শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

আমি আজ আপনাদের যে কাহিনীগুলো বলব তা পৃথিবীর বহু নামকরা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানিয়ে দেবে। পথের ফকিরের রাজ্যলাভ কিংবা ফকির কর্তৃক রাজ্য ও রাজকন্যা লাভের যুগপৎ ঘটনা নিয়ে রচিত বহু রূপকথা আমরা শৈশবে শুনেছি। মানুষের ভাগ্য যাকে আমরা অনেকে নিয়তি বলি তা কী করে মানুষকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায় তার কিছু রসঘন কল্পনা এবং কিছু বাস্তব উদাহরণ নিয়েই সাধারণত রাজকীয় রূপকথা রচিত হয়। আমার শৈশবে দাদি-দাদা ও কাকার কাছ থেকে আমি বহু রাজ-রাজার রূপকথার গল্প শুনেছি। সেসব রূপকথার সার বাণী ছিল— ভাগ্যগুণেই মানুষ রাজা-বাদশাহ হয়ে যায়। মানুষের নিয়তি তাকে টানতে টানতে প্রথমে রাজধানীতে নিয়ে আসে তারপর একসময় নিয়তিই তাকে চ্যাংদোলা করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে সুন্দরী রাজকন্যার পতিরূপে বাসরঘরে পৌঁছে দেয়।

শৈশবের শোনা রূপকথার আলোকে পরিণত বয়সে এসে রাষ্ট্রক্ষমতা এবং নিয়তি নিয়ে যতই গবেষণা করেছি ততই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু মানুষের যেমন জন্ম হয় কেবল রাজা হওয়ার জন্য তেমনি কিছু মানুষ রাজা হয়ে জন্ম নিয়েও ফকির না হয়ে মরতে পারেন না। প্রকৃতির অপার লীলাখেলায় পৃথিবীর আকাশ, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, প্রাণিকুল এবং বৃক্ষরাজি যেমন ধুলাধূসরিত অসহায় পথচারীর ললাটের রাজটিকা চিনতে পারে তেমনি রাজার রাজটিকা কলঙ্কিত হয়ে পড়লে সব সৃষ্টিকুল সেই হতভাগ্য রাজপুরুষকে ধ্বংসের অতলান্ত্মে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মরিয়া হয়ে ওঠে। মহান রাজপুরুষের পৃথিবীতে আগমনের বহুকাল আগেই প্রকৃতিতে তার আগমনী সানাই যেমন বেজে ওঠে তেমনি কুখ্যাত ও কুলাঙ্গার রাজপুরুষের কলঙ্কিত কর্মের ভয়ে তার জন্মের বহু যুগ আগেই প্রকৃতিতে সতর্ক ধ্বনি অনুরণিত হতে থাকে। আজকের আলোচনায় আমি কোনো নেতিবাচক ঘটনা না বলে ইতিবাচক প্রসঙ্গের অবতারণা করে শিরোনামের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করব।

প্রথমে ঘটনাটি ঘটেছিল সিরিয়ায় ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে। হজরত আবু বকর (রা.)-এর বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। অতটুকু বয়সেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে যথেষ্ট বিত্তশালী হয়ে গিয়েছিলেন এবং উন্নত চরিত্র, জ্ঞান-গরিমা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে সমকালীন সমাজে যথেষ্ট প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। আমি যে সময়টির কথা বলছি তখন কিশোর আবু বকর (রা.) ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। হঠাৎ এক রাতে তিনি ভয়ানক দুর্বোধ্য এক স্বপ্ন দেখলেন এবং সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার জন্য প্রচ- অস্থির হয়ে পড়লেন। তিনি তার সফরসঙ্গীদের পরামর্শে দামেস্ক নগরের বয়োবৃদ্ধ ও সম্মানিত খ্রিস্টান ধর্মগুরুর কাছে গেলেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর মুখে তার স্বপ্নের কাহিনী শোনার পর খ্রিস্টান পাদরি বললেন, তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলবেন তবে শর্ত হলো স্বপ্নের ঘটনাটি বাস্তবে না ঘটা পর্যন্ত হজরত আবু বকর তা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি রাজি হলে খ্রিস্টান পাদরি তাকে জানালেন যে, আগামী দিনে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্য থেকে কেউ একজন আল্লাহর নবী হবেন যিনি কিনা একসময় নবুয়তের পাশাপাশি দুনিয়ার বাদশাহি লাভ করবেন। তিনি যখন নবী হিসেবে কর্মকা- চালাবেন তখন হজরত আবু বকর হবেন তার প্রধান সাহাবি এবং পরে তিনি বাদশাহ হলে তার উজিরে আজমের দায়িত্ব পাবেন হজরত আবু বকর।

উপরোক্ত ঘটনার পর প্রায় ২০ বছর কেটে যায়। হজরত আবু বকর (রা.) দৈনন্দিন কাজের চাপে স্বপ্নের ঘটনা ভুলে যান। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর রসুল (সা.) যখন নবুয়তপ্রাপ্ত হন ঠিক সেই সময়টিতেও হজরত আবু বকর (রা.) বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি যখন মক্কায় ফিরে এলেন তখন পুরো মক্কা নগরীতে নবুয়তের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছিল। হজরত আবু বকর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ছিলেন। নবুয়তের ঘটনাটি মক্কাবাসী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। কারণ তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মমত, দেবতা, বিশ্বাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নবুয়তের ঘটনা বজ্রপাতের মতো আঘাত হেনেছিল। হজরত আবু বকর (রা.) যখন মক্কার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তখন নগরবাসী সমস্বরে তার কাছে রসুল (সা.) এবং তাঁর নবুয়তপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ শুরু করে দিল। তিনি সবকিছু শুনলেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করলেন না। এমনকি নবুয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে তার মনে একটি কথাও উদয় হালো না। তিনি ভাবলেশহীনভাবে এগোতে থাকলেন এবং কিছুদূর যাওয়ার পর আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সঙ্গে তার দেখা হলো।

স্বাভাবিক কুশলাদি বিনিময়ের পর রসুল (সা.) বললেন, ইয়া আবু বকর! আমি নবুয়তপ্রাপ্ত হয়েছি। তুমি আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং আমাকে নবী মেনে ইসলাম গ্রহণ কর। হজরত আবু বকর যখন রসুল (সা.)-এর মুখে নবুয়তের কথা শুনলেন তখনো তার মনে একবারও সিরিয়ার সেই স্বপ্নের কথা উদয় হলো না। তিনি খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি যে নবী তার কি কোনো প্রমাণ আছে? রসুল (সা.) বললেন, অবশ্যই আছে। হে আবু বকর! স্মরণ কর সেই স্বপ্নের কথা যা তুমি আজ থেকে ২০ বছর আগে সিরিয়ার দামেস্ক নগরে দেখেছিলে। তোমার সেই স্বপ্নই হলো আমার পক্ষ থেকে তোমার কাছে নবুয়তের সবচেয়ে বড় প্রমাণ! স্তম্ভিত আবু বকর (রা.) সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করলেন। স্বয়ং হজরত আবু বকর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদিসটি সর্বজনস্বীকৃত সহি হাদিসরূপে বুখারিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আমার দ্বিতীয় কাহিনীটিরও ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। এটি পৃথিবী তোলপাড় করা একটি ঘটনা। ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কাছে সমগুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র নগরের নাম জেরুজালেম। আমি যে সময়টির কথা বলব তখন জেরুজালেম নগরের কর্তৃত্ব ছিল খ্রিস্টানদের হাতে। খ্রিস্টান পাদরি সফ্রোনিয়াস বাইজানটাইন অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে শহরটি শাসন করতেন এবং তার সময়ই মুসলিম সেনাপতি হজরত আবু ওবায়দা (রা.) ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে শহরটি দখল করেন। যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর খ্রিস্টান পাদরিরা অদ্ভুত এক দাবি পেশ করে বসলেন। তারা জানালেন যে, মুসলমানদের খলিফা আমিরুল মুমিনিনের একটি দলিল তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে যেখানে লেখা রয়েছে যে, তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করবেন এবং পরাজিত খ্রিস্টানদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করবেন। সেনাপতি আবু ওবায়দা ঘটনা শুনে যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে পড়লেন। কারণ হজরত ওমর মাত্র দুই বছর আগে অর্থাৎ ৬৩৪ সালের আগস্টে খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো দিন জেরুজালেম আসেননি বা খ্রিস্টানরা মদিনা যাননি। কাজেই খলিফার স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা কীভাবে সম্ভব!

হজরত আবু ওবায়দা (রা.) বিস্তারিত লিখে মদিনায় খলিফার দরবারে পত্র প্রেরণ করলেন। পত্র পাওয়া মাত্র হজরত ওমর (রা.) একজন ভৃত্য ও একটি উট নিয়ে দুর্গম মরুপথে মদিনা থেকে জেরুজালেমের পথে রওনা হয়ে গেলেন। তার সেই ভ্রমণ, জেরুজালেমে উপস্থিতি এবং নগরের কর্তৃক গ্রহণের কথা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু সেই ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী যা হয়তো অনেকেই জানেন না তা আপনাদের বলে পরবর্তী ঘটনায় চলে যাব। আলোচ্য কাহিনীটি শুরু হয়েছিল হজরত ওমরের বালক বেলায় যখন নবুয়ত, ইসলাম, কোরআন কিংবা মুসলমান নামক শব্দগুলো পৃথিবীতে ছিল না। বালক ওমর তার স্বগোত্রীয় বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে সেবার জেরুজালেম গিয়েছিলেন। একদিন তিনি মূল কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৌতূহলবশত বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ যা তখন খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো তা দেখতে গিয়ে খ্রিস্টান পাদরিদের দ্বারা গ্রেফতার হন। হজরত ওমরের সফরসঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে বায়তুল মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হন। তারা খ্রিস্টান পাদরিদের কাছ থেকে বালক ওমর সম্পর্কে যা শুনতে পান তা তাদের কাছে ওই মুহূর্তে পাগলের প্রলাপ বা গাঁজাখোরি কাহিনী বলেই প্রতীয়মাণ হয়। পাদরিরা অভিযোগ করেন যে, তারা বালক ওমরের ললাটে রাজটিকা দেখতে পেয়েছেন যার ভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করে তারা জেনেছেন যে, এই বালক পরিণত বয়সে মস্তবড় বাদশাহ হবেন এবং তার সৈন্যরা একদিন জেরুজালেম দখল করবেন। এখন এই বালক যদি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষর করেন যে, তার সৈন্যরা অনাগত দিনে জেরুজালেম দখল করলে তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের চাবি গ্রহণ করবেন এবং খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দেবেন তাহলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে— অন্যথায় নয়।

হজরত ওমর (রা.)-এর সফরসঙ্গীরা পাদরিদের কথায় রাজি হয়ে যান এবং বালক ওমরকে দিয়ে দলিল স্বাক্ষর করিয়ে নিরাপদে সেই স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ও মরমি প-িত হজরত ইবনে কাসির (রহ.) তার কিংবদন্ত্মির গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’তে এ ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আলোচ্য ঘটনাগুলোর মতো হিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও রাজত্ব লাভ যেমন বহু আগেই তার মামা কংস জেনে গিয়েছিলেন তেমনি দেবতা রামের জন্মের অনেক আগেই তার জীবনীগ্রন্থ রামায়ণ রচিত হয়েছিল। মহামতি আলেকজান্ডারের জন্মের আগে এমনকি তার মায়ের বিয়ের আগে তার মা যেমন জেনে গিয়েছিলেন যে, তিনি একটি বিস্ময়কর সন্তানের মা হবেন; তেমনি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা শাসক এবং পৃথিবীর প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপনকারী সম্রাট মহামতি সাইরাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কাহিনীর সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ঘটনার হুবহু মিল রয়েছে।

আজকের নিবন্ধের সর্বশেষ কাহিনীটি আমি নিয়েছি ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনী থেকে। একই ঘটনা প্রায় হুবহুভাবে বর্ণিত হয়েছে খুশবন্ত সিংয়ের ‘দিলিস্ন’ উপন্যাসে। ঘটনার নায়কের আদি নাম বাহাউদ্দিন। পারস্যের বিখ্যাত ইলখানি বংশে তার জন্ম হলেও তার পরিবার মধ্য এশিয়ার তুর্ক যা কিনা বর্তমান জমানার উজবেকিসত্মান, কাজাখসত্মান ও কিরগিজসত্মানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত রাজ্য ছিল। পারস্যের ইলখানিরা মূলত মোঙ্গল নেতা হালাকু খানের বংশধর যারা ইসলাম গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক, আমির-ওমরাহ অথবা অভিজাত সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছিলেন। আমাদের নায়ক বাহাউদ্দিন ও তাদের রাজ্যের অভিজাত সমপ্রদায়ের বালক হিসেবে বেশ ভালো সময়ই পার করছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে মোঙ্গল লুটেরারা আক্রমণ চালিয়ে আরও অনেক লোকজনের সঙ্গে বালক বাহাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে আসে এবং পরে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে অতি অল্প দামে বিক্রি করে দেয়। কারণ বালক বাহাউদ্দিন দেখতে যেমন কদাকার ছিলেন তেমনি গায়গতরেও ছিলেন শীর্ণ প্রকৃতির।

নিয়তির জালে আটকা পড়ে আমিরের ছেলে ফকিরের বেশে মধ্য এশিয়ার পরিচিত দাসদাসী বেচাকেনার হাটে পণ্য হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরক্তির উপাদানে পরিণত হন। তার চেহারা-সুরত দেখে কেউ তাকে কিনতে রাজি হচ্ছিল না। এভাবে বহুদিন চলার পর গজনির নামকরা সুফি সাধক খাজা জামাল উদ্দিন বসরি নামমাত্র মূল্যে বাহাউদ্দিনকে কিনে নেন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর তিনি তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন যে কিনা মধ্য এশিয়া থেকে দাসদাসী সংগ্রহ করে ভারতবর্ষে নিয়ে যেত বিক্রির জন্য। বাহাউদ্দিন তার মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন কী অপরাধে তিনি তাকে দাস ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। হজরত খাজা জামাল উদ্দিন বসরি মৃদু হেসে বললেন— বৎস! আমি তোমাকে ভারতবর্ষের রাজত্ব দিলাম। রাজ্য শাসনের জন্যই তুমি সেখানে যাচ্ছো। দাস ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিনসহ আরও ৪০ জন দাস নিয়ে ভারতবর্ষে এলেন এবং তাদের একসঙ্গে বিক্রির জন্য দিলিস্নর সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের দরবারে পেশ করলেন।

সুলতান ইলতুতমিশ ৩৯ জন দাসকে কিনে নিলেন। কিন্তু কুিসত চেহারার কারণে বাহাউদ্দিনকে কিনতে রাজি হলেন না। এ অবস্থায় বাহাউদ্দিন সাহস করে সুলতানকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাহাপনা! এই ৩৯ জনকে কার মর্জিতে এবং কার জন্য কিনলেন। সুলতান বললেন, আমার মর্জিতে এবং আমার জন্য কিনেছি। তখন বাহাউদ্দিন বললেন, আপনার জন্য ৩৯ জনকে কিনলেন। এখন আল্লাহর ওয়াসেত্ম এবং আল্লাহর জন্য কি আর একটি দাস কেনা যায় না। সুলতান ইলতুতমিশ সঙ্গে সঙ্গে বাহাউদ্দিনকে কেনার জন্য রাজি হয়ে গেলেন। পৃথিবীর ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে যে, বাহাউদ্দিন সুলতান ইলতুতমিশের কত বড় বিশ্বাসভাজন আমির ও কত বড় সুদক্ষ সেনাপতি এবং শাসক হয়েছিলেন।

ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর যখন তার পুত্র নাসির উদ্দিন দিলিস্নর সিংহাসনে বসেন তখন বাহাউদ্দিন তার উজিরে আজম হিসেবে ২০ বছর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সুলতান তাকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তার কন্যাকে সম্রাজ্ঞীরূপে বিয়ে করেন এবং তাকে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। সুলতান নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিন গিয়াসউদ্দিন বলবন নাম ধারণ করে দিলিস্নর সিংহাসনে বসে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তা কমবেশি সবাই জানেন।

পাদটীকা : রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বাড়াবাড়ি করেন। অনেকে নানারকম নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মানুষ করে না এহেন কুকর্ম নেই। এত কিছুর পরও রাজনীতিতে বেশির ভাগ সময়ই হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে অনেক কিছু ঘটে যায় যাকে আমরা নিয়তি বলি। রাজনীতিসংশিস্নষ্টরা যদি নিয়তিকে অনিবার্য ভেবে সতর্কভাবে কাজকর্ম করেন তবে তাদের কর্মে বরকত নেমে আসে, জমিনে হানাহানি হ্রাস পায় এবং জনগণ শান্ত্মিতে থাকতে পারে। রাজনীতির মাঠের ঐতিহাসিক চিরসত্য হলো, এখানে কেউ মন্দ কাজ করে দুনিয়া থেকে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও শাসিত্ম না পেয়ে মরতে পারে না। অন্যদিকে, রাজনীতির মহান পুরুষরা যেভাবেই মরুন না কেন তাদের শুভকর্মগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়ারূপে জমিনে বহাল থাকে এবং তাদের মানুষের মন-মসিত্মষ্ক ও প্রার্থনায় জীবন্ত করে রাখে।

 লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

১২ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

২৭ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৩৩ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

৫৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অর্থবছরের প্রথম দিনেই মোংলা বন্দরে একসঙ্গে ৪ বিদেশি জাহাজ
অর্থবছরের প্রথম দিনেই মোংলা বন্দরে একসঙ্গে ৪ বিদেশি জাহাজ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম
আশুগঞ্জ মোকামে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম

দেশগ্রাম