শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জিং সময়

আত্মপ্রসাদে ভোগা অনুচিত

বর্তমান সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। এ সরকারের হাতে আছে মাত্র ৯৮ দিন সময়। প্রতিটি সরকারের মতো বর্তমান সরকারের জন্য এই শেষ দিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে এ সময়ের কর্মকাণ্ডগুলো দেশের মানুষ কীভাবে গ্রহণ করবে তার ওপর তাদের ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল। স্মর্তব্য, আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হবে। অক্টোবরে গঠিত হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে সরকার নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত বা উন্নয়নমূলক কাজে হাত দিতে পারবে না। ফলে আগামী ৯৮ দিন বর্তমান সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগই প্রথম সরকার যারা পরপর দুই মেয়াদে শাসন ক্ষমতায় থাকার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে পরপর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার সৌভাগ্যের অধিকারী হবে তারা। বিদ্যমান পরিস্থিতিও দৃশ্যত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের পক্ষে। প্রথমত, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গত ১০ বছর দৃষ্টিকাড়া সাফল্য দেখিয়েছে বর্তমান সরকার। উন্নয়নের যে জোয়ার তারা সৃষ্টি করতে পেরেছে তা প্রতিপক্ষেরও সমীহ অর্জনের মতো। জনপ্রিয়তা থাকলেও বিরোধী দল কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থায়। বলা যায়, ক্ষমতাসীনদের কাছে বিরোধী দল কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ নয়। নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে না দাঁড়ালে নির্বাচনে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনাই বেশি। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বা জোটের কৌশল থাকবে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য জনগণের ম্যান্ডেট অর্জন। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার আদলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার যে চিত্রকল্প তারা খাড়া করেছে তা জনগণের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ লক্ষ্যে আগামী তিন মাসে সরকারি দলকে দেশবাসীর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তরুণ ও নারী ভোটারসহ সমাজের সব অংশের আস্থা অর্জনে তৎপর হতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের দুর্বিনীত নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তীক্ষ নজর। অন্তঃকোন্দলকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করতে হবে। প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখা এবং আত্মপ্রসাদে ভোগার বদলে জনআস্থা অর্জনে ব্রতী হওয়া তাদের লক্ষ্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর