শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

আমি আজ আপনাদের যে কাহিনীগুলো বলব তা পৃথিবীর বহু নামকরা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানিয়ে দেবে। পথের ফকিরের রাজ্যলাভ কিংবা ফকির কর্তৃক রাজ্য ও রাজকন্যা লাভের যুগপৎ ঘটনা নিয়ে রচিত বহু রূপকথা আমরা শৈশবে শুনেছি। মানুষের ভাগ্য যাকে আমরা অনেকে নিয়তি বলি তা কী করে মানুষকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায় তার কিছু রসঘন কল্পনা এবং কিছু বাস্তব উদাহরণ নিয়েই সাধারণত রাজকীয় রূপকথা রচিত হয়। আমার শৈশবে দাদি-দাদা ও কাকার কাছ থেকে আমি বহু রাজ-রাজার রূপকথার গল্প শুনেছি। সেসব রূপকথার সার বাণী ছিল— ভাগ্যগুণেই মানুষ রাজা-বাদশাহ হয়ে যায়। মানুষের নিয়তি তাকে টানতে টানতে প্রথমে রাজধানীতে নিয়ে আসে তারপর একসময় নিয়তিই তাকে চ্যাংদোলা করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে সুন্দরী রাজকন্যার পতিরূপে বাসরঘরে পৌঁছে দেয়।

শৈশবের শোনা রূপকথার আলোকে পরিণত বয়সে এসে রাষ্ট্রক্ষমতা এবং নিয়তি নিয়ে যতই গবেষণা করেছি ততই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু মানুষের যেমন জন্ম হয় কেবল রাজা হওয়ার জন্য তেমনি কিছু মানুষ রাজা হয়ে জন্ম নিয়েও ফকির না হয়ে মরতে পারেন না। প্রকৃতির অপার লীলাখেলায় পৃথিবীর আকাশ, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, প্রাণিকুল এবং বৃক্ষরাজি যেমন ধুলাধূসরিত অসহায় পথচারীর ললাটের রাজটিকা চিনতে পারে তেমনি রাজার রাজটিকা কলঙ্কিত হয়ে পড়লে সব সৃষ্টিকুল সেই হতভাগ্য রাজপুরুষকে ধ্বংসের অতলান্ত্মে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মরিয়া হয়ে ওঠে। মহান রাজপুরুষের পৃথিবীতে আগমনের বহুকাল আগেই প্রকৃতিতে তার আগমনী সানাই যেমন বেজে ওঠে তেমনি কুখ্যাত ও কুলাঙ্গার রাজপুরুষের কলঙ্কিত কর্মের ভয়ে তার জন্মের বহু যুগ আগেই প্রকৃতিতে সতর্ক ধ্বনি অনুরণিত হতে থাকে। আজকের আলোচনায় আমি কোনো নেতিবাচক ঘটনা না বলে ইতিবাচক প্রসঙ্গের অবতারণা করে শিরোনামের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করব।

প্রথমে ঘটনাটি ঘটেছিল সিরিয়ায় ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে। হজরত আবু বকর (রা.)-এর বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। অতটুকু বয়সেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে যথেষ্ট বিত্তশালী হয়ে গিয়েছিলেন এবং উন্নত চরিত্র, জ্ঞান-গরিমা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে সমকালীন সমাজে যথেষ্ট প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। আমি যে সময়টির কথা বলছি তখন কিশোর আবু বকর (রা.) ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। হঠাৎ এক রাতে তিনি ভয়ানক দুর্বোধ্য এক স্বপ্ন দেখলেন এবং সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার জন্য প্রচ- অস্থির হয়ে পড়লেন। তিনি তার সফরসঙ্গীদের পরামর্শে দামেস্ক নগরের বয়োবৃদ্ধ ও সম্মানিত খ্রিস্টান ধর্মগুরুর কাছে গেলেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর মুখে তার স্বপ্নের কাহিনী শোনার পর খ্রিস্টান পাদরি বললেন, তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলবেন তবে শর্ত হলো স্বপ্নের ঘটনাটি বাস্তবে না ঘটা পর্যন্ত হজরত আবু বকর তা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি রাজি হলে খ্রিস্টান পাদরি তাকে জানালেন যে, আগামী দিনে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্য থেকে কেউ একজন আল্লাহর নবী হবেন যিনি কিনা একসময় নবুয়তের পাশাপাশি দুনিয়ার বাদশাহি লাভ করবেন। তিনি যখন নবী হিসেবে কর্মকা- চালাবেন তখন হজরত আবু বকর হবেন তার প্রধান সাহাবি এবং পরে তিনি বাদশাহ হলে তার উজিরে আজমের দায়িত্ব পাবেন হজরত আবু বকর।

উপরোক্ত ঘটনার পর প্রায় ২০ বছর কেটে যায়। হজরত আবু বকর (রা.) দৈনন্দিন কাজের চাপে স্বপ্নের ঘটনা ভুলে যান। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর রসুল (সা.) যখন নবুয়তপ্রাপ্ত হন ঠিক সেই সময়টিতেও হজরত আবু বকর (রা.) বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি যখন মক্কায় ফিরে এলেন তখন পুরো মক্কা নগরীতে নবুয়তের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছিল। হজরত আবু বকর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ছিলেন। নবুয়তের ঘটনাটি মক্কাবাসী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। কারণ তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মমত, দেবতা, বিশ্বাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নবুয়তের ঘটনা বজ্রপাতের মতো আঘাত হেনেছিল। হজরত আবু বকর (রা.) যখন মক্কার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তখন নগরবাসী সমস্বরে তার কাছে রসুল (সা.) এবং তাঁর নবুয়তপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ শুরু করে দিল। তিনি সবকিছু শুনলেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করলেন না। এমনকি নবুয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে তার মনে একটি কথাও উদয় হালো না। তিনি ভাবলেশহীনভাবে এগোতে থাকলেন এবং কিছুদূর যাওয়ার পর আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সঙ্গে তার দেখা হলো।

স্বাভাবিক কুশলাদি বিনিময়ের পর রসুল (সা.) বললেন, ইয়া আবু বকর! আমি নবুয়তপ্রাপ্ত হয়েছি। তুমি আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং আমাকে নবী মেনে ইসলাম গ্রহণ কর। হজরত আবু বকর যখন রসুল (সা.)-এর মুখে নবুয়তের কথা শুনলেন তখনো তার মনে একবারও সিরিয়ার সেই স্বপ্নের কথা উদয় হলো না। তিনি খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি যে নবী তার কি কোনো প্রমাণ আছে? রসুল (সা.) বললেন, অবশ্যই আছে। হে আবু বকর! স্মরণ কর সেই স্বপ্নের কথা যা তুমি আজ থেকে ২০ বছর আগে সিরিয়ার দামেস্ক নগরে দেখেছিলে। তোমার সেই স্বপ্নই হলো আমার পক্ষ থেকে তোমার কাছে নবুয়তের সবচেয়ে বড় প্রমাণ! স্তম্ভিত আবু বকর (রা.) সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করলেন। স্বয়ং হজরত আবু বকর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদিসটি সর্বজনস্বীকৃত সহি হাদিসরূপে বুখারিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আমার দ্বিতীয় কাহিনীটিরও ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। এটি পৃথিবী তোলপাড় করা একটি ঘটনা। ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কাছে সমগুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র নগরের নাম জেরুজালেম। আমি যে সময়টির কথা বলব তখন জেরুজালেম নগরের কর্তৃত্ব ছিল খ্রিস্টানদের হাতে। খ্রিস্টান পাদরি সফ্রোনিয়াস বাইজানটাইন অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে শহরটি শাসন করতেন এবং তার সময়ই মুসলিম সেনাপতি হজরত আবু ওবায়দা (রা.) ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে শহরটি দখল করেন। যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর খ্রিস্টান পাদরিরা অদ্ভুত এক দাবি পেশ করে বসলেন। তারা জানালেন যে, মুসলমানদের খলিফা আমিরুল মুমিনিনের একটি দলিল তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে যেখানে লেখা রয়েছে যে, তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করবেন এবং পরাজিত খ্রিস্টানদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করবেন। সেনাপতি আবু ওবায়দা ঘটনা শুনে যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে পড়লেন। কারণ হজরত ওমর মাত্র দুই বছর আগে অর্থাৎ ৬৩৪ সালের আগস্টে খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো দিন জেরুজালেম আসেননি বা খ্রিস্টানরা মদিনা যাননি। কাজেই খলিফার স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা কীভাবে সম্ভব!

হজরত আবু ওবায়দা (রা.) বিস্তারিত লিখে মদিনায় খলিফার দরবারে পত্র প্রেরণ করলেন। পত্র পাওয়া মাত্র হজরত ওমর (রা.) একজন ভৃত্য ও একটি উট নিয়ে দুর্গম মরুপথে মদিনা থেকে জেরুজালেমের পথে রওনা হয়ে গেলেন। তার সেই ভ্রমণ, জেরুজালেমে উপস্থিতি এবং নগরের কর্তৃক গ্রহণের কথা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু সেই ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী যা হয়তো অনেকেই জানেন না তা আপনাদের বলে পরবর্তী ঘটনায় চলে যাব। আলোচ্য কাহিনীটি শুরু হয়েছিল হজরত ওমরের বালক বেলায় যখন নবুয়ত, ইসলাম, কোরআন কিংবা মুসলমান নামক শব্দগুলো পৃথিবীতে ছিল না। বালক ওমর তার স্বগোত্রীয় বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে সেবার জেরুজালেম গিয়েছিলেন। একদিন তিনি মূল কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৌতূহলবশত বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ যা তখন খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো তা দেখতে গিয়ে খ্রিস্টান পাদরিদের দ্বারা গ্রেফতার হন। হজরত ওমরের সফরসঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে বায়তুল মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হন। তারা খ্রিস্টান পাদরিদের কাছ থেকে বালক ওমর সম্পর্কে যা শুনতে পান তা তাদের কাছে ওই মুহূর্তে পাগলের প্রলাপ বা গাঁজাখোরি কাহিনী বলেই প্রতীয়মাণ হয়। পাদরিরা অভিযোগ করেন যে, তারা বালক ওমরের ললাটে রাজটিকা দেখতে পেয়েছেন যার ভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করে তারা জেনেছেন যে, এই বালক পরিণত বয়সে মস্তবড় বাদশাহ হবেন এবং তার সৈন্যরা একদিন জেরুজালেম দখল করবেন। এখন এই বালক যদি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষর করেন যে, তার সৈন্যরা অনাগত দিনে জেরুজালেম দখল করলে তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের চাবি গ্রহণ করবেন এবং খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দেবেন তাহলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে— অন্যথায় নয়।

হজরত ওমর (রা.)-এর সফরসঙ্গীরা পাদরিদের কথায় রাজি হয়ে যান এবং বালক ওমরকে দিয়ে দলিল স্বাক্ষর করিয়ে নিরাপদে সেই স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ও মরমি প-িত হজরত ইবনে কাসির (রহ.) তার কিংবদন্ত্মির গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’তে এ ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আলোচ্য ঘটনাগুলোর মতো হিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও রাজত্ব লাভ যেমন বহু আগেই তার মামা কংস জেনে গিয়েছিলেন তেমনি দেবতা রামের জন্মের অনেক আগেই তার জীবনীগ্রন্থ রামায়ণ রচিত হয়েছিল। মহামতি আলেকজান্ডারের জন্মের আগে এমনকি তার মায়ের বিয়ের আগে তার মা যেমন জেনে গিয়েছিলেন যে, তিনি একটি বিস্ময়কর সন্তানের মা হবেন; তেমনি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা শাসক এবং পৃথিবীর প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপনকারী সম্রাট মহামতি সাইরাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কাহিনীর সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ঘটনার হুবহু মিল রয়েছে।

আজকের নিবন্ধের সর্বশেষ কাহিনীটি আমি নিয়েছি ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনী থেকে। একই ঘটনা প্রায় হুবহুভাবে বর্ণিত হয়েছে খুশবন্ত সিংয়ের ‘দিলিস্ন’ উপন্যাসে। ঘটনার নায়কের আদি নাম বাহাউদ্দিন। পারস্যের বিখ্যাত ইলখানি বংশে তার জন্ম হলেও তার পরিবার মধ্য এশিয়ার তুর্ক যা কিনা বর্তমান জমানার উজবেকিসত্মান, কাজাখসত্মান ও কিরগিজসত্মানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত রাজ্য ছিল। পারস্যের ইলখানিরা মূলত মোঙ্গল নেতা হালাকু খানের বংশধর যারা ইসলাম গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক, আমির-ওমরাহ অথবা অভিজাত সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছিলেন। আমাদের নায়ক বাহাউদ্দিন ও তাদের রাজ্যের অভিজাত সমপ্রদায়ের বালক হিসেবে বেশ ভালো সময়ই পার করছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে মোঙ্গল লুটেরারা আক্রমণ চালিয়ে আরও অনেক লোকজনের সঙ্গে বালক বাহাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে আসে এবং পরে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে অতি অল্প দামে বিক্রি করে দেয়। কারণ বালক বাহাউদ্দিন দেখতে যেমন কদাকার ছিলেন তেমনি গায়গতরেও ছিলেন শীর্ণ প্রকৃতির।

নিয়তির জালে আটকা পড়ে আমিরের ছেলে ফকিরের বেশে মধ্য এশিয়ার পরিচিত দাসদাসী বেচাকেনার হাটে পণ্য হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরক্তির উপাদানে পরিণত হন। তার চেহারা-সুরত দেখে কেউ তাকে কিনতে রাজি হচ্ছিল না। এভাবে বহুদিন চলার পর গজনির নামকরা সুফি সাধক খাজা জামাল উদ্দিন বসরি নামমাত্র মূল্যে বাহাউদ্দিনকে কিনে নেন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর তিনি তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন যে কিনা মধ্য এশিয়া থেকে দাসদাসী সংগ্রহ করে ভারতবর্ষে নিয়ে যেত বিক্রির জন্য। বাহাউদ্দিন তার মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন কী অপরাধে তিনি তাকে দাস ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। হজরত খাজা জামাল উদ্দিন বসরি মৃদু হেসে বললেন— বৎস! আমি তোমাকে ভারতবর্ষের রাজত্ব দিলাম। রাজ্য শাসনের জন্যই তুমি সেখানে যাচ্ছো। দাস ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিনসহ আরও ৪০ জন দাস নিয়ে ভারতবর্ষে এলেন এবং তাদের একসঙ্গে বিক্রির জন্য দিলিস্নর সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের দরবারে পেশ করলেন।

সুলতান ইলতুতমিশ ৩৯ জন দাসকে কিনে নিলেন। কিন্তু কুিসত চেহারার কারণে বাহাউদ্দিনকে কিনতে রাজি হলেন না। এ অবস্থায় বাহাউদ্দিন সাহস করে সুলতানকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাহাপনা! এই ৩৯ জনকে কার মর্জিতে এবং কার জন্য কিনলেন। সুলতান বললেন, আমার মর্জিতে এবং আমার জন্য কিনেছি। তখন বাহাউদ্দিন বললেন, আপনার জন্য ৩৯ জনকে কিনলেন। এখন আল্লাহর ওয়াসেত্ম এবং আল্লাহর জন্য কি আর একটি দাস কেনা যায় না। সুলতান ইলতুতমিশ সঙ্গে সঙ্গে বাহাউদ্দিনকে কেনার জন্য রাজি হয়ে গেলেন। পৃথিবীর ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে যে, বাহাউদ্দিন সুলতান ইলতুতমিশের কত বড় বিশ্বাসভাজন আমির ও কত বড় সুদক্ষ সেনাপতি এবং শাসক হয়েছিলেন।

ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর যখন তার পুত্র নাসির উদ্দিন দিলিস্নর সিংহাসনে বসেন তখন বাহাউদ্দিন তার উজিরে আজম হিসেবে ২০ বছর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সুলতান তাকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তার কন্যাকে সম্রাজ্ঞীরূপে বিয়ে করেন এবং তাকে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। সুলতান নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিন গিয়াসউদ্দিন বলবন নাম ধারণ করে দিলিস্নর সিংহাসনে বসে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তা কমবেশি সবাই জানেন।

পাদটীকা : রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বাড়াবাড়ি করেন। অনেকে নানারকম নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মানুষ করে না এহেন কুকর্ম নেই। এত কিছুর পরও রাজনীতিতে বেশির ভাগ সময়ই হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে অনেক কিছু ঘটে যায় যাকে আমরা নিয়তি বলি। রাজনীতিসংশিস্নষ্টরা যদি নিয়তিকে অনিবার্য ভেবে সতর্কভাবে কাজকর্ম করেন তবে তাদের কর্মে বরকত নেমে আসে, জমিনে হানাহানি হ্রাস পায় এবং জনগণ শান্ত্মিতে থাকতে পারে। রাজনীতির মাঠের ঐতিহাসিক চিরসত্য হলো, এখানে কেউ মন্দ কাজ করে দুনিয়া থেকে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও শাসিত্ম না পেয়ে মরতে পারে না। অন্যদিকে, রাজনীতির মহান পুরুষরা যেভাবেই মরুন না কেন তাদের শুভকর্মগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়ারূপে জমিনে বহাল থাকে এবং তাদের মানুষের মন-মসিত্মষ্ক ও প্রার্থনায় জীবন্ত করে রাখে।

 লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে মিলল ইয়াবা, আটক ২
প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারে মিলল ইয়াবা, আটক ২

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা