শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

বিশ্ব অর্থনীতি কোন পথে?

জাকারিয়া চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্ব অর্থনীতি কোন পথে?

আধুনিক যুগের জীবনধারা অর্থনীতিনির্ভর। আধুনিক অর্থনীতি যে জীবন-দর্শনের ওপর ভিত্তি করে তা টেকসই এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় - নয় সহায়ক জাগতিক ও মানবিক শান্তি প্রতিষ্ঠায়। Capitalism বা পুঁজিবাদ ব্যক্তিস্বার্থকে সমাজের সঠিক চালিকাশক্তি হিসেবে ধরে নেয়। মানুষ যত বেশি আত্মস্বার্থের তাড়নায় প্রতিযোগী হবে, যত বেশি উৎপাদন বাড়াবে, পণ্য বাড়াবে, প্রবৃদ্ধি বাড়াবে ততই বেশি মানুষের জীবনমান উন্নত হবে, সমাজের সম্পদ বাড়বে, মানুষ সুখে এবং শান্তিতে থাকবে। এককথায়, মানুষকে স্বার্থপর হতে হবে। Self interest is the best interest. স্বার্থই পরম সত্য। আসলে কি তাই? মানব জাতি কি সুখে ও শান্তিতে আছে? অনেকটা বন জঙ্গলের নিয়ম ‘survival of the fittest’ কে সামাজিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করে নেওয়া। আজকের মানব সমাজ এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই চলছে। অর্থনীতি মানবমুখী না হয়ে হয়েছে বাজারমুখী। রাজনীতিও সেই ধারায় বহমান।

 

Darwin-এর মতামত হলো ‘in the state of Nature’ অর্থাৎ প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রাণী জগতের ক্রমবিকাশ হয়েছে বিবর্তনের প্রক্রিয়া ‘Natural selection’-এর মাধ্যমে। Nature favours the strongest মানুষও কি পশুপাখির স্তরে নেমে গিয়ে, যে শক্তিশালী শুধু সেই প্রজাতিই টিকে থাকার নীতিতে সমাজ পরিচালনা করবে? যুগে যুগে মানব সভ্যতার উত্থান ও পতন হয়েছে। যখনই মানুষ নৈতিকতা হারিয়ে শুধু আত্মতুষ্টির প্রতিযোগিতায় ধাবিত হয়েছে তখনই সেই সভ্যতার পতন হয়েছে। শুধু শক্তির জোরে গ্রিক, রোমান, মিসরীয়, চীন, ভারত, ইনকা, মায়া কোনো সভ্যতাই টিকে থাকতে পারেনি। পশু শক্তির জোরে চূড়ান্ত মানবিক বিকাশ সম্ভব নয়। অতীতে মানব সভ্যতার বিকাশ হয়েছে আঞ্চলিক ভিত্তিতে। এখন একই সভ্যতার ছত্রছায়ায় সম্পূর্ণ পৃথিবী। অতীতে সভ্যতার পতন হয়েছে একটা অঞ্চলজুড়ে, এখন পতন এলে তা হবে সম্পূর্ণ পৃথিবীজুড়ে।

 

আধুনিক প্রযুক্তি ও অর্থনীতি পণ্যের বাজার বিস্তারে ব্যস্ত। প্রচার মাধ্যমে মানুষকে অবিরাম প্ররোচিত করা হচ্ছে নিত্যনতুন পণ্যসামগ্রী কেনার তাগিদ দিয়ে। চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সেই অনুযায়ী ক্রয় ক্ষমতা সবার বাড়ছে না তাতে সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও টেনশন। পৃথিবীর অর্ধেক লোক বঞ্চনা-গঞ্জনার মধ্যে জীবন কাটায়। বাকি অর্ধেকের একটি ক্ষুদ্র অংশ প্রাচুর্য ও বিলাসিতার মধ্যে বাস করে, বাদবাকি মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করে। সম্পদের অনৈতিক ও অসম বণ্টন ব্যবস্থার কারণে সামাজিক বৈষম্য দিনে দিনে বাড়ছে, সুস্থ জীবনধারণের জন্য মৌলিক প্রাকৃতিক উপাদান যেমন জলবায়ু দূষিত ও দুষ্প্রাপ্য হচ্ছে মানুষের কর্মক্রিয়ার কারণে। লাগামহীন ভোগবাদী পুঁজিবাদ যার নবযাত্রা শুরু হয় Regan Thatcher যুগের Reganomics দিয়ে তা এখনো চলমান। তবে ২০০৮-৯ সালে শুরু হওয়া বিশ্ব মন্দার ধাক্কায় কিছুটা হলেও হুঁশ হয়েছে যে free market বা মুক্তবাজারের নামে অর্থনীতিতে স্বেচ্ছাচারিতা চলতে দেওয়া যায় না।

১৯২৯ সালের Great Depression বা বিশ্ব মন্দায় Adam Smith চিন্তাধারার Capitalism বা পুঁজিবাদ ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এলো ভিন্ন চিন্তাধারার পুঁজিবাদ। তার প্রবর্তক হলেন Lord Keynes| শুরু হলো যাত্রা Keyesian economics-এর। পুঁজিবাদকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবস্থা বিশেষে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সরকার বাজারের নিয়ন্ত্রক না হলেও বাজারের প্রহরী। এই চিন্তাধারার রেশ ধরে উদয় হয় Welfare Economics-এর, জম্ম হয় social democrac-র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েক দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় Welfare State। আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে রোনাল্ড রিগান ও যুক্তরাজ্যে মার্গারেট থ্যাচার ক্ষমতায় আসীন হয়ে Welfare State বা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের নীতি থেকে সরে গিয়ে প্রবর্তন করলেন free market   নীতি বিশ্বব্যাপী। ২০০৯-এর বিশ্ব মন্দা আবারও প্রমাণ করল মার্কেট তার নিজের গতিতে সুস্থ ও সচল থাকে না সব সময়।

পুঁজিবাদ মানুষকে স্বার্থপর ও প্রতিযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করে। যারা স্বার্থপর হবে না তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। যে যত বেশি আত্মকেন্দ্রিক ও উচ্চাভিলাষী হবে সে তত বেশি সফলকাম হবে। আমরা আমাদের জৈবিক বাসনা পরিতৃপ্ত করার প্রয়াসে সব নৈতিকতা ও মানবতা বর্জন করছি। আমরা নিজেরাই বাজারের পণ্য হয়ে গেছি।

কিন্তু আমরা আসলে জাবর-কাটা জীব নই। আমরা একমাত্র conscious বা সচেতন জীব এই গ্রহে’ ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। আমাদের সমাজ জীবন ‘survival of the fittest’-এর নীতিতে চললে পশু জীবনের সঙ্গে মানবজীবনের পার্থক্যটা থাকল কোথায়? আমাদের অর্থনীতি হওয়া উচিত Real income -এর মাপকাঠিতে, Money income -এর মাপকাঠিতে নয়। গ্রামের কোনো এক লোক গরিব হলেও সে বিশুদ্ধ বাতাস সেবন করছে। আর আরেকজন সচ্ছল হলেও Mega ciMega cit বা মহানগরীতে বাস করে দূষিত বাতাস সেবন করতে বাধ্য হচ্ছে। বাতাসের যদি Money value ধরা হয় তা হলে গ্রামের লোকটির income এই ক্ষেত্রে শহরের লোকটির চেয়ে অনেক বেশি। যে সব জায়গায় মুক্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস ও প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পর্যটকরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে বেড়াতে যায় সেই সব স্থানের বসবাসকারীরা বিনামূল্যে প্রত্যহ তা উপভোগ করে। এই সুযোগের আর্থিক মূল্যায়ন কী হবে? আর্থিক মূল্যায়ন যাই হোক না হোক তার যে একটা প্রকৃত মূল্যায়ন আছে তা কি অস্বীকার করা যাবে? শুধু টাকার মাপে সব কিছুর মূল্যায়ন করার প্রবৃত্তি আমাদের পেয়ে বসেছে। আমাদের এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ভুটান এমন একটি দেশ যেখানে money income- এর চেয়ে real income-কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। G.D.P.’র (Gross Domestic Product) প্রবৃদ্ধি দিয়ে নয় .D.H. (Gross Domestic Happiness)-এর মাপদন্ড জীবনের মান নির্ণয় করা হয়। Per Capita income-এর চেয়ে Per Capita happiness বেশি কাম্য। যদি অবাধ Tourism-এর সুযোগ দেওয়া হতো তাহলে দেশটি আর্থিক মানদন্ডে অনেক বেশি বিত্তশালী হতে পারত। অতি মাত্রায় পর্যটক ভিড় জমালে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুটান সরকার প্রতি বছর সীমিত সংখ্যক লোককে পর্যটনের ভিসা দেয়। টাকার গরিমার চেয়ে সুখ ও শান্তির পরিবেশ তাদের কাছে বেশি কাম্য। আজকের দূষিত জলবায়ু ও দুর্নীতিপ্রবণ মানুষের পৃথিবীতে ভুটান একটি ব্যতিক্রমধর্মী শান্তি, সুখ ও সুশাসনের আদর্শিক দেশ।

আমরা Money income-এ বেশি আগ্রহী Real income-এর চেয়ে। Money market এখন নিয়ন্ত্রণ করে productive marke-কে। তাই সব কিছু হয়ে পড়েছে সড়হবু নির্ভর। যাদের হাতে যত টাকা তাদের তত প্রতাপ। Money medium of exchange অর্থাৎ ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যম না হয়ে যাতে monster-এ পরিণত না হয় অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক না হয়ে না দাঁড়ায় সে জন্যই বোধহয় ইসলামে সুদ বারণ করা হয়েছে। ওই ব্যবস্থায় medium of exchange স্থিতিশীলতা হারিয়ে অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করে। রাজনীতিও টাকানির্ভর। কোটি কোটি টাকা খরচ না করলে সংসদ সদস্য হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামা কঠিন। আমেরিকায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার না হলে সিনেটর হওয়ার প্রতিযোগিতায় যাওয়া যায় না।Money talks, money wins.

উন্নয়নের অভিযাত্রায় আমরা দ্রুত প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ করে ফেলছি, পরিবেশ বিষাক্ত করছি, বপড়ষড়মরপধষ ভারসাম্য নষ্ট করছি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনছি। বর্তমানের সুখ ও প্রাচুর্যের জন্য ভবিষ্যতের সুখ ও শান্তি জলাঞ্জলি দিচ্ছি, বিপন্ন করে তুলছি ভবিষ্যৎ জীবন।

বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা করতে হলে চাহিদার হার অর্থাৎ rate and range of consumption কমাতে হবে এবং জীবনধারা অর্থাৎ life style বদলাতে হবে যা প্রচলিত রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মেনে নেওয়া কঠিন। রাজনীতিবিদরা ২০ বছর পরে কী হবে সেই চিন্তা করে রাজনীতি করেন না সুদূর ভবিষ্যতের কথা না হয় বাদ দিলাম। তারা কোন সুযোগে ক্ষমতায় যাবেন এবং কি করে ক্ষমতায় বহাল থাকবেন সেই চিন্তা ও কৌশল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। চাহিদার আগুন প্রশমিত করে মানুষের মৌলিক প্রয়োজন যেমন খাদ্য, বাসস্থান, সুশিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য পূরণের অর্থনীতি ও রাজনীতি প্রবর্তন করা প্রয়োজন। গতানুগতিক রাজনীতি ও অর্থনীতি দিয়ে সে আশা পূরণ সম্ভব নয়। সেই জন্য প্রয়োজন হবে চিন্তাধারায় আমূল পরিবর্তন। প্রয়োজন হবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের। সত্যিকারের নেতা সেই যে মানুষকে পরিচালনা করে, মানুষ কর্তৃক পরিচালিত হয় না। Leader Ges politician-দের মধ্যে পার্থক্য এখানেই। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, মহাত্মা গান্ধী হলেন leader আর মিসেস ইন্দিরা গান্ধী হলেন politician। আমেরিকায় যেমন আবরাহাম লিঙ্কন হলেন politician আর রিচার্ড নিক্সন হলেন ঢ়ড়ষরঃরপরধহ। রাজনীতি এক আকর্ষণীয় পেশা- মানব সেবায় নিবেদিত কোনো সাধনা নয়।

নৈতিকতা ও মানবিকতা বিবর্জিত জ্ঞান-বিজ্ঞান ও রাজনীতি কখনো মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত করতে পারে না- মানব ইতিহাসই তার সাক্ষ্য।

সবার জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণের পরিপন্থী আধুনিক জীবনের ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তাচেতনা, ধ্যান-ধারণা ও জীবনধারার কারণে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সূচনা হয়েছে আগামীতে তার ভয়াবহতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন তা নিয়ে কোনো কথাবার্তা হতে দেখি না। শুধু কার্বন নির্গমন রোধ করার আলোচনা নিয়ে দরকষাকষি ও শেষ পর্যায়ে প্রায় ভেস্তে যাওয়া কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত মহাসমাবেশ একটা জোড়াতালির অঙ্গীকারে পর্যবসিত হয়েছে। পরিবেশ সংক্রান্ত ইদানীং সমাপ্ত প্যারিস শীর্ষ সম্মেলনেও কথাবার্তা ও হাঁক-ডাক অনেক হয়েছে কিন্তু কার্যত বিশেষ কিছু হয়নি এখনো। বিশ্বখ্যাত পরিবেশ বিজ্ঞানী জেইমস হেনসেন এ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ‘একগাদা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ বলে। যাকে বলা যায় face saving সমাধান। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে নব্য নির্বাচিত কাজ্ঞানহীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিবেচক ঘোষণা যে তিনি প্যারিস সম্মেলনের সমঝোতা চুক্তি মানবেন না। কেননা তিনি মনে করেন অতিমাত্রায় কার্বন নির্গমনের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা যে সব কথাবার্তা বলছেন ও সতর্ক করছেন তা সবই ভুয়া। যে ব্যক্তি জেগে ঘুমায় তাকে জাগানো যায় না। এই যখন বিশ্ব পরিস্থিতি তখন মানব সৃষ্ট প্রলয় থেকে বাঁচার উপায় কী ভেবে পাই না। মানবিক অধিকার বা human rights বলতে কে কী বুঝে জানি না। আমার বুঝ অনুযায়ী সবার জন্য বেঁচে থাকার মৌলিক উপাদান  অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা মানবিক অধিকার পূরণের পূর্বশর্ত। এখন সেই লিস্টে যোগ দেওয়া জরুরি বিশুদ্ধ জলবায়ুর নিশ্চয়তা। প্রকৃতির wake up call অগ্রাহ্য করে চিরাচরিত জীবনধারায় গা ভাসিয়ে দিলে যখন ফরংঃৎবংং পধষষ আসবে তখন আর সময় থাকবে না রক্ষা পাওয়ার। কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে বিক্ষোভকারী মিছিলের প্রধান দাবি ছিল System change। System change না হলে climate change রোধ করা যাবে না। কবে আসবে সেই কাক্সিক্ষত পরিবর্তন, না আসবেই না, কে জানে।

আমার দীর্ঘজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি এখন এই উপলব্ধিতে এসেছি যে ,system বদলালেই যে সমস্যার সমাধান হবে তাও ঠিক নয়। আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা যাই হোক, যে সমাজে নৈতিকতা ও মানবিকতার কোনো দাম নেই, দাম আছে শুধু প্রযুক্তি ও পণ্যের, ক্ষমতা ও সম্পদের সেই সমাজ বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাস তাই বলে। সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙনের মূলে কমিউনিস্ট পার্টিতে দুর্নীতির বিস্তার, সমাজতন্ত্রের দুর্বলতার কারণে নয়। কোরআনে আল্ল­াহ বলেছেন যে, আমরা মাটি খুঁড়লেই দেখতে পাব কত শত জনপদ ও সভ্যতা নৈতিকতা ও মানবিকতার স্খলনে ধ্বংস হয়ে মাটিচাপা পড়ে আছে। নৈতিকতা ও মানবতা বোধের চরম অবনতি যখন ঘটে স্রষ্টা তখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে সেই সমাজকে ধ্বংস করে দেন।

আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ আর অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতাÑ এ দুয়ের প্রভাবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ধসে পড়বে আধুনিক সভ্যতা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণা শেষে এমন ভবিষ্যদ্বাণীই করেছেন বিজ্ঞানীরা। একটি তাত্ত্বিক কাঠামোর ভিত্তিতে গবেষণাটি করেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমান সভ্যতার পতন হওয়ার আগেই সমাজের অভিজাতদের ‘যেমন চলছে চলুক’ নীতির ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অভিজাতরা যদি এখনই অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, তাহলে সভ্যতার এই সম্ভাব্য ধ্বংস এড়ানো যেতে পারে।

জার্মান দার্শনিক Fridrich Hegel ও আরব দার্শনিক ইবনে খালেদুনের চিন্তাধারা অনুযায়ী ইতিহাসের গতিধারা পরিচালিত হয় আদর্শিক দ্বন্দ্বের প্রক্রিয়ায়। আর জার্মান দার্শনিক Carl Marx-এর তথ্য অনুযায়ী ইতিহাস রচিত হয় সমাজে শ্রেণি দ্বন্দ্বের প্রক্রিয়ায়। Hegel ও খালেদুনের দৃষ্টিভঙ্গি হলো idealistic আর Marx-এর দৃষ্টিভঙ্গি হলো materialistic.

যে দৃষ্টিতেই আমরা ইতিহাসকে দেখি না কেন, এটা ধ্রুব সত্য যে নৈতিকতা ও মানবিকতা মানব সমাজের এই দুই স্তম্ভ ব্যতিরেকে মানব সভ্যতা বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না।

আধুনিক মানুষ মনে করে আমাদের সেবায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যতদিন আছে এবং আইনের শাসন আছে ততদিন আমাদের এই কালের অগ্রযাত্রা কোনো কিছুই রোধ করতে পারবে না। শুধু প্রযুক্তিপ্রাপ্ত নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও উপকরণ এবং মানব তৈরি আইনের শাসন দিয়ে মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখা যাবে না যদি বিবেকের অনুশাসন ও মানবিকতার স্নিগ্ধ ধারা সেখানে না থাকে। বিবেকহীন জীবন লাগামহীন জীবন। মানবিকতাশূন্য জীবন অন্তঃসারশূন্য জীবন। না স্রষ্টা না বিবেক আমরা যদি কোনোটাই না মানি, আমরা যদি শুধু বুদ্ধিচালিত ও রিপু তাড়িত Hedonistic জীবনধারায় গা ভাসিয়ে দিই তাহলে আজকের সভ্যতা ভেঙে পড়তে বেশি সময় লাগবে না।

লেখক : সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা