শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

আমি আজ আপনাদের যে কাহিনীগুলো বলব তা পৃথিবীর বহু নামকরা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানিয়ে দেবে। পথের ফকিরের রাজ্যলাভ কিংবা ফকির কর্তৃক রাজ্য ও রাজকন্যা লাভের যুগপৎ ঘটনা নিয়ে রচিত বহু রূপকথা আমরা শৈশবে শুনেছি। মানুষের ভাগ্য যাকে আমরা অনেকে নিয়তি বলি তা কী করে মানুষকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায় তার কিছু রসঘন কল্পনা এবং কিছু বাস্তব উদাহরণ নিয়েই সাধারণত রাজকীয় রূপকথা রচিত হয়। আমার শৈশবে দাদি-দাদা ও কাকার কাছ থেকে আমি বহু রাজ-রাজার রূপকথার গল্প শুনেছি। সেসব রূপকথার সার বাণী ছিল— ভাগ্যগুণেই মানুষ রাজা-বাদশাহ হয়ে যায়। মানুষের নিয়তি তাকে টানতে টানতে প্রথমে রাজধানীতে নিয়ে আসে তারপর একসময় নিয়তিই তাকে চ্যাংদোলা করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে সুন্দরী রাজকন্যার পতিরূপে বাসরঘরে পৌঁছে দেয়।

শৈশবের শোনা রূপকথার আলোকে পরিণত বয়সে এসে রাষ্ট্রক্ষমতা এবং নিয়তি নিয়ে যতই গবেষণা করেছি ততই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু মানুষের যেমন জন্ম হয় কেবল রাজা হওয়ার জন্য তেমনি কিছু মানুষ রাজা হয়ে জন্ম নিয়েও ফকির না হয়ে মরতে পারেন না। প্রকৃতির অপার লীলাখেলায় পৃথিবীর আকাশ, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, প্রাণিকুল এবং বৃক্ষরাজি যেমন ধুলাধূসরিত অসহায় পথচারীর ললাটের রাজটিকা চিনতে পারে তেমনি রাজার রাজটিকা কলঙ্কিত হয়ে পড়লে সব সৃষ্টিকুল সেই হতভাগ্য রাজপুরুষকে ধ্বংসের অতলান্ত্মে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মরিয়া হয়ে ওঠে। মহান রাজপুরুষের পৃথিবীতে আগমনের বহুকাল আগেই প্রকৃতিতে তার আগমনী সানাই যেমন বেজে ওঠে তেমনি কুখ্যাত ও কুলাঙ্গার রাজপুরুষের কলঙ্কিত কর্মের ভয়ে তার জন্মের বহু যুগ আগেই প্রকৃতিতে সতর্ক ধ্বনি অনুরণিত হতে থাকে। আজকের আলোচনায় আমি কোনো নেতিবাচক ঘটনা না বলে ইতিবাচক প্রসঙ্গের অবতারণা করে শিরোনামের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করব।

প্রথমে ঘটনাটি ঘটেছিল সিরিয়ায় ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে। হজরত আবু বকর (রা.)-এর বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। অতটুকু বয়সেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে যথেষ্ট বিত্তশালী হয়ে গিয়েছিলেন এবং উন্নত চরিত্র, জ্ঞান-গরিমা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে সমকালীন সমাজে যথেষ্ট প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। আমি যে সময়টির কথা বলছি তখন কিশোর আবু বকর (রা.) ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। হঠাৎ এক রাতে তিনি ভয়ানক দুর্বোধ্য এক স্বপ্ন দেখলেন এবং সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার জন্য প্রচ- অস্থির হয়ে পড়লেন। তিনি তার সফরসঙ্গীদের পরামর্শে দামেস্ক নগরের বয়োবৃদ্ধ ও সম্মানিত খ্রিস্টান ধর্মগুরুর কাছে গেলেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর মুখে তার স্বপ্নের কাহিনী শোনার পর খ্রিস্টান পাদরি বললেন, তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলবেন তবে শর্ত হলো স্বপ্নের ঘটনাটি বাস্তবে না ঘটা পর্যন্ত হজরত আবু বকর তা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি রাজি হলে খ্রিস্টান পাদরি তাকে জানালেন যে, আগামী দিনে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্য থেকে কেউ একজন আল্লাহর নবী হবেন যিনি কিনা একসময় নবুয়তের পাশাপাশি দুনিয়ার বাদশাহি লাভ করবেন। তিনি যখন নবী হিসেবে কর্মকা- চালাবেন তখন হজরত আবু বকর হবেন তার প্রধান সাহাবি এবং পরে তিনি বাদশাহ হলে তার উজিরে আজমের দায়িত্ব পাবেন হজরত আবু বকর।

উপরোক্ত ঘটনার পর প্রায় ২০ বছর কেটে যায়। হজরত আবু বকর (রা.) দৈনন্দিন কাজের চাপে স্বপ্নের ঘটনা ভুলে যান। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর রসুল (সা.) যখন নবুয়তপ্রাপ্ত হন ঠিক সেই সময়টিতেও হজরত আবু বকর (রা.) বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি যখন মক্কায় ফিরে এলেন তখন পুরো মক্কা নগরীতে নবুয়তের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছিল। হজরত আবু বকর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ছিলেন। নবুয়তের ঘটনাটি মক্কাবাসী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। কারণ তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মমত, দেবতা, বিশ্বাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নবুয়তের ঘটনা বজ্রপাতের মতো আঘাত হেনেছিল। হজরত আবু বকর (রা.) যখন মক্কার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তখন নগরবাসী সমস্বরে তার কাছে রসুল (সা.) এবং তাঁর নবুয়তপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ শুরু করে দিল। তিনি সবকিছু শুনলেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করলেন না। এমনকি নবুয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে তার মনে একটি কথাও উদয় হালো না। তিনি ভাবলেশহীনভাবে এগোতে থাকলেন এবং কিছুদূর যাওয়ার পর আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সঙ্গে তার দেখা হলো।

স্বাভাবিক কুশলাদি বিনিময়ের পর রসুল (সা.) বললেন, ইয়া আবু বকর! আমি নবুয়তপ্রাপ্ত হয়েছি। তুমি আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং আমাকে নবী মেনে ইসলাম গ্রহণ কর। হজরত আবু বকর যখন রসুল (সা.)-এর মুখে নবুয়তের কথা শুনলেন তখনো তার মনে একবারও সিরিয়ার সেই স্বপ্নের কথা উদয় হলো না। তিনি খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি যে নবী তার কি কোনো প্রমাণ আছে? রসুল (সা.) বললেন, অবশ্যই আছে। হে আবু বকর! স্মরণ কর সেই স্বপ্নের কথা যা তুমি আজ থেকে ২০ বছর আগে সিরিয়ার দামেস্ক নগরে দেখেছিলে। তোমার সেই স্বপ্নই হলো আমার পক্ষ থেকে তোমার কাছে নবুয়তের সবচেয়ে বড় প্রমাণ! স্তম্ভিত আবু বকর (রা.) সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করলেন। স্বয়ং হজরত আবু বকর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদিসটি সর্বজনস্বীকৃত সহি হাদিসরূপে বুখারিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আমার দ্বিতীয় কাহিনীটিরও ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। এটি পৃথিবী তোলপাড় করা একটি ঘটনা। ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কাছে সমগুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র নগরের নাম জেরুজালেম। আমি যে সময়টির কথা বলব তখন জেরুজালেম নগরের কর্তৃত্ব ছিল খ্রিস্টানদের হাতে। খ্রিস্টান পাদরি সফ্রোনিয়াস বাইজানটাইন অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে শহরটি শাসন করতেন এবং তার সময়ই মুসলিম সেনাপতি হজরত আবু ওবায়দা (রা.) ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে শহরটি দখল করেন। যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর খ্রিস্টান পাদরিরা অদ্ভুত এক দাবি পেশ করে বসলেন। তারা জানালেন যে, মুসলমানদের খলিফা আমিরুল মুমিনিনের একটি দলিল তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে যেখানে লেখা রয়েছে যে, তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করবেন এবং পরাজিত খ্রিস্টানদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করবেন। সেনাপতি আবু ওবায়দা ঘটনা শুনে যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে পড়লেন। কারণ হজরত ওমর মাত্র দুই বছর আগে অর্থাৎ ৬৩৪ সালের আগস্টে খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো দিন জেরুজালেম আসেননি বা খ্রিস্টানরা মদিনা যাননি। কাজেই খলিফার স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা কীভাবে সম্ভব!

হজরত আবু ওবায়দা (রা.) বিস্তারিত লিখে মদিনায় খলিফার দরবারে পত্র প্রেরণ করলেন। পত্র পাওয়া মাত্র হজরত ওমর (রা.) একজন ভৃত্য ও একটি উট নিয়ে দুর্গম মরুপথে মদিনা থেকে জেরুজালেমের পথে রওনা হয়ে গেলেন। তার সেই ভ্রমণ, জেরুজালেমে উপস্থিতি এবং নগরের কর্তৃক গ্রহণের কথা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু সেই ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী যা হয়তো অনেকেই জানেন না তা আপনাদের বলে পরবর্তী ঘটনায় চলে যাব। আলোচ্য কাহিনীটি শুরু হয়েছিল হজরত ওমরের বালক বেলায় যখন নবুয়ত, ইসলাম, কোরআন কিংবা মুসলমান নামক শব্দগুলো পৃথিবীতে ছিল না। বালক ওমর তার স্বগোত্রীয় বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে সেবার জেরুজালেম গিয়েছিলেন। একদিন তিনি মূল কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৌতূহলবশত বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ যা তখন খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো তা দেখতে গিয়ে খ্রিস্টান পাদরিদের দ্বারা গ্রেফতার হন। হজরত ওমরের সফরসঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে বায়তুল মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হন। তারা খ্রিস্টান পাদরিদের কাছ থেকে বালক ওমর সম্পর্কে যা শুনতে পান তা তাদের কাছে ওই মুহূর্তে পাগলের প্রলাপ বা গাঁজাখোরি কাহিনী বলেই প্রতীয়মাণ হয়। পাদরিরা অভিযোগ করেন যে, তারা বালক ওমরের ললাটে রাজটিকা দেখতে পেয়েছেন যার ভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করে তারা জেনেছেন যে, এই বালক পরিণত বয়সে মস্তবড় বাদশাহ হবেন এবং তার সৈন্যরা একদিন জেরুজালেম দখল করবেন। এখন এই বালক যদি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষর করেন যে, তার সৈন্যরা অনাগত দিনে জেরুজালেম দখল করলে তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের চাবি গ্রহণ করবেন এবং খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দেবেন তাহলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে— অন্যথায় নয়।

হজরত ওমর (রা.)-এর সফরসঙ্গীরা পাদরিদের কথায় রাজি হয়ে যান এবং বালক ওমরকে দিয়ে দলিল স্বাক্ষর করিয়ে নিরাপদে সেই স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ও মরমি প-িত হজরত ইবনে কাসির (রহ.) তার কিংবদন্ত্মির গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’তে এ ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আলোচ্য ঘটনাগুলোর মতো হিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও রাজত্ব লাভ যেমন বহু আগেই তার মামা কংস জেনে গিয়েছিলেন তেমনি দেবতা রামের জন্মের অনেক আগেই তার জীবনীগ্রন্থ রামায়ণ রচিত হয়েছিল। মহামতি আলেকজান্ডারের জন্মের আগে এমনকি তার মায়ের বিয়ের আগে তার মা যেমন জেনে গিয়েছিলেন যে, তিনি একটি বিস্ময়কর সন্তানের মা হবেন; তেমনি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা শাসক এবং পৃথিবীর প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপনকারী সম্রাট মহামতি সাইরাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কাহিনীর সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ঘটনার হুবহু মিল রয়েছে।

আজকের নিবন্ধের সর্বশেষ কাহিনীটি আমি নিয়েছি ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনী থেকে। একই ঘটনা প্রায় হুবহুভাবে বর্ণিত হয়েছে খুশবন্ত সিংয়ের ‘দিলিস্ন’ উপন্যাসে। ঘটনার নায়কের আদি নাম বাহাউদ্দিন। পারস্যের বিখ্যাত ইলখানি বংশে তার জন্ম হলেও তার পরিবার মধ্য এশিয়ার তুর্ক যা কিনা বর্তমান জমানার উজবেকিসত্মান, কাজাখসত্মান ও কিরগিজসত্মানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত রাজ্য ছিল। পারস্যের ইলখানিরা মূলত মোঙ্গল নেতা হালাকু খানের বংশধর যারা ইসলাম গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক, আমির-ওমরাহ অথবা অভিজাত সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছিলেন। আমাদের নায়ক বাহাউদ্দিন ও তাদের রাজ্যের অভিজাত সমপ্রদায়ের বালক হিসেবে বেশ ভালো সময়ই পার করছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে মোঙ্গল লুটেরারা আক্রমণ চালিয়ে আরও অনেক লোকজনের সঙ্গে বালক বাহাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে আসে এবং পরে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে অতি অল্প দামে বিক্রি করে দেয়। কারণ বালক বাহাউদ্দিন দেখতে যেমন কদাকার ছিলেন তেমনি গায়গতরেও ছিলেন শীর্ণ প্রকৃতির।

নিয়তির জালে আটকা পড়ে আমিরের ছেলে ফকিরের বেশে মধ্য এশিয়ার পরিচিত দাসদাসী বেচাকেনার হাটে পণ্য হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরক্তির উপাদানে পরিণত হন। তার চেহারা-সুরত দেখে কেউ তাকে কিনতে রাজি হচ্ছিল না। এভাবে বহুদিন চলার পর গজনির নামকরা সুফি সাধক খাজা জামাল উদ্দিন বসরি নামমাত্র মূল্যে বাহাউদ্দিনকে কিনে নেন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর তিনি তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন যে কিনা মধ্য এশিয়া থেকে দাসদাসী সংগ্রহ করে ভারতবর্ষে নিয়ে যেত বিক্রির জন্য। বাহাউদ্দিন তার মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন কী অপরাধে তিনি তাকে দাস ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। হজরত খাজা জামাল উদ্দিন বসরি মৃদু হেসে বললেন— বৎস! আমি তোমাকে ভারতবর্ষের রাজত্ব দিলাম। রাজ্য শাসনের জন্যই তুমি সেখানে যাচ্ছো। দাস ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিনসহ আরও ৪০ জন দাস নিয়ে ভারতবর্ষে এলেন এবং তাদের একসঙ্গে বিক্রির জন্য দিলিস্নর সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের দরবারে পেশ করলেন।

সুলতান ইলতুতমিশ ৩৯ জন দাসকে কিনে নিলেন। কিন্তু কুিসত চেহারার কারণে বাহাউদ্দিনকে কিনতে রাজি হলেন না। এ অবস্থায় বাহাউদ্দিন সাহস করে সুলতানকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাহাপনা! এই ৩৯ জনকে কার মর্জিতে এবং কার জন্য কিনলেন। সুলতান বললেন, আমার মর্জিতে এবং আমার জন্য কিনেছি। তখন বাহাউদ্দিন বললেন, আপনার জন্য ৩৯ জনকে কিনলেন। এখন আল্লাহর ওয়াসেত্ম এবং আল্লাহর জন্য কি আর একটি দাস কেনা যায় না। সুলতান ইলতুতমিশ সঙ্গে সঙ্গে বাহাউদ্দিনকে কেনার জন্য রাজি হয়ে গেলেন। পৃথিবীর ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে যে, বাহাউদ্দিন সুলতান ইলতুতমিশের কত বড় বিশ্বাসভাজন আমির ও কত বড় সুদক্ষ সেনাপতি এবং শাসক হয়েছিলেন।

ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর যখন তার পুত্র নাসির উদ্দিন দিলিস্নর সিংহাসনে বসেন তখন বাহাউদ্দিন তার উজিরে আজম হিসেবে ২০ বছর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সুলতান তাকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তার কন্যাকে সম্রাজ্ঞীরূপে বিয়ে করেন এবং তাকে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। সুলতান নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিন গিয়াসউদ্দিন বলবন নাম ধারণ করে দিলিস্নর সিংহাসনে বসে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তা কমবেশি সবাই জানেন।

পাদটীকা : রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বাড়াবাড়ি করেন। অনেকে নানারকম নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মানুষ করে না এহেন কুকর্ম নেই। এত কিছুর পরও রাজনীতিতে বেশির ভাগ সময়ই হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে অনেক কিছু ঘটে যায় যাকে আমরা নিয়তি বলি। রাজনীতিসংশিস্নষ্টরা যদি নিয়তিকে অনিবার্য ভেবে সতর্কভাবে কাজকর্ম করেন তবে তাদের কর্মে বরকত নেমে আসে, জমিনে হানাহানি হ্রাস পায় এবং জনগণ শান্ত্মিতে থাকতে পারে। রাজনীতির মাঠের ঐতিহাসিক চিরসত্য হলো, এখানে কেউ মন্দ কাজ করে দুনিয়া থেকে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও শাসিত্ম না পেয়ে মরতে পারে না। অন্যদিকে, রাজনীতির মহান পুরুষরা যেভাবেই মরুন না কেন তাদের শুভকর্মগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়ারূপে জমিনে বহাল থাকে এবং তাদের মানুষের মন-মসিত্মষ্ক ও প্রার্থনায় জীবন্ত করে রাখে।

 লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
টেবিল টেনিসে বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ জয়
টেবিল টেনিসে বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ জয়

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে সফল নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
বাংলাদেশে সফল নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

২৯ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত
সিরাজগঞ্জে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের
জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৫১ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

৫৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তৈরি পোশাক শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

৫৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান
বাংলাদেশে এলেন প্রভাবশালী আলেম মুফতি ফজলুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা
পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগ করল দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৩ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
দুই ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জকসু'র চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ছবিসহ প্রকাশ
জকসু'র চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ছবিসহ প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু
জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা
লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?
গাজায় হচ্ছে মার্কিন ঘাঁটি, যাচ্ছে হাজারো সেনা?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’
‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না
বিএনপির কাছে বগুড়া-২ আসন থেকেই নির্বাচন করার দাবি করবো: মান্না

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের
১৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট দলের

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না
একই দিন গণভোট হলে ৫ শতাংশও ভোট পড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনগণের আগ্রহ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা

সম্পাদকীয়

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়

সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন
সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন

নগর জীবন

১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ
১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ

দেশগ্রাম

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে
প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে

নগর জীবন

প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

দেশগ্রাম

আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা
আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা

নগর জীবন