শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

গোলাম মাওলা রনি
প্রিন্ট ভার্সন
নিয়তির রাজনীতির অলৌকিক সিংহাসন

আমি আজ আপনাদের যে কাহিনীগুলো বলব তা পৃথিবীর বহু নামকরা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানিয়ে দেবে। পথের ফকিরের রাজ্যলাভ কিংবা ফকির কর্তৃক রাজ্য ও রাজকন্যা লাভের যুগপৎ ঘটনা নিয়ে রচিত বহু রূপকথা আমরা শৈশবে শুনেছি। মানুষের ভাগ্য যাকে আমরা অনেকে নিয়তি বলি তা কী করে মানুষকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায় তার কিছু রসঘন কল্পনা এবং কিছু বাস্তব উদাহরণ নিয়েই সাধারণত রাজকীয় রূপকথা রচিত হয়। আমার শৈশবে দাদি-দাদা ও কাকার কাছ থেকে আমি বহু রাজ-রাজার রূপকথার গল্প শুনেছি। সেসব রূপকথার সার বাণী ছিল— ভাগ্যগুণেই মানুষ রাজা-বাদশাহ হয়ে যায়। মানুষের নিয়তি তাকে টানতে টানতে প্রথমে রাজধানীতে নিয়ে আসে তারপর একসময় নিয়তিই তাকে চ্যাংদোলা করে সিংহাসনে বসিয়ে দিয়ে সুন্দরী রাজকন্যার পতিরূপে বাসরঘরে পৌঁছে দেয়।

শৈশবের শোনা রূপকথার আলোকে পরিণত বয়সে এসে রাষ্ট্রক্ষমতা এবং নিয়তি নিয়ে যতই গবেষণা করেছি ততই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি যে, কিছু মানুষের যেমন জন্ম হয় কেবল রাজা হওয়ার জন্য তেমনি কিছু মানুষ রাজা হয়ে জন্ম নিয়েও ফকির না হয়ে মরতে পারেন না। প্রকৃতির অপার লীলাখেলায় পৃথিবীর আকাশ, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা, প্রাণিকুল এবং বৃক্ষরাজি যেমন ধুলাধূসরিত অসহায় পথচারীর ললাটের রাজটিকা চিনতে পারে তেমনি রাজার রাজটিকা কলঙ্কিত হয়ে পড়লে সব সৃষ্টিকুল সেই হতভাগ্য রাজপুরুষকে ধ্বংসের অতলান্ত্মে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মরিয়া হয়ে ওঠে। মহান রাজপুরুষের পৃথিবীতে আগমনের বহুকাল আগেই প্রকৃতিতে তার আগমনী সানাই যেমন বেজে ওঠে তেমনি কুখ্যাত ও কুলাঙ্গার রাজপুরুষের কলঙ্কিত কর্মের ভয়ে তার জন্মের বহু যুগ আগেই প্রকৃতিতে সতর্ক ধ্বনি অনুরণিত হতে থাকে। আজকের আলোচনায় আমি কোনো নেতিবাচক ঘটনা না বলে ইতিবাচক প্রসঙ্গের অবতারণা করে শিরোনামের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করব।

প্রথমে ঘটনাটি ঘটেছিল সিরিয়ায় ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে। হজরত আবু বকর (রা.)-এর বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। অতটুকু বয়সেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে যথেষ্ট বিত্তশালী হয়ে গিয়েছিলেন এবং উন্নত চরিত্র, জ্ঞান-গরিমা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে সমকালীন সমাজে যথেষ্ট প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। আমি যে সময়টির কথা বলছি তখন কিশোর আবু বকর (রা.) ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। হঠাৎ এক রাতে তিনি ভয়ানক দুর্বোধ্য এক স্বপ্ন দেখলেন এবং সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার জন্য প্রচ- অস্থির হয়ে পড়লেন। তিনি তার সফরসঙ্গীদের পরামর্শে দামেস্ক নগরের বয়োবৃদ্ধ ও সম্মানিত খ্রিস্টান ধর্মগুরুর কাছে গেলেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর মুখে তার স্বপ্নের কাহিনী শোনার পর খ্রিস্টান পাদরি বললেন, তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলবেন তবে শর্ত হলো স্বপ্নের ঘটনাটি বাস্তবে না ঘটা পর্যন্ত হজরত আবু বকর তা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি রাজি হলে খ্রিস্টান পাদরি তাকে জানালেন যে, আগামী দিনে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্য থেকে কেউ একজন আল্লাহর নবী হবেন যিনি কিনা একসময় নবুয়তের পাশাপাশি দুনিয়ার বাদশাহি লাভ করবেন। তিনি যখন নবী হিসেবে কর্মকা- চালাবেন তখন হজরত আবু বকর হবেন তার প্রধান সাহাবি এবং পরে তিনি বাদশাহ হলে তার উজিরে আজমের দায়িত্ব পাবেন হজরত আবু বকর।

উপরোক্ত ঘটনার পর প্রায় ২০ বছর কেটে যায়। হজরত আবু বকর (রা.) দৈনন্দিন কাজের চাপে স্বপ্নের ঘটনা ভুলে যান। ৬১০ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর রসুল (সা.) যখন নবুয়তপ্রাপ্ত হন ঠিক সেই সময়টিতেও হজরত আবু বকর (রা.) বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। তিনি যখন মক্কায় ফিরে এলেন তখন পুরো মক্কা নগরীতে নবুয়তের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছিল। হজরত আবু বকর (রা.) আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ছিলেন। নবুয়তের ঘটনাটি মক্কাবাসী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। কারণ তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মমত, দেবতা, বিশ্বাস ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নবুয়তের ঘটনা বজ্রপাতের মতো আঘাত হেনেছিল। হজরত আবু বকর (রা.) যখন মক্কার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তখন নগরবাসী সমস্বরে তার কাছে রসুল (সা.) এবং তাঁর নবুয়তপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ শুরু করে দিল। তিনি সবকিছু শুনলেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করলেন না। এমনকি নবুয়তের পক্ষে বা বিপক্ষে তার মনে একটি কথাও উদয় হালো না। তিনি ভাবলেশহীনভাবে এগোতে থাকলেন এবং কিছুদূর যাওয়ার পর আল্লাহর রসুল (সা.)-এর সঙ্গে তার দেখা হলো।

স্বাভাবিক কুশলাদি বিনিময়ের পর রসুল (সা.) বললেন, ইয়া আবু বকর! আমি নবুয়তপ্রাপ্ত হয়েছি। তুমি আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং আমাকে নবী মেনে ইসলাম গ্রহণ কর। হজরত আবু বকর যখন রসুল (সা.)-এর মুখে নবুয়তের কথা শুনলেন তখনো তার মনে একবারও সিরিয়ার সেই স্বপ্নের কথা উদয় হলো না। তিনি খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি যে নবী তার কি কোনো প্রমাণ আছে? রসুল (সা.) বললেন, অবশ্যই আছে। হে আবু বকর! স্মরণ কর সেই স্বপ্নের কথা যা তুমি আজ থেকে ২০ বছর আগে সিরিয়ার দামেস্ক নগরে দেখেছিলে। তোমার সেই স্বপ্নই হলো আমার পক্ষ থেকে তোমার কাছে নবুয়তের সবচেয়ে বড় প্রমাণ! স্তম্ভিত আবু বকর (রা.) সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করলেন। স্বয়ং হজরত আবু বকর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদিসটি সর্বজনস্বীকৃত সহি হাদিসরূপে বুখারিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আমার দ্বিতীয় কাহিনীটিরও ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। এটি পৃথিবী তোলপাড় করা একটি ঘটনা। ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কাছে সমগুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র নগরের নাম জেরুজালেম। আমি যে সময়টির কথা বলব তখন জেরুজালেম নগরের কর্তৃত্ব ছিল খ্রিস্টানদের হাতে। খ্রিস্টান পাদরি সফ্রোনিয়াস বাইজানটাইন অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে শহরটি শাসন করতেন এবং তার সময়ই মুসলিম সেনাপতি হজরত আবু ওবায়দা (রা.) ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে শহরটি দখল করেন। যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর খ্রিস্টান পাদরিরা অদ্ভুত এক দাবি পেশ করে বসলেন। তারা জানালেন যে, মুসলমানদের খলিফা আমিরুল মুমিনিনের একটি দলিল তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে যেখানে লেখা রয়েছে যে, তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করবেন এবং পরাজিত খ্রিস্টানদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান করবেন। সেনাপতি আবু ওবায়দা ঘটনা শুনে যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে পড়লেন। কারণ হজরত ওমর মাত্র দুই বছর আগে অর্থাৎ ৬৩৪ সালের আগস্টে খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো দিন জেরুজালেম আসেননি বা খ্রিস্টানরা মদিনা যাননি। কাজেই খলিফার স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা কীভাবে সম্ভব!

হজরত আবু ওবায়দা (রা.) বিস্তারিত লিখে মদিনায় খলিফার দরবারে পত্র প্রেরণ করলেন। পত্র পাওয়া মাত্র হজরত ওমর (রা.) একজন ভৃত্য ও একটি উট নিয়ে দুর্গম মরুপথে মদিনা থেকে জেরুজালেমের পথে রওনা হয়ে গেলেন। তার সেই ভ্রমণ, জেরুজালেমে উপস্থিতি এবং নগরের কর্তৃক গ্রহণের কথা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু সেই ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী যা হয়তো অনেকেই জানেন না তা আপনাদের বলে পরবর্তী ঘটনায় চলে যাব। আলোচ্য কাহিনীটি শুরু হয়েছিল হজরত ওমরের বালক বেলায় যখন নবুয়ত, ইসলাম, কোরআন কিংবা মুসলমান নামক শব্দগুলো পৃথিবীতে ছিল না। বালক ওমর তার স্বগোত্রীয় বাণিজ্য কাফেলার সঙ্গে সেবার জেরুজালেম গিয়েছিলেন। একদিন তিনি মূল কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কৌতূহলবশত বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ যা তখন খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো তা দেখতে গিয়ে খ্রিস্টান পাদরিদের দ্বারা গ্রেফতার হন। হজরত ওমরের সফরসঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে বায়তুল মুকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হন। তারা খ্রিস্টান পাদরিদের কাছ থেকে বালক ওমর সম্পর্কে যা শুনতে পান তা তাদের কাছে ওই মুহূর্তে পাগলের প্রলাপ বা গাঁজাখোরি কাহিনী বলেই প্রতীয়মাণ হয়। পাদরিরা অভিযোগ করেন যে, তারা বালক ওমরের ললাটে রাজটিকা দেখতে পেয়েছেন যার ভিত্তিতে গ্রহ-নক্ষত্র বিচার করে তারা জেনেছেন যে, এই বালক পরিণত বয়সে মস্তবড় বাদশাহ হবেন এবং তার সৈন্যরা একদিন জেরুজালেম দখল করবেন। এখন এই বালক যদি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি স্বাক্ষর করেন যে, তার সৈন্যরা অনাগত দিনে জেরুজালেম দখল করলে তিনি স্বয়ং উপস্থিত হয়ে নগরের চাবি গ্রহণ করবেন এবং খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দেবেন তাহলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে— অন্যথায় নয়।

হজরত ওমর (রা.)-এর সফরসঙ্গীরা পাদরিদের কথায় রাজি হয়ে যান এবং বালক ওমরকে দিয়ে দলিল স্বাক্ষর করিয়ে নিরাপদে সেই স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ও মরমি প-িত হজরত ইবনে কাসির (রহ.) তার কিংবদন্ত্মির গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’তে এ ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আলোচ্য ঘটনাগুলোর মতো হিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও রাজত্ব লাভ যেমন বহু আগেই তার মামা কংস জেনে গিয়েছিলেন তেমনি দেবতা রামের জন্মের অনেক আগেই তার জীবনীগ্রন্থ রামায়ণ রচিত হয়েছিল। মহামতি আলেকজান্ডারের জন্মের আগে এমনকি তার মায়ের বিয়ের আগে তার মা যেমন জেনে গিয়েছিলেন যে, তিনি একটি বিস্ময়কর সন্তানের মা হবেন; তেমনি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা শাসক এবং পৃথিবীর প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপনকারী সম্রাট মহামতি সাইরাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কাহিনীর সঙ্গে হিন্দুদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ঘটনার হুবহু মিল রয়েছে।

আজকের নিবন্ধের সর্বশেষ কাহিনীটি আমি নিয়েছি ইবনে বতুতার ভ্রমণকাহিনী থেকে। একই ঘটনা প্রায় হুবহুভাবে বর্ণিত হয়েছে খুশবন্ত সিংয়ের ‘দিলিস্ন’ উপন্যাসে। ঘটনার নায়কের আদি নাম বাহাউদ্দিন। পারস্যের বিখ্যাত ইলখানি বংশে তার জন্ম হলেও তার পরিবার মধ্য এশিয়ার তুর্ক যা কিনা বর্তমান জমানার উজবেকিসত্মান, কাজাখসত্মান ও কিরগিজসত্মানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত রাজ্য ছিল। পারস্যের ইলখানিরা মূলত মোঙ্গল নেতা হালাকু খানের বংশধর যারা ইসলাম গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক, আমির-ওমরাহ অথবা অভিজাত সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছিলেন। আমাদের নায়ক বাহাউদ্দিন ও তাদের রাজ্যের অভিজাত সমপ্রদায়ের বালক হিসেবে বেশ ভালো সময়ই পার করছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে মোঙ্গল লুটেরারা আক্রমণ চালিয়ে আরও অনেক লোকজনের সঙ্গে বালক বাহাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে আসে এবং পরে দাস ব্যবসায়ীদের কাছে অতি অল্প দামে বিক্রি করে দেয়। কারণ বালক বাহাউদ্দিন দেখতে যেমন কদাকার ছিলেন তেমনি গায়গতরেও ছিলেন শীর্ণ প্রকৃতির।

নিয়তির জালে আটকা পড়ে আমিরের ছেলে ফকিরের বেশে মধ্য এশিয়ার পরিচিত দাসদাসী বেচাকেনার হাটে পণ্য হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরক্তির উপাদানে পরিণত হন। তার চেহারা-সুরত দেখে কেউ তাকে কিনতে রাজি হচ্ছিল না। এভাবে বহুদিন চলার পর গজনির নামকরা সুফি সাধক খাজা জামাল উদ্দিন বসরি নামমাত্র মূল্যে বাহাউদ্দিনকে কিনে নেন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর তিনি তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন যে কিনা মধ্য এশিয়া থেকে দাসদাসী সংগ্রহ করে ভারতবর্ষে নিয়ে যেত বিক্রির জন্য। বাহাউদ্দিন তার মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন কী অপরাধে তিনি তাকে দাস ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। হজরত খাজা জামাল উদ্দিন বসরি মৃদু হেসে বললেন— বৎস! আমি তোমাকে ভারতবর্ষের রাজত্ব দিলাম। রাজ্য শাসনের জন্যই তুমি সেখানে যাচ্ছো। দাস ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিনসহ আরও ৪০ জন দাস নিয়ে ভারতবর্ষে এলেন এবং তাদের একসঙ্গে বিক্রির জন্য দিলিস্নর সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের দরবারে পেশ করলেন।

সুলতান ইলতুতমিশ ৩৯ জন দাসকে কিনে নিলেন। কিন্তু কুিসত চেহারার কারণে বাহাউদ্দিনকে কিনতে রাজি হলেন না। এ অবস্থায় বাহাউদ্দিন সাহস করে সুলতানকে জিজ্ঞাসা করলেন, জাহাপনা! এই ৩৯ জনকে কার মর্জিতে এবং কার জন্য কিনলেন। সুলতান বললেন, আমার মর্জিতে এবং আমার জন্য কিনেছি। তখন বাহাউদ্দিন বললেন, আপনার জন্য ৩৯ জনকে কিনলেন। এখন আল্লাহর ওয়াসেত্ম এবং আল্লাহর জন্য কি আর একটি দাস কেনা যায় না। সুলতান ইলতুতমিশ সঙ্গে সঙ্গে বাহাউদ্দিনকে কেনার জন্য রাজি হয়ে গেলেন। পৃথিবীর ইতিহাস খুব ভালো করেই জানে যে, বাহাউদ্দিন সুলতান ইলতুতমিশের কত বড় বিশ্বাসভাজন আমির ও কত বড় সুদক্ষ সেনাপতি এবং শাসক হয়েছিলেন।

ইলতুতমিশের মৃত্যুর পর যখন তার পুত্র নাসির উদ্দিন দিলিস্নর সিংহাসনে বসেন তখন বাহাউদ্দিন তার উজিরে আজম হিসেবে ২০ বছর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সুলতান তাকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তার কন্যাকে সম্রাজ্ঞীরূপে বিয়ে করেন এবং তাকে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন। সুলতান নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর পর বাহাউদ্দিন গিয়াসউদ্দিন বলবন নাম ধারণ করে দিলিস্নর সিংহাসনে বসে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তা কমবেশি সবাই জানেন।

পাদটীকা : রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বাড়াবাড়ি করেন। অনেকে নানারকম নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মানুষ করে না এহেন কুকর্ম নেই। এত কিছুর পরও রাজনীতিতে বেশির ভাগ সময়ই হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে অনেক কিছু ঘটে যায় যাকে আমরা নিয়তি বলি। রাজনীতিসংশিস্নষ্টরা যদি নিয়তিকে অনিবার্য ভেবে সতর্কভাবে কাজকর্ম করেন তবে তাদের কর্মে বরকত নেমে আসে, জমিনে হানাহানি হ্রাস পায় এবং জনগণ শান্ত্মিতে থাকতে পারে। রাজনীতির মাঠের ঐতিহাসিক চিরসত্য হলো, এখানে কেউ মন্দ কাজ করে দুনিয়া থেকে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও শাসিত্ম না পেয়ে মরতে পারে না। অন্যদিকে, রাজনীতির মহান পুরুষরা যেভাবেই মরুন না কেন তাদের শুভকর্মগুলো কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়ারূপে জমিনে বহাল থাকে এবং তাদের মানুষের মন-মসিত্মষ্ক ও প্রার্থনায় জীবন্ত করে রাখে।

 লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
স্ট্রোকের চিকিৎসা
স্ট্রোকের চিকিৎসা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
ইসলামের মহান খলিফা হজরত আবু বকর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত আবু বকর (রা.)
টেলিভিশনের প্রথম সুপারস্টার ফজলে লোহানী
টেলিভিশনের প্রথম সুপারস্টার ফজলে লোহানী
জাগো বাহে, কোনঠে সবায়
জাগো বাহে, কোনঠে সবায়
নাশকতা-অরাজকতা
নাশকতা-অরাজকতা
খাদ্য নিরাপত্তা
খাদ্য নিরাপত্তা
কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে
কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে
সন্তানের প্রতিও অবিচার করা যাবে না
সন্তানের প্রতিও অবিচার করা যাবে না
জামায়াতের সামনে সুযোগ ও সংকট
জামায়াতের সামনে সুযোগ ও সংকট
ছফা-শামীম সিকদার সম্পর্কের মিথ
ছফা-শামীম সিকদার সম্পর্কের মিথ
সালাম প্রদানের ফজিলত
সালাম প্রদানের ফজিলত
সর্বশেষ খবর
আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?
আজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

আজ ৩৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ৩৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক শুরু
দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক শুরু

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাময়িক বন্ধের পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল চলাচল
সাময়িক বন্ধের পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল চলাচল

২০ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেন রিজার্ভে হাজার-হাজার টন স্বর্ণ রাখে?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেন রিজার্ভে হাজার-হাজার টন স্বর্ণ রাখে?

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি?
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি?

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

আমাদের সময় নিয়ে খেলার অভ্যাস গড়তে হবে : লিটন
আমাদের সময় নিয়ে খেলার অভ্যাস গড়তে হবে : লিটন

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ
বাংলাদেশের রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া?
আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া?

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের নিরপেক্ষতা ভীষণভাবে নষ্ট হয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দীর্ঘ ৯ মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলছে সেন্ট মার্টিন
দীর্ঘ ৯ মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলছে সেন্ট মার্টিন

১ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের হামলার প্রতিবাদে পিসিসিপির বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের হামলার প্রতিবাদে পিসিসিপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাজিলে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, নিহত ১৩২
ব্রাজিলে মাদকচক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, নিহত ১৩২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনির্দিষ্টকালের জন্য মাঠের বাইরে পেদ্রি
অনির্দিষ্টকালের জন্য মাঠের বাইরে পেদ্রি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ ম্যাচে অপরিবর্তিত দল বাংলাদেশের
শেষ ম্যাচে অপরিবর্তিত দল বাংলাদেশের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘এই দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই’
‘এই দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী
এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লীকবির জমি দখলের অভিযোগ এ কে আজাদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে
পল্লীকবির জমি দখলের অভিযোগ এ কে আজাদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব সম্পর্ক ও স্বার্থের ঊর্ধ্বে আল্লাহর ভালোবাসা
সব সম্পর্ক ও স্বার্থের ঊর্ধ্বে আল্লাহর ভালোবাসা

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাতারে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে পালিত, এসএসসি-এইচএসসি উত্তীর্ণদের সম্মাননা
কাতারে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে পালিত, এসএসসি-এইচএসসি উত্তীর্ণদের সম্মাননা

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

উত্তরায় নারী উত্ত্যক্তের ঘটনার ৬ দিন পর মামলা নিল পুলিশ
উত্তরায় নারী উত্ত্যক্তের ঘটনার ৬ দিন পর মামলা নিল পুলিশ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল: নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল: নবীউল্লাহ নবী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রতারণা করেছে ঐক্য কমিশন
প্রতারণা করেছে ঐক্য কমিশন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্জ্য থেকে গ্রিন ডিজেল ও এভিয়েশন ফুয়েল উৎপাদন করবে চসিক
বর্জ্য থেকে গ্রিন ডিজেল ও এভিয়েশন ফুয়েল উৎপাদন করবে চসিক

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন
হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুদানে আরএসএফ’র বর্বরতার নিন্দা জানালো ইইউ
সুদানে আরএসএফ’র বর্বরতার নিন্দা জানালো ইইউ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমবে
দেশজুড়ে পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমবে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার কবর দিলেন সাকিব আল হাসান
যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার কবর দিলেন সাকিব আল হাসান

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৃহস্পতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
বৃহস্পতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মথ ডালকে মুগ হিসেবে বিক্রি, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
মথ ডালকে মুগ হিসেবে বিক্রি, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচন নাও হতে পারে, সবার আগে জুলাই সনদ হতে হবে: তাহের
জাতীয় নির্বাচন নাও হতে পারে, সবার আগে জুলাই সনদ হতে হবে: তাহের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছরের চেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তির কার্গো বিমান তৈরি করল ইরান
১৫ বছরের চেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তির কার্গো বিমান তৈরি করল ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরিপত্র জারি
অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরিপত্র জারি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!
১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সম্পত্তি ফেরত পেতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা এস আলমের
সম্পত্তি ফেরত পেতে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা এস আলমের

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও
স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যত্যয় হলে দায় এই সরকারের : মির্জা ফখরুল
সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যত্যয় হলে দায় এই সরকারের : মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কি আছে ইরানের সিমোর্গে, কেন এই নামকরণ?
কি আছে ইরানের সিমোর্গে, কেন এই নামকরণ?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, আবারও মোদির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন কটাক্ষ
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ, আবারও মোদির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নতুন কটাক্ষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইতালিতে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ইতালিতে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন সুযোগ
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন সুযোগ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেতন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাক্ষাৎ
বেতন কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাক্ষাৎ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: মাসুদ সাঈদী
গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: মাসুদ সাঈদী

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজে ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয়
মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজে ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয়

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী
এ কে আজাদরা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার সামিরার মা লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এবার সামিরার মা লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িতরা বিএনপি সদস্য হতে পারবে না : রিজভী
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িতরা বিএনপি সদস্য হতে পারবে না : রিজভী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীর বাস সেবার মানোন্নয়নে টিএফএল মডেল প্রস্তাব ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের
রাজধানীর বাস সেবার মানোন্নয়নে টিএফএল মডেল প্রস্তাব ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া
এবার পারমাণবিক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালালো রাশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন আহমদ
অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন আহমদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন নিয়ে সংকট
নির্বাচন নিয়ে সংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল অ্যাপে ঋণের নামে প্রতারণা
মোবাইল অ্যাপে ঋণের নামে প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

রেলের টিকিট নিয়ে নয়ছয়
রেলের টিকিট নিয়ে নয়ছয়

পেছনের পৃষ্ঠা

৩৭২ টন কোরবানির পশুর গোশত অনুদান দিল সৌদি আরব
৩৭২ টন কোরবানির পশুর গোশত অনুদান দিল সৌদি আরব

নগর জীবন

জাগো বাহে, কোনঠে সবায়
জাগো বাহে, কোনঠে সবায়

সম্পাদকীয়

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শুরু আজ
ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শুরু আজ

দেশগ্রাম

বিশেষ চরিত্রে বড় শিল্পীরা
বিশেষ চরিত্রে বড় শিল্পীরা

শোবিজ

ছয় আসন চেয়ে বিএনপির কাছে চিঠি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির
ছয় আসন চেয়ে বিএনপির কাছে চিঠি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির

নগর জীবন

এভাবে আর কত দিন শুয়ে থাকব, মা!
এভাবে আর কত দিন শুয়ে থাকব, মা!

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ কি নির্বাচন বানচালে সুশীলদের অস্ত্র?
জুলাই সনদ কি নির্বাচন বানচালে সুশীলদের অস্ত্র?

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ডেকে আনছে বিপদ
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ডেকে আনছে বিপদ

নগর জীবন

খুলনায় অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি
খুলনায় অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি

নগর জীবন

উদ্ধার গুলির পেছনে ইংরেজিতে লেখা ৭.৬২
উদ্ধার গুলির পেছনে ইংরেজিতে লেখা ৭.৬২

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে আবুল খায়ের স্টিলের রিবার রোলিং মিল উদ্বোধন
চট্টগ্রামে আবুল খায়ের স্টিলের রিবার রোলিং মিল উদ্বোধন

নগর জীবন

রাশমিকার গোপন বাগদান
রাশমিকার গোপন বাগদান

শোবিজ

মাঠ চষছেন বিএনপির সম্ভাব্য পাঁচ প্রার্থী, অন্যরা এককভাবে
মাঠ চষছেন বিএনপির সম্ভাব্য পাঁচ প্রার্থী, অন্যরা এককভাবে

নগর জীবন

ওটিটিতে পপি-রাজু
ওটিটিতে পপি-রাজু

শোবিজ

প্রেক্ষাপট উপস্থাপনায় জাকিয়া বারী মম
প্রেক্ষাপট উপস্থাপনায় জাকিয়া বারী মম

শোবিজ

ডেসকো পরিচালনা সভা
ডেসকো পরিচালনা সভা

নগর জীবন

গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়
গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়

নগর জীবন

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে সম্মাননা প্রদান
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে সম্মাননা প্রদান

নগর জীবন

জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত ঐকমত্য কমিশন : আমজনতার দল
জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত ঐকমত্য কমিশন : আমজনতার দল

নগর জীবন

নাতজামাইয়ের ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
নাতজামাইয়ের ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন

দেশগ্রাম

সড়কে শিক্ষিকাসহ চারজনের মৃত্যু
সড়কে শিক্ষিকাসহ চারজনের মৃত্যু

দেশগ্রাম

দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়াতে বিএমইউতে অনলাইন সেবা চালু
দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়াতে বিএমইউতে অনলাইন সেবা চালু

নগর জীবন

তিস্তা, হাহাকার লাখো মানুষের
তিস্তা, হাহাকার লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

বেতন বন্ধ ১১ মাস মানবেতর জীবনযাপন
বেতন বন্ধ ১১ মাস মানবেতর জীবনযাপন

দেশগ্রাম

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দখলদাররা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না
চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দখলদাররা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না

নগর জীবন