনা তিন-চারেক ‘মিডিয়াপাগল’ এমন সব মন্তব্য করেছেন যা দলের বক্তব্য ছিল না। এরা কাজের বেলায় ঠনঠন। সংগঠনের জন্য তারা কী করেন কেউ জানে না। দলীয় কাজে এই সব ব্যক্তি ঢাকার বাইরে এক কদম দেন না। খাঁকি পোশাকের পিওন দেখলে পুলিশ মনে করে ভয়ে পালান। কিন্তু দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার মতো কথা বলার ওস্তাদ! অতি কথা বলে এরা নেতাগিরি ফলান। হ্যাঁ, মহাসচিবের বক্তব্যকে দলের বক্তব্য হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কেননা কোনো দলের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক দলের নির্বাহী প্রধান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছে বলে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিজে যেমন বিতর্কিত হয়েছেন, তার দলকেও বিব্রত করেছেন। তার বক্তব্য না তার দল সমর্থন করেছে, না রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে তা স্বীকার করা হয়েছে। যদি তেমনই হতো, শাসক দলের সাধারণ সম্পাদকের সম্মান ও মুখ রক্ষার জন্য হলেও তারা কিছু বলত। বিএনপি কাদের নাম দিয়েছে ৩১ জানুয়ারি বিকালের মধ্যেই দেশ-বিদেশের উৎসাহী সবাই তা জেনেছে। তাতে বিচারপতি কে এম হাসানের নাম নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে দলের নির্বাহী প্রধানের কোনো জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বক্তব্য-মন্তব্য প্রকাশের সময় খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা, আগেই বলেছি, তার বক্তব্য দলের বক্তব্য হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। নির্বাহী প্রধানের অসতর্কতায় ক্ষতি পুষতে দলকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিএনপি এখন ক্ষমতার বাইরে। সংসদেও নেই। সরকার বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিরোধী দলের স্বার্থ যখন জড়িত থাকে, সে ক্ষেত্রে মন্তব্য প্রকাশে দলীয় মুখপাত্রের সতর্ক থাকা দরকার, যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে যায়। বিএনপি মহাসচিব কর্তৃক সার্চ কমিটির সমালোচনার পেছনে কমিটির পাঁচজন সদস্যের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে একে আওয়ামী লীগের কমিটি বলায় কিছু মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেও এদের বর্তমান যে অবস্থান সেখানে থেকে তারা একটি ‘আওয়ামী নির্বাচন কমিশন’ করে দেবেন, সবাই এমনও ভাবছেন না। সার্চ কমিটিকে এখনো ‘ফার্স কমিটি’ বলার সময় আসেনি। এ ব্যাপারে ৩০.০১.২০১৭ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির কোনো সভা হয়েছে বলে কারও জানা নেই। তবু দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সার্চ কমিটি থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে যারা ‘শিশু-সুলভ’ তাত্ক্ষণিক মন্তব্য করে নিজেরা পত্রিকায় শিরোনাম হয়ে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলেন তা থেকে কিছুটা রক্ষা করেছেন। দলের মহাসচিবও পরে ইতিবাচক কথা বলেছেন। বিএনপিতে অনেকে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড পদ পেয়েছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারণী বিষয়াবলিতে যার যার ইচ্ছামতো মনের মাধুরী মিশিয়ে অসমীচীন বক্তব্য প্রদান বিএনপির মতো এখনো বহুল জনপ্রিয় একটি দলের অ্যালাউ করা উচিত কিনা ভাবা দরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ে দলের পক্ষে কে কে বলবেন আর বলতে পারবেন না তা নির্ধারিত থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে সাধারণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যারা অতি উৎসাহী হয়ে আগ বাড়িয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই নীতিগত ও কৌশলগত জরুরি বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন, প্রচারপ্রিয় সে সব ব্যক্তি দলের সবার কাছেই পরিচিত হওয়ার কথা। জনগণও এদের কথাকে ‘আধা পয়সার’ মূল্য দেয় বলে মনে হয় না। কেউ কেউ কৌশলে সরকারি দলের হাতে ইস্যুও তুলে দেন। এরা আসলে কার লোক বোঝাও মুশকিল। এসব বাক্যবাগীশকে থামিয়ে দেওয়া তাদের দলের স্বার্থেই জরুরি। সার্চ কমিটি নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক কোনো গণবিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়নি বলেই প্রতীয়মান হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিলেন তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, আবার বিএনপিও এই সার্চ কমিটির কাছ থেকেই ভালো একটি নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করছে— অর্থাৎ মানি না, মানব না অবস্থানে নেই।

 

 

দশ দিনের সার্চ কমিটি ইতিমধ্যে যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্রায় সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে যারা মূল স্টেকহোল্ডার তারা হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু রাজনৈতিক দলসমূহ। নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই পরবর্তী পাঁচ বছরের সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। সার্চ কমিটি সেই ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নাম চেয়েছে। এটি একটি পজিটিভ উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২৫টি দল ৩১ জানুয়ারিই স্ব স্ব দলের নামের তালিকা জমা দিয়েছে এবং ১২৫ নাম থেকে সার্চ কমিটি ২০ জনের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করেছে। তবে কয়েকটি দল নাম না দিয়ে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির ওপর ছেড়ে দিয়েছে। কেউ আবার বলছে, নাম দিয়ে কাম কী? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই যখন সব হবে তো বোঝাই যায় কী হবে। ইতিবাচক কিছু যে হতে পারে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কেন তা ভাবছে না বুঝতে পারি না। আর যদি তেমন দলানুগত, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় সে সম্পর্কে কথা বলার সময় তো আছেই। ৩১টি দলের মধ্যে বেশির ভাগই সরকারের বিরোধী পক্ষ। তাদের দাবি যদি থাকে সব দলের ঘোষিত বা জমা দেওয়া নামের ভিতর থেকেই সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে এবং সেই নামের তালিকাও পাবলিক করতে হবে, তারপর দেখতে হবে রাষ্ট্রপতি কী করেন। এ লেখা যখন ছাপা হবে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনেকটাই ততদিনে প্রায় সম্পন্ন হয়ে যাবে; বাকি থাকবে সার্চ কমিটির নামের তালিকা জমা দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা। সার্চ কমিটির সব দলের কাছে নাম চাওয়ার প্রস্তাব বিষয়টিকে এমন একটি জায়গায়ই পৌঁছে দিয়েছে যে, তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তোলার কোনো সুযোগ তারা রাখেনি। কাজেই সার্চ কমিটিকে নিয়ে এত বেশি সন্দেহবাতিকে ভোগা বোধহয় সঠিক হয়নি। তাদের দ্বিতীয় উদ্যোগটিও প্রশংসিত হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের নাম যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপারে দেশের প্রথিতযশা ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষপক্তির পক্ষভুক্ত, কিন্তু সরাসরি কোনো দলভুক্ত নন। এদের কাছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলনিরপেক্ষ, সৎ পরামর্শ জাতি প্রত্যাশা করতেই পারে। তারা তা করেছেনও। তারাও সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের তালিকা দেবেন তা জনসাধারণকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পরে যে পাঁচজনকে ডাকা হয়েছিল সেখানে একজনের বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলা থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটাও স্বচ্ছতা। বাকি চারজন অবিতর্কিত। সার্চ কমিটির ১০ দিনের আয়ুষ্কালের প্রথম দিনের সিদ্ধান্তই ছিল আশাজাগানিয়া।

নতুন নির্বাচন কমিশনটি কেমন হবে এখনই তা বলা সম্ভব না হলেও প্রক্রিয়াটি একেবারেই অস্বচ্ছ তা বলা যাবে না। ভালো কিছু আশা করছেন সবাই। সরকারি দলের পক্ষ থেকেও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে তারাও মনে করছেন। আগামী (একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি— উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ একটি নির্বাচনের ‘বোঝা’ টেনে চলেছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে পরোক্ষভাবে সে বিষয়টি স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, পরবর্তী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা তিনি চান না। বিগত নির্বাচন (দশম সংসদ) সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোভাব কী ছিল তা সবারই জানা। বাইরের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গত তিন বছর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চৌকস নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের’ সম্পর্ক এবং নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজে মোটামুটি সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে অনেকেই তাদের নেতিবাচক মনোভাব যে বদলায়নি সে ধারণাটা অমূলক নয়। কেউ কেউ মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তা জাতীয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও আসে। তিন বছর ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সফর করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও হয়তো অনুভব করছেন, একটি প্রশ্নহীন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সেই সংসদের নেত্রী হওয়ার মর্যাদা ও গৌরবই আলাদা। ধরে নেওয়া যায় যে, হয়তো তাই তিনি প্রশ্নহীন, অবিতর্কিত একটি নির্বাচন চান। তাছাড়া পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ নিতে পারে— যা বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার ওপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান শুধু নয়, ভবিষ্যৎও অনেকটা জড়িয়ে আছে। সে জন্য আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়া আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত আট বছরের উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যদি এতটাই জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘ঝুঁকি’ তাদের নেওয়াই উচিত। অপরদিকে বিএনপি কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করলে দলটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন সংকটের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু তাতে দলটির বর্তমান বেহাল দশা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে তা তাদের গভীরভাবে ভাবা উচিত। নির্বাচনপন্থি দল বিএনপির আবারও নির্বাচন বর্জন হবে আত্মঘাতী। নির্বাচন কমিশন নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের বিষয় সামনে এলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা তাদের কোনো অবস্থাতেই পরিহার করা সমীচীন হবে না। আমাদের দেশে কোনো সরকারের আমলেই গঠিত নির্বাচন কমিশন বিরোধী দল কর্তৃক প্রশংসিত হয়নি। বিরোধী দলে অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এক দল আরেক দলের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, গঠিত নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে হরতালও করেছে। এ ইতিহাস সবার জানা। আবার নির্দিষ্ট দলের ভাষায় ‘প্রত্যাখ্যাত’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দল বিশেষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে। যে কমিশনের বিরুদ্ধে হরতাল করেছে, সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি তো ক্ষমতায়ই এসেছে। আওয়ামী লীগও। হার-জিতের চাইতেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই ছিল সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মাথায় থাকা উচিত আগামী নির্বাচন। হার-জিত নয়, একটি ভালো নির্বাচন দুই দলের জন্যই জরুরি। দুই দলেরই সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ করে পথচলা বাঞ্ছনীয়। এটা বহুদলীয় গণতন্ত্রেরও একটি বড় শিক্ষা। এতে দেশ উপকৃত হবে, জনগণ শান্তিতে থাকবে।

রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ প্রয়োজন গণতন্ত্রকে সংহত রূপ দেওয়ার জন্য। আমরা জানি, একটি ভালো নির্বাচনই গণতন্ত্রের সবকিছু নয়। প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ও চর্চার একটি প্রবেশদ্বার হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন পরবর্তী বিষয়াবলি নিষ্পত্তি না করে একটি ভালো নির্বাচন করেই গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করা যায় না। হিটলারও নির্বাচিত সরকারের প্রধান ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিস অতি সম্প্রতি বলেছেন, মানুষের আবেগ-অনুভূতি ও ভয়কে পুঁজি করে কিছু নির্বাচিত সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট হওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা শেষ হলেও আরও কিছু বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ হওয়া জরুরি। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সম্ভবত এ দিকটির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করে দেওয়া সমীচীন হয়নি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। আলোচনা হওয়া দরকার, একটি ভালো নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, বিজিত দলের নেতা-কর্মীরা বিজয়ী দলের কাছে নিরাপদ থাকবে কিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে তার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার বলছেন— ‘জিততে না পারলে জানে বাঁচবেন না’, এটা সত্য হবে কিনা, যেনতেন প্রকারে জেতার একটা বার্তা হিসেবে কর্মীরা বিবেচনা করবে কিনা এই বক্তব্যকে, দেশে আইনের শাসন সুদৃঢ় হবে কিনা, বিচারবিভাগ কার্যকর স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে কিনা, অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা থাকবে কিনা, লুটপাটের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধ হবে কিনা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে কিনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে কিনা, ব্যক্তি ও সমষ্টির সৎ উপার্জিত সম্পদের সুরক্ষা থাকবে কিনা, অর্ধেক জনসংখ্যা নারীর সর্বক্ষেত্রে ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে কিনা, সর্বোপরি একাত্তরকে বেসলাইন করে জাতীয় স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে কিনা। যে নির্বাচন এসব বিষয় নিশ্চিত করবে না, তা কি অর্থপূর্ণ হবে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

২ মিনিট আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ফরিদপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, আহত ৩
ফরিদপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত, আহত ৩

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

২৮ মিনিট আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

৩৮ মিনিট আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত
রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত

৪৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা
উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা

৫৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ
মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন
নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা