শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৯ আপডেট:

পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে মুন্সী মরলে জ্বলে না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে মুন্সী মরলে জ্বলে না

কবে যেন বাংলাদেশ প্রতিদিনে সম্পাদক নঈম নিজামের ‘মধুচন্দ্রিমা শেষ মন্ত্রী-এমপিদের, এবার ঘোর কাটান’ এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাংবাদিক সুলেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা হুমকির মুখে’ দুই অসাধারণ লেখা পড়লাম। নঈম নিজাম আমার খুবই প্রিয়। মাস কয়েক আগে নাঙ্গলকোট গিয়েছিলাম। দুই যুগ আগে এক জনসভা করে গভীর রাতে নঈমের সঙ্গে নাঙ্গলকোট থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। লেখাটা ছিল ফরেন সার্ভিসের ব্যর্থতা এবং বিদেশে নাগরিককে কোনো মূল্যায়ন না করা নিয়ে। আমরা যদি আমাদের অ্যাম্বাসিগুলোকে দেশের মানুষকে সেবা করার দিকে পরিচালিত করতে পারি, মানুষের প্রতি সম্মান দেখানোর ইচ্ছা জাগাতে পারি, ফরেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মালিক নন, মালিক দেশের জনগণ এটা যদি বোঝাতে পারি অনেক ভালো হতো। প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সম্পর্কে বলতে গিয়ে নঈম নিজাম বড় কড়কড়ে সত্য উচ্চারণ করেছেন। এখন আর অতীতকে ভালো বলতে, অন্যের প্রশংসা করতে কেউ চায় না। সবাই নিজের প্রশংসায় ব্যস্ত। আগেও ছিল। তবে এতটা না। তখন মেয়ের প্রশংসা মায় করত, ছেলের প্রশংসা বাপে। কিন্তু এখন নিজের প্রশংসা নিজেই করে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আনন্দবাজার গ্রুপের যেন চোখ ছিলেন তিনি। মালদার মুকুটহীন সম্রাট এ বি এ গণি খান চৌধুরীর খুবই ভক্ত-অনুরক্ত। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত সাংবাদিক। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার ওপর লিখেছিলেন, ‘মিডনাইট ম্যাসাকার ইন ঢাকা’। সেখানে অনেকটা জায়গাজুড়ে আমি ছিলাম। তখন কাদের সিদ্দিকীর কথাই ছিল আলোচনার বিষয়। সেই সুখরঞ্জন দাশগুপ্তের ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ভাই দামোদরদাস মোদিকে নিয়ে মারাত্মক এক সাহসী লেখা হাতে নিলেই পড়তে ইচ্ছা করে। আবার এই সময় মমতা ব্যানার্জি ব্রিগেড গ্রাউন্ডে প্রায় সব ভারতীয় নেতাকে নিয়ে মোদি হটাও আওয়াজ তুলেছেন। কী হয় ভবিতব্যই জানে। সময় বেশি নেই, বড়জোর আর মাত্র তিন মাস।

এদিকে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুরে এক মহান আধ্যাত্মিক সাধক ফালু চাঁদের মেলা। মেলা শুরু হয়েছে মাঘী পূর্ণিমার পবিত্র তিথিতে। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে রশীদ বয়াতি বাসাইলের সুন্নাতে গান গাইতে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পরপরই রশীদ বয়াতি আমার ভাবশিষ্যে পরিণত হয়েছিল। বাউলরা সাধারণত খুবই আবেগপ্রবণ, প্রাণবন্ত হয়। ভালোবাসাই বাউলের সম্পদ। ’৭২ থেকে ’৭৫ কতবার যে এসেছে তার কোনো হিসাব নেই। ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হলে তার প্রতিবাদে দীর্ঘ সময় নির্বাসনে কাটিয়ে দেশে ফিরে আবার রশীদ বয়াতিকে পাই। রশীদ গাইত সাধনার জন্য। তত দিনে রশীদের সঙ্গে মমতাজের বিয়ে হয়েছে। দুজনই গান গায়। ঠিক তারিখটা মনে নেই। সুন্নার এক আসরে মমতাজকে নিয়ে রশীদ গিয়েছিল। তখনো মমতাজের তেমন নাম হয়নি। কেবল গাইতে শুরু করেছে। অনেক জোরাজুরি করে মমতাজকে দুই হাজার, রশীদকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। রশীদ গুরু মানত তাই টাকা নিতে চাইত না, তার পরও দিতাম। এরপর ধীরে ধীরে মমতাজের পরিচিতি বাড়ে। সখীপুরের দাড়িয়াপুর, সিলিমপুরে মমতাজকে নিয়ে আসর বসে। বেশ ভালো গান গায়। সত্যিই আল্লাহ মমতাজকে অভাবনীয় গলা দিয়েছেন। এমন সুরেলা গলা খুব বেশি মানুষ পায় না। রশীদ বয়াতির সঙ্গে মমতাজের ছাড়াছাড়ির কারণও গান। রশীদের গান ছিল সাধনা, গুরুভক্তি, মুক্তির চেষ্টা। আর মমতাজের উদ্দেশ্য জনপ্রিয়তা, নামকাম। তাই তাদের সংসার টেকেনি। অথচ রশীদ মমতাজকে খুবই ভালোবাসত। মমতাজের বাবা ছিলেন রশীদের গুরু। বাচ্চা মমতাজ গাইতে গাইতে ধীরে ধীরে রশীদের সঙ্গেই বড় হয়েছিল। কালিহাতীর ভুক্তায় রশীদের গানে শুনেছিলাম, ‘পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে, মুন্সী মরলে জ্বলে না’। গানটি আমার ওপর খুব দাগ কেটেছে। কত জায়গায় গেছি, ইল্লি-দিল্লি, আগ্রা, জয়পুর, মুর্শিদাবাদ। তাজমহল, হাজার দুয়ারী, ফতেপুর, রাজস্থানে বড় বড় প্রাসাদ দেখতে পর্যটকরা যায়। কিন্তু কত রাজা-বাদশাহর কবর বিরান পড়ে আছে বাতি জ্বালাবার কেউ নেই, পড়ে থাকা ঝরাপাতা ঝাড় দেওয়ার কেউ নেই। কিন্তু পাগলের ব্যাপার তেমন নয়। মাঘী পূর্ণিমার পূর্ণ তিথিতে দাড়িয়াপুরের ফালু চাঁদের জন্ম। মেলার শুরু ১০-১৫ দিন আগে, পূর্ণিমার পরও চলে তিন-চার দিন। ১৫-২০ দিনে না হলেও ২০-২৫ লাখ লোকসমাগম হয়। পূর্ণিমার আগে-পরে দু-তিন দিন সারা দিনে ২-৩ লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করে। কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। বাড়ি থেকে মোরগ নিয়ে ফালু চাঁদের কবরের আশপাশে কোথাও জবেহ করে রান্নাবান্না করে খেয়ে-দেয়ে, ‘ফাইলা নাচে আমিও নাচি’ বলতে বলতে যেমন আসে তেমন চলে যায়। কেউ গাছের ফলমূল, কেউ হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া, গরু- যে যার মতো নিয়ে আসে। রান্নাবান্না করে কিছু ফালু চাঁদের মাজারে দেয়, বাকিটা নিজেরা খায়- এভাবেই চলে আসছে তার মৃত্যুর পর থেকে। কত দিন চলবে সেও দয়াময় আল্লাহই জানেন। ২০০১-০২ সালে জঙ্গিবাদের উত্থানে মাজারে বোমা ফেটেছিল। তাতে চার-পাঁচ জন নিহত, ২০-২৫ জন আহত হয়েছিল। যারা বোমা ফাটিয়েছিল তারাও তিন-চার জন দাড়িয়াপুর বহেড়াতলির উত্তরে ধোপারচালায় নিজেদের বোমায় নিজেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যারা ফালু চাঁদ পাগল সম্পর্কে জানে তারা সবাই মানে যে ফালু চাঁদ একজন জাগ্রত কামেল। কতজন কত মানত করে কারও পূরণ হয়, কারও হয় না। যদিও আমি আল্লাহ, রসুল ছাড়া অন্য কিছুতে বিশ্বাস করি না। সবার ভালো করা, যে যেখানে আনন্দ পায় সেখানে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

ফালু চাঁদকে দেখেছি কিন্তু তার সান্নিধ্য পাইনি। সান্নিধ্য পেয়েছি হজরত শাহ সুফি সামান উল্যাহর। তার কবর তক্তারচালায়। আমার জীবনে তিনি এক বিস্ময়কর মানুষ। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে জুন-জুলাই মাসে শাহ সুফি সামান উল্যাহর সঙ্গে হতেয়ায় আমার প্রথম দেখা। আমি হতেয়ায় গিয়েছিলাম- কালিয়াকৈরের কিছু রাজাকার আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল তাদের শর্ত ছিল আমি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকলে তবেই তারা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করবে। তাই বাসাইলের কাউলজানি থেকে নৌকায় পাথরঘাটা-বাঁশতলী-পেকুয়া হয়ে হতেয়া গিয়েছিলাম। আমি ছিলাম স্কুল মাঠে, দলের কয়েকজন হতেয়া বাজারে গিয়েছিল। সেখানে তাদের সঙ্গে লাল গেরুয়া পরা শাহ সুফি সামান উল্যাহর দেখা। হাতে খমক, খালি গায়, লাল গেরুয়া, দেখতে অভাবনীয়, কথাবার্তা আরও বিচিত্র। কথাবার্তা স্বাভাবিক নয়। প্রতিটি কথায় একটা না একটা লেজ জুড়ে দিতেন। আমার সামনে খমকে টুংটাং করছিলেন আর বলছিলেন, ‘আমারে অ্যারেস্ট কইরা ফালাইছে, আমারে ধইরা আনছে। তুমি কি কমান্ডার? এখন আমারে কী করবা? গুলি কইরা মাইরা ফালাবা?’ না না। আপনাকে অযথা গুলি করতে যাব কেন! আপনার বাড়ি কোথায়? কী করেন? তিনি তার নিজের অঙ্গনেই ছিলেন। আমাদের কথার তেমন যথাযথ উত্তর দিচ্ছিলেন না। তবে বুঝতে পারছিলাম এলাকার সবাই তাকে চেনে। খেতে বললে প্রথম কোনো আগ্রহ দেখালেন না। গাছের নিচে বসে টুংটাং করছিলেন, আপন তালে গান গাইছিলেন। হঠাৎ কানে এলো- ‘আহা! এবার এমন হারগিলারে কেরা দিল মাদবরী/আহা! সেই দুঃখে যে আমি মরি॥/ এবার দেখি, কত খাটাশবাবু দারগা/শিয়াল পণ্ডিত দফাদার-/হারগিলারে কেরা দিল মাদবরী।’ শুনলাম হতেয়া রাজাবাড়ীতে তার জন্ম। এলাকার মায়-মাতব্বররা পছন্দ করে না। কিন্তু গরিব মানুষ সবাই তার ভক্ত। ১২ বছর গহিন জঙ্গলে গর্ত খুঁড়ে ছিলেন। পেশাব-পায়খানা-গোসল-আসল ছাড়া কোনো দিন গর্ত ছাড়েননি। কত হবে ৬-৭ ফুট লম্বা পাশে গর্তে বছরের পর বছর কাটাতে তার কোনো কষ্ট হয়নি। এক দিনও নিজের খাবার নিজে সংগ্রহ করেননি। কোথাকার কে খাবার দিয়েছে কাউকে কখনো কিছু বলতে যায়নি। হয়তো কোনো দিন পাঁচজন খাবার এনেছে, পড়ে থেকেছে, কুত্তা-বিড়াল-শিয়াল-শকুনে খেয়েছে আবার কোনো দিন কোনো খাবারই আসেনি। এই সাধক পুরুষ কীভাবে কীভাবে যেন আমাদের লোক হয়ে গিয়েছিলেন, হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যেখানেই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প সেখানেই তিনি। একবার আমাদের পাথরঘাটা ঘাঁটির পতন হয়েছিল। ঘাঁটি ছেড়ে মুক্তিযোদ্ধারা রতনপুরে জসিমের বাজার পর্যন্ত পিছিয়ে এসেছিল। খবর পেয়ে রা রা করে জসিমের বাজার গিয়েছিলেন এই আধ্যাত্মিক সাধক শাহ সুফি সামান উল্যাহ। কমান্ডারসহ যোদ্ধাদের একচোট বকাঝকা করছিলেন। তারপর লাফালাফি, নাচানাচি করে গাইছিলেন, ‘আরে তোরা সব জয়ধ্বনি কর,/তোরা সব জয়ধ্বনি কর।/মারো লাথি, ভাংগো ছাতি, আছে যত রাজাকর/তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ এ রকম গান শুনতে শুনতে দলনেতার সম্বিত ফিরে আসে। পরদিন সকালে তিনি নতুন উদ্যমে বেদখল হওয়া ঘাঁটি দখল নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন হানাদারদের ওপর। কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া হানাদারদের বিতাড়িত করে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ দখল করে নেন। এমনই ছিলেন আমাদের সামান পাগল। কত জায়গায় কোনো খবর নেই হঠাৎ দেখি সামান উল্যাহ। কমান্ডাররা সবাই তাকে অপরিসীম সম্মান করত। কারণ আমি তাকে মান্য করতাম এটা দেখে কেউ তার কথা অমান্য করতে সাহস করত না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র দেওয়া- নানা জায়গায় কীভাবে শাহ সুফি সামান উল্যাহ হাজির হতেন আমরা জানতেও পারতাম না। বঙ্গবন্ধু তাকে খুব পছন্দ করতেন। ঘাতকের হাতে নিহতের দু-তিন মাস আগে বার বার বলছিলেন, ‘বঙ্গপীর আমাকে বঙ্গবন্ধুর কাছে নিয়ে চল। তাকে দেখব।’ নিয়ে গিয়েছিলাম গণভবনে। সামান ফকিরকে পেয়ে বঙ্গবন্ধু খুব খুশি হয়েছিলেন। মুখোমুখি আমার বামে সামান ফকির, ডানে অধ্যাপক ইউসুফ আলী অথবা মনসুর ভাই কেউ একজন ছিলেন। এ কথা ও কথা, নাশতা দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে সামান ফকির বার বার খোঁচা দিচ্ছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কই, আমি তো বঙ্গবন্ধু দেখি না।’ ফকিরের কথা শুনে বঙ্গবন্ধু বলছিলেন, ‘এই যে আমি, আপনি আমাকে দেখতে পাচ্ছেন না?’ এই বলে চেয়ার থেকে উঠে ফকিরের দুই কাঁধে হাত দিয়ে ঝাঁকি দিয়ে বলছিলেন, ‘এই যে এই আমি। আপনি আমাকে দেখছেন না!’ বঙ্গবন্ধুর থেকে সামান ফকির কম করে এক ফুট বেঁটেখাটো। শূন্যের দিকে মুখ তুলে একটু রাগান্বিত সুরে বলেছিলেন, ‘আমি তো বঙ্গবন্ধু দেখি না। না দেখলে কী করে বলব?’ বঙ্গবন্ধু হো হো করে হেসেছিলেন। আমি হাসতে পারিনি। অন্যেরা হেসেছিলেন কিনা জানি না। এই সাক্ষাতের ৬০-৬২ দিন পর বিপথগামী ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হন। আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখলেও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অলি এ কামেল সামান ফকির তার রুহানি চোখে দুই মাস আগেই বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাননি।

তার মৃত্যুটাও বিচিত্র। অনেক জায়গায় তিনি আস্তানা গাড়তেন। একসময় ৮-১০ বছর সখীপুর সদরে ছিলেন। একেবারে শেষে তক্তারচালা। এক বিকালে টাঙ্গাইলের বাড়িতে বসে ছিলাম। সামান ফকিরের ছোট ছেলে মোশারফ। আমার মতো একটু বাউণ্ডুলে স্বভাবের। স্বাধীনতা আমার বাউণ্ডুলে দস্যিপনা কেড়ে নিয়ে দেশের মানুষের ভালোবাসার গণ্ডিতে বেঁধে ফেলেছে। কিন্তু সামান ফকিরের ছেলের দস্যিপনা তখনো যায়নি। আমাকে দেখেই, ‘কাকা, বাবাকে যদি দেখতে চান তাহলে তাড়াতাড়ি দেখা করুন। বাবা হয়তো আর বেশিদিন বাঁচবে না। খুব শরীর খারাপ।’ জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তোর বাবা বলেছে? ‘না। আমি নিজেই বলছি।’ কেন যেন হঠাৎ করে বলেছিলাম, তোর বাবা চলে যাবে আমি একটুও জানব না! তোর কাছ থেকে খবর নিতে হবে! বুকের ভিতর নাড়া লাগবে না! এরপর প্রায় ছয়-সাত মাস চলে গিয়েছিল। দু-তিনবার লোকজন দিয়ে এটা-ওটা পাঠিয়েছি। কিন্তু আর দেখা করতে যাইনি। হঠাৎই মনে হয়েছিল, আমি অত জোর দিয়ে বললাম, একবারও যে গেলাম না। সত্যিই যদি ফকির চলে যান তখন কী হবে। নানা কিছু ভাবতে ভাবতে গিয়েছিলাম তক্তারচালায়। তক্তারচালা বাজার থেকে এক-দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে এক অতি সাধারণ বাড়িতে ঢেঁকিঘরে ছিলেন। এক মহিলা তার সেবাযত্ন করতেন। আমি যাওয়ার পর খুব খুশি হয়েছিলেন। সন্ধ্যার আগে আগে গিয়েছিলাম। আমি যাওয়ার মিনিট বিশেক পর বাড়ির উঠানে এসে শুইলেন। আরও মিনিট বিশেক পর উঠে বসলেন। গত ছয়-সাত দিন নাকি এপাশ-ওপাশ করতে পারতেন না। একেবারে স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন। আমাকে চেপে ধরলেন, ‘বঙ্গপীর, নবীনকে বলছি আমাকে জায়গা দিতে। ও দিচ্ছে না। আমি তো খাঁচা বদল করব, বডি চেঞ্জ।’ সঙ্গে সঙ্গেই নবীনকে বলেছিলাম, তুমি ফকিরকে জায়গা লিখে দাও। সে ১০ ডিসেমল জায়গা পরদিন রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিল। রেজিস্ট্রি দলিলের একটা ফটোকপি নিয়ে মিষ্টিসহ নবীন যখন তার সঙ্গে দেখা করে সে খুব খুশি হয়। নবীনকে খুব দোয়া করে। সেই রাতেই ১১টায় সে ইহলোক ত্যাগ করে। আমি রাত ২টায় খবর পেয়ে সকালে গিয়ে তাকে সখীপুর হাসপাতালে দেখি। আমার মনে হয়েছিল সামান ফকির যেদিন থাকবে না সেদিন সমস্ত সখীপুর বেদনায় মুহ্যমান হয়ে পড়বে। কিন্তু তেমন দেখিনি। অন্য দিনের মতোই ছিল সখীপুর। ৮ অক্টোবর পূর্ণতিথিতে সামান ফকিরের মেলায় প্রচুর লোক হয়। কিন্তু ফালু চাঁদের মতো নয়।

ফালু চাঁদের আদি বাড়ি বাসাইল থানার দেউলীতে। দুটি বা তিনটি বিয়ে করেছিলেন। মানুষজনকে কাছে ভিড়তে দিতেন না। থুথু ছিটাতেন, গালি দিতেন। কামেলরা ধরা পড়তে বা প্রকাশ হতে চায় না। ফালু চাঁদের ব্যাপারও তাই। এখানে ওখানে নানা জায়গায় দিন কাটাতেন। শেষের দিকে দাড়িয়াপুরের এক ধনী আদিবাসী মান্দাইর বাড়িতে থাকতেন। ইচ্ছা হলে কাজ করতেন, ইচ্ছা না হলে করতেন না। বাড়ির মালিককে কখনো আদর করতেন, কখনো গালাগাল করতেন। মনে হতো বাড়ির মালিক মান্দাই নয়, ফালু চাঁদই যেন প্রকৃত মালিক। মান্দাইয়ের স্ত্রী ছিলেন ফালু চাঁদের অসম্ভব ভক্ত। একবার মান্দাই কোথায় কোনো কাজে গিয়েছিল। স্ত্রীকে বলে গিয়েছিল বাড়ির পাশের জমিটা বোনার সময় হয়েছে। তার আসতে দেরি হলে যেন সময়মতো বুনে ফেলে। কাজের লোকেরা জমি তৈরি করে যেদিন বীজ ছিটাতে যাবে সেদিন ফালু চাঁদ রেগেমেগে অস্থির। অকথ্য গালাগাল করে কাজের লোকদের তাড়িয়ে দেয়, ‘তোরা কেউ জমিতে যাবি না। আমি বীজ ছিটাব।’ যে জমিতে ৮-১০ ধামা বীজের দরকার সেই জমিতে আধা ধামা ছিটিয়ে বাকিটা ফিরিয়ে এনেছে দেখে মান্দাইর স্ত্রী ভীষণ চিন্তিত। শুধু ১০ ধামার জায়গায় আধা ধামা বীজ ছিটানো নয়, সাত দিনের মধ্যে কেউ যদি জমিতে যায় তাকে কেটে টুকরো করে ফেলবে। এক দিন পর মান্দাই এসে সব শুনে মহাচিন্তিত। সারা বছরের খাবার যে জমিতে হয় সেখানে ১০ ধামার জায়গায় আধা ধামা বীজ ছিটিয়েছে। খেতটা যে পতিত যাবে। আবার নতুন করে যে বীজ ছিটাবে তাতেও পাগলের বারণ। আগেই বলেছি মান্দাইর স্ত্রী পাগলের খুবই ভক্ত। সে স্বামীকে বোঝায়, ঠিক আছে পাগল যখন বলছে ওর কথা শুনো। আমাদের তো শুধু ওই জমিই নয়, আরও অনেক আছে। তাই কোনো অসুবিধা হবে না। মান্দাই মেনে নেয়। কিন্তু একটা ভালো জমি পতিত থাকবে সে চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে পারে না। সাত-আট দিন পর পাগলের অনুমতি নিয়ে খেতে গিয়ে মান্দাই অবাক! চারপাশের খেতের চাইতে তার চারা ভালো হয়েছে। সে অবাক হয়ে বাড়ি ফেরে। স্ত্রীকে বলে এ কী করে সম্ভব। এত অল্প বীজে এত চারা হলো কী করে? গাছ বড় হতে থাকে। চারপাশের সব খেতের চাইতে পাগলের বোনা খেতের ধান হৃষ্টপুষ্ট। একসময় ধান পেকে বেরোলে কেটে ঘরে তোলা হয়। দেখা যায় আশপাশের সব জমির চাইতে পাগলের বোনা ধান দ্বিগুণ হয়েছে। এমনি অনেক কেরামতি ছিল ফাইলা পাগলের। অনেকেই জানে না ফালু চাঁদ কে, কী তার পরিচয়। কিন্তু ছনের ঘর পাকা মাজার হয়েছে, লাখো মানুষের মেলা হচ্ছে। আশপাশের লোকেরা মেলাতে যা বেচাকেনা করে তাতেই তাদের সারা বছর চলে। পায়ের ওপর পা তুলে খায়, সংসার চালায়। তাই মনে হয় রশীদ বয়াতির কথাই সত্য- ‘পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে মুন্সী মরলে জ্বলে না।’

            লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
সর্বশেষ খবর
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!
অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার চতুর্থ ধাপও কার্যকরী, জানাল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল?

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'
'আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
দেশে ৪ জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ
কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী
বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন
নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২
ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ
ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা
বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ১
আশুগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আড়াইহাজারে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ
আড়াইহাজারে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কসবায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, জরিমানা
কসবায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, জরিমানা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু
তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে ৩৯০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ৩৯০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঐতিহাসিক ‘কোরআন দিবস’ উপলক্ষে শিবিরের ছাত্র গণজমায়েত
ঐতিহাসিক ‘কোরআন দিবস’ উপলক্ষে শিবিরের ছাত্র গণজমায়েত

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান
পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী
সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট
ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!

সম্পাদকীয়

গরু আসার নতুন রুট
গরু আসার নতুন রুট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত
আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর
ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

এক পিস ডাব ২০০ টাকা
এক পিস ডাব ২০০ টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল
সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

একদিকে গরম আরেকদিকে বজ্র
একদিকে গরম আরেকদিকে বজ্র

প্রথম পৃষ্ঠা

পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা
পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন
এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে
রোডম্যাপ না দিলে জনগণ রাস্তায় নামবে

নগর জীবন

বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!
বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না
ঐক্য না হলে গণতন্ত্র সচল হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সরাসরি আলোচনা চান পুতিন
সরাসরি আলোচনা চান পুতিন

প্রথম পৃষ্ঠা

অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা

সম্পাদকীয়

সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ
সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় হয় নৈতিক সমাজ
মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় হয় নৈতিক সমাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন
হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে চাচা-ই বাবা
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে চাচা-ই বাবা

প্রথম পৃষ্ঠা

অ্যাডামসের বিদায় ঘণ্টা
অ্যাডামসের বিদায় ঘণ্টা

মাঠে ময়দানে

টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন
টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন

শোবিজ

ঢাকায় প্রকাশনা চীনা প্রেসিডেন্টের বই
ঢাকায় প্রকাশনা চীনা প্রেসিডেন্টের বই

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১৮৬ ক্লিনিক ও হাসপাতাল
নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১৮৬ ক্লিনিক ও হাসপাতাল

নগর জীবন

১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড

শোবিজ

গণতান্ত্রিক বিশ্ব খুনি আওয়ামী লীগের পাশে নেই
গণতান্ত্রিক বিশ্ব খুনি আওয়ামী লীগের পাশে নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা
লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক
২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক

দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বিএনপিতে
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বিএনপিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি

দেশগ্রাম