শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

কাজী সিরাজ
প্রিন্ট ভার্সন
ম্যাডাম, বিএনপির ‘বাক্যবাগীশ’দের থামান

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি খোশমেজাজেই অংশ নিয়েছিল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পরপরই তাদের মেজাজ কিছুটা বিগড়ে যায় বলে মনে হয়েছে ২৭ জানুয়ারি বিকালেই দলের মহাসচিব ছয় সদস্যের কমিটির পাঁচজনের আওয়ামী ওরিয়েন্টেশনের বিষয় উল্লেখ করে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু দু-তিনজন অতি উৎসাহী বাক্যবাগীশ এমন সব কথাবার্তা বলেছেন তাতে জনগণের কাছে এমন বার্তাই গিয়েছিল যে, এই সার্চ কমিটি তো বটেই, এই কমিটির প্রস্তাবিত এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গঠিত নির্বাচন কমিশনকেই বিএনপি নাকচ করে দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনো তেমন খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেনি। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাও কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং বিএনপির কারও কারও অ্যাডভার্স বক্তব্যকে পুঁজি করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে চিন্তায় ফেলেছিল। এখন সে সব বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের অবসান হয়েছে। তবে আলোচনায় আছে নির্বাচন কমিশন গঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সর্বমহলে এটাই আলোচনার প্রধান ইস্যু থাকবে। সার্চ কমিটি গঠনের পর বিএনপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। বিএনপির প্রতিক্রিয়াটা ছিল বেশ কঠোর। তাদের কেউ কেউ এই কমিটিকে আওয়ামী লীগের কমিটি বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দলের বিভিন্ন স্তরের বড় বড় পোস্ট-পজিশনধারী জনা তিন-চারেক ‘মিডিয়াপাগল’ এমন সব মন্তব্য করেছেন যা দলের বক্তব্য ছিল না। এরা কাজের বেলায় ঠনঠন। সংগঠনের জন্য তারা কী করেন কেউ জানে না। দলীয় কাজে এই সব ব্যক্তি ঢাকার বাইরে এক কদম দেন না। খাঁকি পোশাকের পিওন দেখলে পুলিশ মনে করে ভয়ে পালান। কিন্তু দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার মতো কথা বলার ওস্তাদ! অতি কথা বলে এরা নেতাগিরি ফলান। হ্যাঁ, মহাসচিবের বক্তব্যকে দলের বক্তব্য হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কেননা কোনো দলের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক দলের নির্বাহী প্রধান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নাম প্রস্তাব করেছে বলে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিজে যেমন বিতর্কিত হয়েছেন, তার দলকেও বিব্রত করেছেন। তার বক্তব্য না তার দল সমর্থন করেছে, না রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে তা স্বীকার করা হয়েছে। যদি তেমনই হতো, শাসক দলের সাধারণ সম্পাদকের সম্মান ও মুখ রক্ষার জন্য হলেও তারা কিছু বলত। বিএনপি কাদের নাম দিয়েছে ৩১ জানুয়ারি বিকালের মধ্যেই দেশ-বিদেশের উৎসাহী সবাই তা জেনেছে। তাতে বিচারপতি কে এম হাসানের নাম নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে দলের নির্বাহী প্রধানের কোনো জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বক্তব্য-মন্তব্য প্রকাশের সময় খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা, আগেই বলেছি, তার বক্তব্য দলের বক্তব্য হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। নির্বাহী প্রধানের অসতর্কতায় ক্ষতি পুষতে দলকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিএনপি এখন ক্ষমতার বাইরে। সংসদেও নেই। সরকার বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিরোধী দলের স্বার্থ যখন জড়িত থাকে, সে ক্ষেত্রে মন্তব্য প্রকাশে দলীয় মুখপাত্রের সতর্ক থাকা দরকার, যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে যায়। বিএনপি মহাসচিব কর্তৃক সার্চ কমিটির সমালোচনার পেছনে কমিটির পাঁচজন সদস্যের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে একে আওয়ামী লীগের কমিটি বলায় কিছু মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেও এদের বর্তমান যে অবস্থান সেখানে থেকে তারা একটি ‘আওয়ামী নির্বাচন কমিশন’ করে দেবেন, সবাই এমনও ভাবছেন না। সার্চ কমিটিকে এখনো ‘ফার্স কমিটি’ বলার সময় আসেনি। এ ব্যাপারে ৩০.০১.২০১৭ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির কোনো সভা হয়েছে বলে কারও জানা নেই। তবু দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সার্চ কমিটি থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে যারা ‘শিশু-সুলভ’ তাত্ক্ষণিক মন্তব্য করে নিজেরা পত্রিকায় শিরোনাম হয়ে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিলেন তা থেকে কিছুটা রক্ষা করেছেন। দলের মহাসচিবও পরে ইতিবাচক কথা বলেছেন। বিএনপিতে অনেকে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড পদ পেয়েছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারণী বিষয়াবলিতে যার যার ইচ্ছামতো মনের মাধুরী মিশিয়ে অসমীচীন বক্তব্য প্রদান বিএনপির মতো এখনো বহুল জনপ্রিয় একটি দলের অ্যালাউ করা উচিত কিনা ভাবা দরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ে দলের পক্ষে কে কে বলবেন আর বলতে পারবেন না তা নির্ধারিত থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে সাধারণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যারা অতি উৎসাহী হয়ে আগ বাড়িয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই নীতিগত ও কৌশলগত জরুরি বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন, প্রচারপ্রিয় সে সব ব্যক্তি দলের সবার কাছেই পরিচিত হওয়ার কথা। জনগণও এদের কথাকে ‘আধা পয়সার’ মূল্য দেয় বলে মনে হয় না। কেউ কেউ কৌশলে সরকারি দলের হাতে ইস্যুও তুলে দেন। এরা আসলে কার লোক বোঝাও মুশকিল। এসব বাক্যবাগীশকে থামিয়ে দেওয়া তাদের দলের স্বার্থেই জরুরি। সার্চ কমিটি নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক কোনো গণবিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়নি বলেই প্রতীয়মান হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিলেন তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি, আবার বিএনপিও এই সার্চ কমিটির কাছ থেকেই ভালো একটি নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করছে— অর্থাৎ মানি না, মানব না অবস্থানে নেই।

 

 

দশ দিনের সার্চ কমিটি ইতিমধ্যে যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্রায় সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে যারা মূল স্টেকহোল্ডার তারা হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু রাজনৈতিক দলসমূহ। নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই পরবর্তী পাঁচ বছরের সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। সার্চ কমিটি সেই ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নাম চেয়েছে। এটি একটি পজিটিভ উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২৫টি দল ৩১ জানুয়ারিই স্ব স্ব দলের নামের তালিকা জমা দিয়েছে এবং ১২৫ নাম থেকে সার্চ কমিটি ২০ জনের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করেছে। তবে কয়েকটি দল নাম না দিয়ে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির ওপর ছেড়ে দিয়েছে। কেউ আবার বলছে, নাম দিয়ে কাম কী? প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই যখন সব হবে তো বোঝাই যায় কী হবে। ইতিবাচক কিছু যে হতে পারে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কেন তা ভাবছে না বুঝতে পারি না। আর যদি তেমন দলানুগত, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় সে সম্পর্কে কথা বলার সময় তো আছেই। ৩১টি দলের মধ্যে বেশির ভাগই সরকারের বিরোধী পক্ষ। তাদের দাবি যদি থাকে সব দলের ঘোষিত বা জমা দেওয়া নামের ভিতর থেকেই সার্চ কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে এবং সেই নামের তালিকাও পাবলিক করতে হবে, তারপর দেখতে হবে রাষ্ট্রপতি কী করেন। এ লেখা যখন ছাপা হবে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনেকটাই ততদিনে প্রায় সম্পন্ন হয়ে যাবে; বাকি থাকবে সার্চ কমিটির নামের তালিকা জমা দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা। সার্চ কমিটির সব দলের কাছে নাম চাওয়ার প্রস্তাব বিষয়টিকে এমন একটি জায়গায়ই পৌঁছে দিয়েছে যে, তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তোলার কোনো সুযোগ তারা রাখেনি। কাজেই সার্চ কমিটিকে নিয়ে এত বেশি সন্দেহবাতিকে ভোগা বোধহয় সঠিক হয়নি। তাদের দ্বিতীয় উদ্যোগটিও প্রশংসিত হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের নাম যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপারে দেশের প্রথিতযশা ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষপক্তির পক্ষভুক্ত, কিন্তু সরাসরি কোনো দলভুক্ত নন। এদের কাছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলনিরপেক্ষ, সৎ পরামর্শ জাতি প্রত্যাশা করতেই পারে। তারা তা করেছেনও। তারাও সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের তালিকা দেবেন তা জনসাধারণকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পরে যে পাঁচজনকে ডাকা হয়েছিল সেখানে একজনের বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলা থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটাও স্বচ্ছতা। বাকি চারজন অবিতর্কিত। সার্চ কমিটির ১০ দিনের আয়ুষ্কালের প্রথম দিনের সিদ্ধান্তই ছিল আশাজাগানিয়া।

নতুন নির্বাচন কমিশনটি কেমন হবে এখনই তা বলা সম্ভব না হলেও প্রক্রিয়াটি একেবারেই অস্বচ্ছ তা বলা যাবে না। ভালো কিছু আশা করছেন সবাই। সরকারি দলের পক্ষ থেকেও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে তারাও মনে করছেন। আগামী (একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি— উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ একটি নির্বাচনের ‘বোঝা’ টেনে চলেছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে পরোক্ষভাবে সে বিষয়টি স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, পরবর্তী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা তিনি চান না। বিগত নির্বাচন (দশম সংসদ) সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোভাব কী ছিল তা সবারই জানা। বাইরের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গত তিন বছর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চৌকস নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের’ সম্পর্ক এবং নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজে মোটামুটি সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে অনেকেই তাদের নেতিবাচক মনোভাব যে বদলায়নি সে ধারণাটা অমূলক নয়। কেউ কেউ মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তা জাতীয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও আসে। তিন বছর ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সফর করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও হয়তো অনুভব করছেন, একটি প্রশ্নহীন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সেই সংসদের নেত্রী হওয়ার মর্যাদা ও গৌরবই আলাদা। ধরে নেওয়া যায় যে, হয়তো তাই তিনি প্রশ্নহীন, অবিতর্কিত একটি নির্বাচন চান। তাছাড়া পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ নিতে পারে— যা বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার ওপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান শুধু নয়, ভবিষ্যৎও অনেকটা জড়িয়ে আছে। সে জন্য আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়া আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত আট বছরের উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যদি এতটাই জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তাহলে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘ঝুঁকি’ তাদের নেওয়াই উচিত। অপরদিকে বিএনপি কোনো ফাঁকফোকর খুঁজে নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করলে দলটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন সংকটের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু তাতে দলটির বর্তমান বেহাল দশা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে তা তাদের গভীরভাবে ভাবা উচিত। নির্বাচনপন্থি দল বিএনপির আবারও নির্বাচন বর্জন হবে আত্মঘাতী। নির্বাচন কমিশন নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের বিষয় সামনে এলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা তাদের কোনো অবস্থাতেই পরিহার করা সমীচীন হবে না। আমাদের দেশে কোনো সরকারের আমলেই গঠিত নির্বাচন কমিশন বিরোধী দল কর্তৃক প্রশংসিত হয়নি। বিরোধী দলে অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এক দল আরেক দলের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, গঠিত নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে হরতালও করেছে। এ ইতিহাস সবার জানা। আবার নির্দিষ্ট দলের ভাষায় ‘প্রত্যাখ্যাত’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দল বিশেষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে। যে কমিশনের বিরুদ্ধে হরতাল করেছে, সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি তো ক্ষমতায়ই এসেছে। আওয়ামী লীগও। হার-জিতের চাইতেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই ছিল সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মাথায় থাকা উচিত আগামী নির্বাচন। হার-জিত নয়, একটি ভালো নির্বাচন দুই দলের জন্যই জরুরি। দুই দলেরই সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ করে পথচলা বাঞ্ছনীয়। এটা বহুদলীয় গণতন্ত্রেরও একটি বড় শিক্ষা। এতে দেশ উপকৃত হবে, জনগণ শান্তিতে থাকবে।

রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সমন্বয়, সহযোগিতা ও সহাবস্থানের নীতি অনুসরণ প্রয়োজন গণতন্ত্রকে সংহত রূপ দেওয়ার জন্য। আমরা জানি, একটি ভালো নির্বাচনই গণতন্ত্রের সবকিছু নয়। প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ও চর্চার একটি প্রবেশদ্বার হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন পরবর্তী বিষয়াবলি নিষ্পত্তি না করে একটি ভালো নির্বাচন করেই গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করা যায় না। হিটলারও নির্বাচিত সরকারের প্রধান ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিস অতি সম্প্রতি বলেছেন, মানুষের আবেগ-অনুভূতি ও ভয়কে পুঁজি করে কিছু নির্বাচিত সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট হওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা শেষ হলেও আরও কিছু বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ হওয়া জরুরি। রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সম্ভবত এ দিকটির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সঙ্গে সঙ্গে তা নাকচ করে দেওয়া সমীচীন হয়নি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। আলোচনা হওয়া দরকার, একটি ভালো নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, বিজিত দলের নেতা-কর্মীরা বিজয়ী দলের কাছে নিরাপদ থাকবে কিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে তার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার বলছেন— ‘জিততে না পারলে জানে বাঁচবেন না’, এটা সত্য হবে কিনা, যেনতেন প্রকারে জেতার একটা বার্তা হিসেবে কর্মীরা বিবেচনা করবে কিনা এই বক্তব্যকে, দেশে আইনের শাসন সুদৃঢ় হবে কিনা, বিচারবিভাগ কার্যকর স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে কিনা, অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা থাকবে কিনা, লুটপাটের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বন্ধ হবে কিনা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে কিনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে কিনা, ব্যক্তি ও সমষ্টির সৎ উপার্জিত সম্পদের সুরক্ষা থাকবে কিনা, অর্ধেক জনসংখ্যা নারীর সর্বক্ষেত্রে ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে কিনা, সর্বোপরি একাত্তরকে বেসলাইন করে জাতীয় স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে কিনা। যে নির্বাচন এসব বিষয় নিশ্চিত করবে না, তা কি অর্থপূর্ণ হবে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
সর্বশেষ খবর
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

৫০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী
বিএনপির গণজোয়ারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : নবীউল্লাহ নবী

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ
বিএসএফের ছোঁড়া গ্রেনেডে সীমান্তে আতঙ্ক, বিজিবির প্রতিবাদ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’
‌‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান
নারীর অধিকার ও গণতন্ত্রে ৩১ দফা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমা রহমান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে পিঠা উৎসব
বাগেরহাটে পিঠা উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার
বগুড়ায় ব্যবসায়ী খুন, স্ত্রী ও খালাতো ভাই গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
কবিরহাটে ৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬
শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব
গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : তৈয়্যব

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে গুণগত পরিবর্তন আসবে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ
মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে সড়কে প্রাণ গেল দুইজনের
সিলেটে সড়কে প্রাণ গেল দুইজনের

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল
২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

দেশগ্রাম

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পর্ক যাচাইয়ে আসছে নতুন পদ্ধতি
সম্পর্ক যাচাইয়ে আসছে নতুন পদ্ধতি

খবর

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস
পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা