শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

আমি আজ আপনাদের যে কাহিনীগুলো বলব তা পৃথিবীর বহু নামকরা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানিয়ে দেবে। পথের ফকিরের রাজ্যলাভ কিংবা ফকির কর্তৃক রাজ্য ও রাজকন্যা লাভের যুগপৎ ঘটনা নিয়ে রচিত বহু রূপকথা আমরা শৈশবে শুনেছি। মানুষের ভাগ্য যাকে আমরা অনেকে নিয়তি বলি তা কী করে মানুষকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায় তার কিছু রসঘন কল্পনা এবং কিছু বাস্তব উদাহরণ নিয়েই সাধারণত রাজকীয় রূপকথা রচিত হয়। আমার শৈশবে দাদি-দাদা ও কাকার কাছ থেকে আমি বহু রাজ-রাজার রূপকথার গল্প শুনেছি। সেসব রূপকথার সার বাণী ছিল— ভাগ্যগুণেই মানুষ রাজা-বাদশাহ হয়ে যায়। মানুষের নিয়তি তাকে টানতে টানতে প্রথমে রাজধানীতে নিয়ে আসে তারপর একসময় নিয়তিই তাকে চ্যাংদোলা করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে সুন্দরী রাজকন্যার পতিরূপে বাসরঘরে পৌঁছে দেয়।

শৈশবের শোনা রূপকথার আলোকে পরিণত বয়সে এসে রাষ্ট্রক্ষমতা এবং নিয়তি নিয়ে যতই গবেষণা করেছি ততই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু মানুষের যেমন জন্ম হয় কেবল রাজা হওয়ার জন্য তেমনি কিছু মানুষ রাজা হয়ে জন্ম নিয়েও ফকির না হয়ে মরতে পারেন না। প্রকৃতির অপার লীলাখেলায় পৃথিবীর আকাশ, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, প্রাণিকুল এবং বৃক্ষরাজি যেমন ধুলাধূসরিত অসহায় পথচারীর ললাটের রাজটিকা চিনতে পারে তেমনি রাজার রাজটিকা কলঙ্কিত হয়ে পড়লে সব সৃষ্টিকুল সেই হতভাগ্য রাজপুরুষকে ধ্বংসের অতলান্ত্মে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মরিয়া হয়ে ওঠে। মহান রাজপুরুষের পৃথিবীতে আগমনের বহুকাল আগেই প্রকৃতিতে তার আগমনী সানাই যেমন বেজে ওঠে তেমনি কুখ্যাত ও কুলাঙ্গার রাজপুরুষের কলঙ্কিত কর্মের ভয়ে তার জন্মের বহু যুগ আগেই প্রকৃতিতে সতর্ক ধ্বনি অনুরণিত হতে থাকে। আজকের আলোচনায় আমি কোনো নেতিবাচক ঘটনা না বলে ইতিবাচক প্রসঙ্গের অবতারণা করে শিরোনামের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করব।

প্রথমে ঘটনাটি ঘটেছিল সিরিয়ায় ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে। হজরত আবু বকর (রা.)-এর বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। অতটুকু বয়সেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে যথেষ্ট বিত্তশালী হয়ে গিয়েছিলেন এবং উন্নত চরিত্র, জ্ঞান-গরিমা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে সমকালীন সমাজে যথেষ্ট প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। আমি যে সময়টির কথা বলছি তখন কিশোর আবু বকর (রা.) ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। হঠাৎ এক রাতে তিনি ভয়ানক দুর্বোধ্য এক স্বপ্ন দেখলেন এবং সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার জন্য প্রচ- অস্থির হয়ে পড়লেন। তিনি তার সফরসঙ্গীদের পরামর্শে দামেস্ক নগরের বয়োবৃদ্ধ ও সম্মানিত খ্রিস্টান ধর্মগুরুর কাছে গেলেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর মুখে তার স্বপ্নের কাহিনী শোনার পর খ্রিস্টান পাদরি বললেন, তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলবেন তবে শর্ত হলো স্বপ্নের ঘটনাটি বাস্তবে না ঘটা পর্যন্ত হজরত আবু বকর তা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি রাজি হলে খ্রিস্টান পাদরি তাকে জানালেন যে, আগামী দিনে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্য থেকে কেউ একজন আল্লাহর নবী হবেন যিনি কিনা একসময় নবুয়তের পাশাপাশি দুনিয়ার বাদশাহি লাভ করবেন। তিনি যখন নবী হিসেবে কর্মকা- চালাবেন তখন হজরত আবু বকর হবেন তার প্রধান সাহাবি এবং পরে তিনি বাদশাহ হলে তার উজিরে আজমের দায়িত্ব পাবেন হজরত আবু বকর।

উপরোক্ত ঘটনার পর প্রায় ২০ বছর কেটে যায়। হজরত আবু বকর (রা.) দৈনন্দিন কাজের চাপে স্বপ্নের ঘটনা ভুলে যান। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর রসুল (সা.) যখন নবুয়তপ্রাপ্ত হন ঠিক সেই সময়টিতেও হজরত আবু বকর (রা.) বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি যখন মক্কায় ফিরে এলেন তখন পুরো মক্কা নগরীতে নবুয়তের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছিল। হজরত আবু বকর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ছিলেন। নবুয়তের ঘটনাটি মক্কাবাসী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। কারণ তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মমত, দেবতা, বিশ্বাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নবুয়তের ঘটনা বজ্রপাতের মতো আঘাত হেনেছিল। হজরত আবু বকর (রা.) যখন মক্কার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তখন নগরবাসী সমস্বরে তার কাছে রসুল (সা.) এবং তাঁর নবুয়তপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ শুরু করে দিল। তিনি সবকিছু শুনলেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করলেন না। এমনকি নবুয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে তার মনে একটি কথাও উদয় হালো না। তিনি ভাবলেশহীনভাবে এগোতে থাকলেন এবং কিছুদূর যাওয়ার পর আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সঙ্গে তার দেখা হলো।

স্বাভাবিক কুশলাদি বিনিময়ের পর রসুল (সা.) বললেন, ইয়া আবু বকর! আমি নবুয়তপ্রাপ্ত হয়েছি। তুমি আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং আমাকে নবী মেনে ইসলাম গ্রহণ কর। হজরত আবু বকর যখন রসুল (সা.)-এর মুখে নবুয়তের কথা শুনলেন তখনো তার মনে একবারও সিরিয়ার সেই স্বপ্নের কথা উদয় হলো না। তিনি খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি যে নবী তার কি কোনো প্রমাণ আছে? রসুল (সা.) বললেন, অবশ্যই আছে। হে আবু বকর! স্মরণ কর সেই স্বপ্নের কথা যা তুমি আজ থেকে ২০ বছর আগে সিরিয়ার দামেস্ক নগরে দেখেছিলে। তোমার সেই স্বপ্নই হলো আমার পক্ষ থেকে তোমার কাছে নবুয়তের সবচেয়ে বড় প্রমাণ! স্তম্ভিত আবু বকর (রা.) সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করলেন। স্বয়ং হজরত আবু বকর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদিসটি সর্বজনস্বীকৃত সহি হাদিসরূপে বুখারিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আমার দ্বিতীয় কাহিনীটিরও ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। এটি পৃথিবী তোলপাড় করা একটি ঘটনা। ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কাছে সমগুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র নগরের নাম জেরুজালেম। আমি যে সময়টির কথা বলব তখন জেরুজালেম নগরের কর্তৃত্ব ছিল খ্রিস্টানদের হাতে। খ্রিস্টান পাদরি সফ্রোনিয়াস বাইজানটাইন অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে শহরটি শাসন করতেন এবং তার সময়ই মুসলিম সেনাপতি হজরত আবু ওবায়দা (রা.) ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে শহরটি দখল করেন। যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর খ্রিস্টান পাদরিরা অদ্ভুত এক দাবি পেশ করে বসলেন। তারা জানালেন যে, মুসলমানদের খলিফা আমিরুল মুমিনিনের একটি দলিল তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে যেখানে লেখা রয়েছে যে, তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করবেন এবং পরাজিত খ্রিস্টানদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করবেন। সেনাপতি আবু ওবায়দা ঘটনা শুনে যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে পড়লেন। কারণ হজরত ওমর মাত্র দুই বছর আগে অর্থাৎ ৬৩৪ সালের আগস্টে খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো দিন জেরুজালেম আসেননি বা খ্রিস্টানরা মদিনা যাননি। কাজেই খলিফার স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা কীভাবে সম্ভব!

হজরত আবু ওবায়দা (রা.) বিস্তারিত লিখে মদিনায় খলিফার দরবারে পত্র প্রেরণ করলেন। পত্র পাওয়া মাত্র হজরত ওমর (রা.) একজন ভৃত্য ও একটি উট নিয়ে দুর্গম মরুপথে মদিনা থেকে জেরুজালেমের পথে রওনা হয়ে গেলেন। তার সেই ভ্রমণ, জেরুজালেমে উপস্থিতি এবং নগরের কর্তৃক গ্রহণের কথা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু সেই ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী যা হয়তো অনেকেই জানেন না তা আপনাদের বলে পরবর্তী ঘটনায় চলে যাব। আলোচ্য কাহিনীটি শুরু হয়েছিল হজরত ওমরের বালক বেলায় যখন নবুয়ত, ইসলাম, কোরআন কিংবা মুসলমান নামক শব্দগুলো পৃথিবীতে ছিল না। বালক ওমর তার স্বগোত্রীয় বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে সেবার জেরুজালেম গিয়েছিলেন। একদিন তিনি মূল কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৌতূহলবশত বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ যা তখন খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো তা দেখতে গিয়ে খ্রিস্টান পাদরিদের দ্বারা গ্রেফতার হন। হজরত ওমরের সফরসঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে বায়তুল মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হন। তারা খ্রিস্টান পাদরিদের কাছ থেকে বালক ওমর সম্পর্কে যা শুনতে পান তা তাদের কাছে ওই মুহূর্তে পাগলের প্রলাপ বা গাঁজাখোরি কাহিনী বলেই প্রতীয়মাণ হয়। পাদরিরা অভিযোগ করেন যে, তারা বালক ওমরের ললাটে রাজটিকা দেখতে পেয়েছেন যার ভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করে তারা জেনেছেন যে, এই বালক পরিণত বয়সে মস্তবড় বাদশাহ হবেন এবং তার সৈন্যরা একদিন জেরুজালেম দখল করবেন। এখন এই বালক যদি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষর করেন যে, তার সৈন্যরা অনাগত দিনে জেরুজালেম দখল করলে তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের চাবি গ্রহণ করবেন এবং খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দেবেন তাহলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে— অন্যথায় নয়।

হজরত ওমর (রা.)-এর সফরসঙ্গীরা পাদরিদের কথায় রাজি হয়ে যান এবং বালক ওমরকে দিয়ে দলিল স্বাক্ষর করিয়ে নিরাপদে সেই স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ও মরমি প-িত হজরত ইবনে কাসির (রহ.) তার কিংবদন্ত্মির গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’তে এ ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আলোচ্য ঘটনাগুলোর মতো হিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও রাজত্ব লাভ যেমন বহু আগেই তার মামা কংস জেনে গিয়েছিলেন তেমনি দেবতা রামের জন্মের অনেক আগেই তার জীবনীগ্রন্থ রামায়ণ রচিত হয়েছিল। মহামতি আলেকজান্ডারের জন্মের আগে এমনকি তার মায়ের বিয়ের আগে তার মা যেমন জেনে গিয়েছিলেন যে, তিনি একটি বিস্ময়কর সন্তানের মা হবেন; তেমনি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা শাসক এবং পৃথিবীর প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপনকারী সম্রাট মহামতি সাইরাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কাহিনীর সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ঘটনার হুবহু মিল রয়েছে।

আজকের নিবন্ধের সর্বশেষ কাহিনীটি আমি নিয়েছি ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনী থেকে। একই ঘটনা প্রায় হুবহুভাবে বর্ণিত হয়েছে খুশবন্ত সিংয়ের ‘দিলিস্ন’ উপন্যাসে। ঘটনার নায়কের আদি নাম বাহাউদ্দিন। পারস্যের বিখ্যাত ইলখানি বংশে তার জন্ম হলেও তার পরিবার মধ্য এশিয়ার তুর্ক যা কিনা বর্তমান জমানার উজবেকিসত্মান, কাজাখসত্মান ও কিরগিজসত্মানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত রাজ্য ছিল। পারস্যের ইলখানিরা মূলত মোঙ্গল নেতা হালাকু খানের বংশধর যারা ইসলাম গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক, আমির-ওমরাহ অথবা অভিজাত সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছিলেন। আমাদের নায়ক বাহাউদ্দিন ও তাদের রাজ্যের অভিজাত সমপ্রদায়ের বালক হিসেবে বেশ ভালো সময়ই পার করছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে মোঙ্গল লুটেরারা আক্রমণ চালিয়ে আরও অনেক লোকজনের সঙ্গে বালক বাহাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে আসে এবং পরে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে অতি অল্প দামে বিক্রি করে দেয়। কারণ বালক বাহাউদ্দিন দেখতে যেমন কদাকার ছিলেন তেমনি গায়গতরেও ছিলেন শীর্ণ প্রকৃতির।

নিয়তির জালে আটকা পড়ে আমিরের ছেলে ফকিরের বেশে মধ্য এশিয়ার পরিচিত দাসদাসী বেচাকেনার হাটে পণ্য হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরক্তির উপাদানে পরিণত হন। তার চেহারা-সুরত দেখে কেউ তাকে কিনতে রাজি হচ্ছিল না। এভাবে বহুদিন চলার পর গজনির নামকরা সুফি সাধক খাজা জামাল উদ্দিন বসরি নামমাত্র মূল্যে বাহাউদ্দিনকে কিনে নেন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর তিনি তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন যে কিনা মধ্য এশিয়া থেকে দাসদাসী সংগ্রহ করে ভারতবর্ষে নিয়ে যেত বিক্রির জন্য। বাহাউদ্দিন তার মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন কী অপরাধে তিনি তাকে দাস ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। হজরত খাজা জামাল উদ্দিন বসরি মৃদু হেসে বললেন— বৎস! আমি তোমাকে ভারতবর্ষের রাজত্ব দিলাম। রাজ্য শাসনের জন্যই তুমি সেখানে যাচ্ছো। দাস ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিনসহ আরও ৪০ জন দাস নিয়ে ভারতবর্ষে এলেন এবং তাদের একসঙ্গে বিক্রির জন্য দিলিস্নর সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের দরবারে পেশ করলেন।

সুলতান ইলতুতমিশ ৩৯ জন দাসকে কিনে নিলেন। কিন্তু কুিসত চেহারার কারণে বাহাউদ্দিনকে কিনতে রাজি হলেন না। এ অবস্থায় বাহাউদ্দিন সাহস করে সুলতানকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাহাপনা! এই ৩৯ জনকে কার মর্জিতে এবং কার জন্য কিনলেন। সুলতান বললেন, আমার মর্জিতে এবং আমার জন্য কিনেছি। তখন বাহাউদ্দিন বললেন, আপনার জন্য ৩৯ জনকে কিনলেন। এখন আল্লাহর ওয়াসেত্ম এবং আল্লাহর জন্য কি আর একটি দাস কেনা যায় না। সুলতান ইলতুতমিশ সঙ্গে সঙ্গে বাহাউদ্দিনকে কেনার জন্য রাজি হয়ে গেলেন। পৃথিবীর ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে যে, বাহাউদ্দিন সুলতান ইলতুতমিশের কত বড় বিশ্বাসভাজন আমির ও কত বড় সুদক্ষ সেনাপতি এবং শাসক হয়েছিলেন।

ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর যখন তার পুত্র নাসির উদ্দিন দিলিস্নর সিংহাসনে বসেন তখন বাহাউদ্দিন তার উজিরে আজম হিসেবে ২০ বছর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সুলতান তাকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তার কন্যাকে সম্রাজ্ঞীরূপে বিয়ে করেন এবং তাকে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। সুলতান নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিন গিয়াসউদ্দিন বলবন নাম ধারণ করে দিলিস্নর সিংহাসনে বসে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তা কমবেশি সবাই জানেন।

পাদটীকা : রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বাড়াবাড়ি করেন। অনেকে নানারকম নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মানুষ করে না এহেন কুকর্ম নেই। এত কিছুর পরও রাজনীতিতে বেশির ভাগ সময়ই হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে অনেক কিছু ঘটে যায় যাকে আমরা নিয়তি বলি। রাজনীতিসংশিস্নষ্টরা যদি নিয়তিকে অনিবার্য ভেবে সতর্কভাবে কাজকর্ম করেন তবে তাদের কর্মে বরকত নেমে আসে, জমিনে হানাহানি হ্রাস পায় এবং জনগণ শান্ত্মিতে থাকতে পারে। রাজনীতির মাঠের ঐতিহাসিক চিরসত্য হলো, এখানে কেউ মন্দ কাজ করে দুনিয়া থেকে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও শাসিত্ম না পেয়ে মরতে পারে না। অন্যদিকে, রাজনীতির মহান পুরুষরা যেভাবেই মরুন না কেন তাদের শুভকর্মগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়ারূপে জমিনে বহাল থাকে এবং তাদের মানুষের মন-মসিত্মষ্ক ও প্রার্থনায় জীবন্ত করে রাখে।

 লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ভিয়েতনামে বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৯০ মৃত্যু, নিখোঁজ ১২
ভিয়েতনামে বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৯০ মৃত্যু, নিখোঁজ ১২

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আলোকিত মানুষ একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে পারেন’
‘আলোকিত মানুষ একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে পারেন’

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের

৩১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জেনেভায় বসছে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বৈঠক
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জেনেভায় বসছে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বৈঠক

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৩৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মার্কিন সতর্কবার্তার পর ভেনেজুয়েলায় ফ্লাইট বাতিল ৬টি বিমান সংস্থার
মার্কিন সতর্কবার্তার পর ভেনেজুয়েলায় ফ্লাইট বাতিল ৬টি বিমান সংস্থার

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রস্তাব নিয়ে জেলেনস্কির ওপর ট্রাম্পের চাপ, কী বলছে মিত্ররা?
প্রস্তাব নিয়ে জেলেনস্কির ওপর ট্রাম্পের চাপ, কী বলছে মিত্ররা?

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিন যখন লজ্জিত হয়
মুমিন যখন লজ্জিত হয়

৫৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

নতুন চমক নিয়ে ফিরছেন মিম
নতুন চমক নিয়ে ফিরছেন মিম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সুদানে অপুষ্টিতে এক মাসে ২৩ শিশুর মৃত্যু
সুদানে অপুষ্টিতে এক মাসে ২৩ শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ঝুঁকি ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ঝুঁকি ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল
টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা