শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

কাজী সিরাজ
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি খোশমেজাজেই অংশ নিয়েছিল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পরপরই তাদের মেজাজ কিছুটা বিগড়ে যায় বলে মনে হয়েছে ২৭ জানুয়ারি বিকালেই দলের মহাসচিব ছয় সদস্যের কমিটির পাঁচজনের আওয়ামী ওরিয়েন্টেশনের বিষয় উল্লেখ করে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু দু-তিনজন অতি উৎসাহী বাক্যবাগীশ এমন সব কথাবার্তা বলেছেন তাতে জনগণের কাছে এমন বার্তাই গিয়েছিল যে, এই সার্চ কমিটি তো বটেই, এই কমিটির প্রস্তাবিত এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গঠিত নির্বাচন কমিশনকেই বিএনপি নাকচ করে দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো তেমন খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেনি। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাও কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং বিএনপির কারও কারও অ্যাডভার্স বক্তব্যকে পুঁজি করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে চিন্তায় ফেলেছিল। এখন সে সব বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের অবসান হয়েছে। তবে আলোচনায় আছে নির্বাচন কমিশন গঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সর্বমহলে এটাই আলোচনার প্রধান ইস্যু থাকবে। সার্চ কমিটি গঠনের পর বিএনপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। বিএনপির প্রতিক্রিয়াটা ছিল বেশ কঠোর। তাদের কেউ কেউ এই কমিটিকে আওয়ামী লীগের কমিটি বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দলের বিভিন্ন স্তরের বড় বড় পোস্ট-পজিশনধারী জনা তিন-চারেক ‘মিডিয়াপাগল’ এমন সব মন্তব্য করেছেন যা দলের বক্তব্য ছিল না। এরা কাজের বেলায় ঠনঠন। সংগঠনের জন্য তারা কী করেন কেউ জানে না। দলীয় কাজে এই সব ব্যক্তি ঢাকার বাইরে এক কদম দেন না। খাঁকি পোশাকের পিওন দেখলে পুলিশ মনে করে ভয়ে পালান। কিন্তু দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার মতো কথা বলার ওস্তাদ! অতি কথা বলে এরা নেতাগিরি ফলান। হ্যাঁ, মহাসচিবের বক্তব্যকে দলের বক্তব্য হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কেননা কোনো দলের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক দলের নির্বাহী প্রধান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছে বলে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিজে যেমন বিতর্কিত হয়েছেন, তার দলকেও বিব্রত করেছেন। তার বক্তব্য না তার দল সমর্থন করেছে, না রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে তা স্বীকার করা হয়েছে। যদি তেমনই হতো, শাসক দলের সাধারণ সম্পাদকের সম্মান ও মুখ রক্ষার জন্য হলেও তারা কিছু বলত। বিএনপি কাদের নাম দিয়েছে ৩১ জানুয়ারি বিকালের মধ্যেই দেশ-বিদেশের উৎসাহী সবাই তা জেনেছে। তাতে বিচারপতি কে এম হাসানের নাম নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে দলের নির্বাহী প্রধানের কোনো জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বক্তব্য-মন্তব্য প্রকাশের সময় খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা, আগেই বলেছি, তার বক্তব্য দলের বক্তব্য হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। নির্বাহী প্রধানের অসতর্কতায় ক্ষতি পুষতে দলকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিএনপি এখন ক্ষমতার বাইরে। সংসদেও নেই। সরকার বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিরোধী দলের স্বার্থ যখন জড়িত থাকে, সে ক্ষেত্রে মন্তব্য প্রকাশে দলীয় মুখপাত্রের সতর্ক থাকা দরকার, যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে যায়। বিএনপি মহাসচিব কর্তৃক সার্চ কমিটির সমালোচনার পেছনে কমিটির পাঁচজন সদস্যের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে একে আওয়ামী লীগের কমিটি বলায় কিছু মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেও এদের বর্তমান যে অবস্থান সেখানে থেকে তারা একটি ‘আওয়ামী নির্বাচন কমিশন’ করে দেবেন, সবাই এমনও ভাবছেন না। সার্চ কমিটিকে এখনো ‘ফার্স কমিটি’ বলার সময় আসেনি। এ ব্যাপারে ৩০.০১.২০১৭ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির কোনো সভা হয়েছে বলে কারও জানা নেই। তবু দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সার্চ কমিটি থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে যারা ‘শিশু-সুলভ’ তাত্ক্ষণিক মন্তব্য করে নিজেরা পত্রিকায় শিরোনাম হয়ে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলেন তা থেকে কিছুটা রক্ষা করেছেন। দলের মহাসচিবও পরে ইতিবাচক কথা বলেছেন। বিএনপিতে অনেকে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড পদ পেয়েছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারণী বিষয়াবলিতে যার যার ইচ্ছামতো মনের মাধুরী মিশিয়ে অসমীচীন বক্তব্য প্রদান বিএনপির মতো এখনো বহুল জনপ্রিয় একটি দলের অ্যালাউ করা উচিত কিনা ভাবা দরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ে দলের পক্ষে কে কে বলবেন আর বলতে পারবেন না তা নির্ধারিত থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে সাধারণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যারা অতি উৎসাহী হয়ে আগ বাড়িয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই নীতিগত ও কৌশলগত জরুরি বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন, প্রচারপ্রিয় সে সব ব্যক্তি দলের সবার কাছেই পরিচিত হওয়ার কথা। জনগণও এদের কথাকে ‘আধা পয়সার’ মূল্য দেয় বলে মনে হয় না। কেউ কেউ কৌশলে সরকারি দলের হাতে ইস্যুও তুলে দেন। এরা আসলে কার লোক বোঝাও মুশকিল। এসব বাক্যবাগীশকে থামিয়ে দেওয়া তাদের দলের স্বার্থেই জরুরি। সার্চ কমিটি নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক কোনো গণবিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়নি বলেই প্রতীয়মান হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিলেন তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, আবার বিএনপিও এই সার্চ কমিটির কাছ থেকেই ভালো একটি নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করছে— অর্থাৎ মানি না, মানব না অবস্থানে নেই।

 

 

দশ দিনের সার্চ কমিটি ইতিমধ্যে যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্রায় সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে যারা মূল স্টেকহোল্ডার তারা হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু রাজনৈতিক দলসমূহ। নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই পরবর্তী পাঁচ বছরের সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। সার্চ কমিটি সেই ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নাম চেয়েছে। এটি একটি পজিটিভ উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২৫টি দল ৩১ জানুয়ারিই স্ব স্ব দলের নামের তালিকা জমা দিয়েছে এবং ১২৫ নাম থেকে সার্চ কমিটি ২০ জনের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করেছে। তবে কয়েকটি দল নাম না দিয়ে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির ওপর ছেড়ে দিয়েছে। কেউ আবার বলছে, নাম দিয়ে কাম কী? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই যখন সব হবে তো বোঝাই যায় কী হবে। ইতিবাচক কিছু যে হতে পারে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কেন তা ভাবছে না বুঝতে পারি না। আর যদি তেমন দলানুগত, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় সে সম্পর্কে কথা বলার সময় তো আছেই। ৩১টি দলের মধ্যে বেশির ভাগই সরকারের বিরোধী পক্ষ। তাদের দাবি যদি থাকে সব দলের ঘোষিত বা জমা দেওয়া নামের ভিতর থেকেই সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে এবং সেই নামের তালিকাও পাবলিক করতে হবে, তারপর দেখতে হবে রাষ্ট্রপতি কী করেন। এ লেখা যখন ছাপা হবে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনেকটাই ততদিনে প্রায় সম্পন্ন হয়ে যাবে; বাকি থাকবে সার্চ কমিটির নামের তালিকা জমা দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা। সার্চ কমিটির সব দলের কাছে নাম চাওয়ার প্রস্তাব বিষয়টিকে এমন একটি জায়গায়ই পৌঁছে দিয়েছে যে, তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তোলার কোনো সুযোগ তারা রাখেনি। কাজেই সার্চ কমিটিকে নিয়ে এত বেশি সন্দেহবাতিকে ভোগা বোধহয় সঠিক হয়নি। তাদের দ্বিতীয় উদ্যোগটিও প্রশংসিত হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের নাম যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপারে দেশের প্রথিতযশা ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষপক্তির পক্ষভুক্ত, কিন্তু সরাসরি কোনো দলভুক্ত নন। এদের কাছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলনিরপেক্ষ, সৎ পরামর্শ জাতি প্রত্যাশা করতেই পারে। তারা তা করেছেনও। তারাও সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের তালিকা দেবেন তা জনসাধারণকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পরে যে পাঁচজনকে ডাকা হয়েছিল সেখানে একজনের বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলা থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটাও স্বচ্ছতা। বাকি চারজন অবিতর্কিত। সার্চ কমিটির ১০ দিনের আয়ুষ্কালের প্রথম দিনের সিদ্ধান্তই ছিল আশাজাগানিয়া।

নতুন নির্বাচন কমিশনটি কেমন হবে এখনই তা বলা সম্ভব না হলেও প্রক্রিয়াটি একেবারেই অস্বচ্ছ তা বলা যাবে না। ভালো কিছু আশা করছেন সবাই। সরকারি দলের পক্ষ থেকেও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে তারাও মনে করছেন। আগামী (একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি— উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ একটি নির্বাচনের ‘বোঝা’ টেনে চলেছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে পরোক্ষভাবে সে বিষয়টি স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, পরবর্তী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা তিনি চান না। বিগত নির্বাচন (দশম সংসদ) সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোভাব কী ছিল তা সবারই জানা। বাইরের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গত তিন বছর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চৌকস নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের’ সম্পর্ক এবং নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজে মোটামুটি সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে অনেকেই তাদের নেতিবাচক মনোভাব যে বদলায়নি সে ধারণাটা অমূলক নয়। কেউ কেউ মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তা জাতীয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও আসে। তিন বছর ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সফর করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও হয়তো অনুভব করছেন, একটি প্রশ্নহীন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সেই সংসদের নেত্রী হওয়ার মর্যাদা ও গৌরবই আলাদা। ধরে নেওয়া যায় যে, হয়তো তাই তিনি প্রশ্নহীন, অবিতর্কিত একটি নির্বাচন চান। তাছাড়া পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ নিতে পারে— যা বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার ওপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান শুধু নয়, ভবিষ্যৎও অনেকটা জড়িয়ে আছে। সে জন্য আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়া আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত আট বছরের উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যদি এতটাই জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘ঝুঁকি’ তাদের নেওয়াই উচিত। অপরদিকে বিএনপি কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করলে দলটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন সংকটের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু তাতে দলটির বর্তমান বেহাল দশা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে তা তাদের গভীরভাবে ভাবা উচিত। নির্বাচনপন্থি দল বিএনপির আবারও নির্বাচন বর্জন হবে আত্মঘাতী। নির্বাচন কমিশন নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের বিষয় সামনে এলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা তাদের কোনো অবস্থাতেই পরিহার করা সমীচীন হবে না। আমাদের দেশে কোনো সরকারের আমলেই গঠিত নির্বাচন কমিশন বিরোধী দল কর্তৃক প্রশংসিত হয়নি। বিরোধী দলে অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এক দল আরেক দলের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, গঠিত নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে হরতালও করেছে। এ ইতিহাস সবার জানা। আবার নির্দিষ্ট দলের ভাষায় ‘প্রত্যাখ্যাত’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দল বিশেষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে। যে কমিশনের বিরুদ্ধে হরতাল করেছে, সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি তো ক্ষমতায়ই এসেছে। আওয়ামী লীগও। হার-জিতের চাইতেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই ছিল সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মাথায় থাকা উচিত আগামী নির্বাচন। হার-জিত নয়, একটি ভালো নির্বাচন দুই দলের জন্যই জরুরি। দুই দলেরই সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ করে পথচলা বাঞ্ছনীয়। এটা বহুদলীয় গণতন্ত্রেরও একটি বড় শিক্ষা। এতে দেশ উপকৃত হবে, জনগণ শান্তিতে থাকবে।

রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ প্রয়োজন গণতন্ত্রকে সংহত রূপ দেওয়ার জন্য। আমরা জানি, একটি ভালো নির্বাচনই গণতন্ত্রের সবকিছু নয়। প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ও চর্চার একটি প্রবেশদ্বার হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন পরবর্তী বিষয়াবলি নিষ্পত্তি না করে একটি ভালো নির্বাচন করেই গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করা যায় না। হিটলারও নির্বাচিত সরকারের প্রধান ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিস অতি সম্প্রতি বলেছেন, মানুষের আবেগ-অনুভূতি ও ভয়কে পুঁজি করে কিছু নির্বাচিত সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট হওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা শেষ হলেও আরও কিছু বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ হওয়া জরুরি। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সম্ভবত এ দিকটির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করে দেওয়া সমীচীন হয়নি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। আলোচনা হওয়া দরকার, একটি ভালো নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, বিজিত দলের নেতা-কর্মীরা বিজয়ী দলের কাছে নিরাপদ থাকবে কিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে তার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার বলছেন— ‘জিততে না পারলে জানে বাঁচবেন না’, এটা সত্য হবে কিনা, যেনতেন প্রকারে জেতার একটা বার্তা হিসেবে কর্মীরা বিবেচনা করবে কিনা এই বক্তব্যকে, দেশে আইনের শাসন সুদৃঢ় হবে কিনা, বিচারবিভাগ কার্যকর স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে কিনা, অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা থাকবে কিনা, লুটপাটের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধ হবে কিনা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে কিনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে কিনা, ব্যক্তি ও সমষ্টির সৎ উপার্জিত সম্পদের সুরক্ষা থাকবে কিনা, অর্ধেক জনসংখ্যা নারীর সর্বক্ষেত্রে ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে কিনা, সর্বোপরি একাত্তরকে বেসলাইন করে জাতীয় স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে কিনা। যে নির্বাচন এসব বিষয় নিশ্চিত করবে না, তা কি অর্থপূর্ণ হবে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
১০ বছর পূর্ণ করল দীপ্ত টেলিভিশন
১০ বছর পূর্ণ করল দীপ্ত টেলিভিশন

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদন
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদন

২১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে আজ
মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে আজ

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জবির কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
জবির কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পের মামলা মোকাবেলার ঘোষণা বিবিসি চেয়ারম্যানের
ট্রাম্পের মামলা মোকাবেলার ঘোষণা বিবিসি চেয়ারম্যানের

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মুমিনের অসুস্থতা পাপমোচনের মাধ্যম
মুমিনের অসুস্থতা পাপমোচনের মাধ্যম

৪৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

স্বল্প ব্যয়ে উন্নত ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরির কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন
স্বল্প ব্যয়ে উন্নত ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরির কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২
জকসু নির্বাচনে ৩৪ পদের বিপরীতে মনোনয়ন সংগ্রহ ৩১২

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৯ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্যাশনের জন্যই মুশফিকের ১০০তম টেস্ট
প্যাশনের জন্যই মুশফিকের ১০০তম টেস্ট

মাঠে ময়দানে

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা